প্রশ্ন: মুখের দূর্গন্ধ বিশিষ্ট লোকের মসজিদে উপস্থিত হওয়া ক্ষমাযোগ্য। তাহলে কাঁচা পিয়াজ বিশিষ্ট আচার, চাটনি ইত্যাদি বা এমন কাবাব সমুচা যাতে পিয়াজ রসুন ভালভাবে রান্না করে দেয়া হয় না, যার কারণে ওগুলোর গন্ধ ছড়ায়, বা ঐ (শস্যদানার) রুটি যেখানে কাঁচা রসুন দেয়া হয় এই ধরণের খাবার জামাআতের কিছুক্ষণ পূর্বে এই নিয়্যতে খেল, যেন মুখ দূর্গন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে জামাআত ওয়াজীবই হবে না! তার হুকুম কি?
🖋উত্তর: এ রকম করা জায়েজ নেই। যেমন-যেখানে ইশার জামাআত প্রথম ওয়াক্তেই আদায় করা হয়, সেখানে মাগরিবের নামাযের পর এমন আচার বা সালাদ খাবেন না যাতে কাঁচা মূলা, বা কাঁচা পিয়াজ বা কাঁচা রসুন থাকে। কেননা, এতে দ্রুত মুখ পরিস্কার করে মসজিদে যাওয়াও কষ্টকর। তবে হ্যাঁ, দ্রুত মুখ পরিস্কার করা যদি সম্ভব হয় বা অন্য কোন কারণে মসজিদের উপস্থিতি রহিত হয় যেমন-মহিলা, বা নামাযের এখনো যথেষ্ট দেরী আছে, নামাযের সময় আসার পূর্বে গন্ধ চলে যাবে তাহলে খাওয়াতে কোন ক্ষতি নেই। আ‘লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, মাওলানা শাহ ইমাম আহমদ রযা খাঁন (রহঃ) বর্ণনা করেন: কাঁচা পিয়াজ, রসুন খাওয়া নিঃসন্দেহে জায়েয (হালাল)। কিন্তু তা খেয়ে গন্ধ না যাওয়া পর্যন্ত মসজিদে যাওয়া নিষেধ। কিন্তু যে সমস্ত হুক্কা এমন গাঢ় যে, আল্লাহ্ তাআলার পানাহ! দূর্গন্ধ বেশীক্ষণ অবশিষ্ট থাকে, জামাআতের সময় কুলি করলেও পুরোপুরি দূর্গন্ধ যায় না। তাহলে জামাআতের পূর্বে তা পান করা শরীয়াত মতে জায়িয নেই। যেহেতু তা জামাআত ছেড়ে দেয়া বা সিজদা তরক করা বা দূর্গন্ধ নিয়ে মসজিদে প্রবেশের কারণ বলে গণ্য হচ্ছে। আর এই দুটি কাজই নাজায়িজ ও নিষিদ্ধ। আর (এটা শরয়ী নিময় যে) প্রত্যেক মুবাহ কাজ (তথা ঐ সমস্ত কাজ যা মূলত জায়েজ) যদি নিষিদ্ধ কাজের দিকে ধাবিত করে এমন কাজ করা নিষেধ ও অবৈধ।
(ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২৫তম খন্ড, ৯৪ পৃষ্ঠা)





Users Today : 308
Users Yesterday : 767
This Month : 14730
This Year : 186601
Total Users : 302464
Views Today : 28661
Total views : 3605404