সওয়াবঃ
◾রাসুল (ﷺ.) বলেছেন, ‘মিসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজে মিসওয়াকবিহীন নামাজের তুলনায় সত্তর গুণ বেশি ফজিলত রয়েছে।’ (শুয়াবুল ঈমান, বাইহাকী : হাদিস ২৫১৯)
মিসওয়াকের অন্যান্য ফজিলতঃ
◾রাসুলুল্লাহ (ﷺ.) ইরশাদ করেন, ‘এমনটি কখনও হয়নি, জিবরাইল (আ.) আমার কাছে এসেছেন আর আমাকে মিসওয়াকের আদেশ করেননি। এতে আমার আশঙ্কা হচ্ছিল যে, (বেশি বেশি মিসওয়াক ব্যবহারের ফলে) আমার মুখের অগ্রভাগ ক্ষয় না করে ফেলি।’ (মুসনাদে আহমদ : ২২২৬৯)।
◾ হজরত আয়েশা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, রাসুল (ﷺ.) বলেছেন, ‘মিসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়।’ (নাসায়ি : ৫)।
◾অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (ﷺ.) বলেছেন, ‘যদি আমি আমার উম্মতের ওপর কষ্ট হওয়ার আশঙ্কা না করতাম, তাহলে তাদের প্রত্যেক নামাজেরসময় মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (বুখারি : ৮৮৭)।
◾আল্লামা ইবনে আবেদীন (রহ.) বলেন, ‘মিসওয়াকের সত্তরটির অধিক উপকারিতা রয়েছে। যার সর্বোচ্চ হলো মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হওয়া, আর সর্বনিম্নটি হলো মুখের দুর্গন্ধ দূর করা।’ (ফাতাওয়া শামি)।
◾মিসওয়াক কাঁচা বৃক্ষের ডাল হলেও দিনের যেকোনো সময় মিসওয়াক করা সুন্নত। যদি রোজাদার মিসওয়াক করে এবং মিসওয়াক করার সময় ঝাঁঝ অনুভব করে বা এ জাতীয় কোনো স্বাদ অনুভব করে এবং সেটা গিলে ফেলে অথবা থুথুসহ মুখ থেকে মিসওয়াক বের করে আবার মুখে দেয় এবং থুথু গিলে ফেলে এতে করে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।’ (আল ফাতাওয়া আস সাদিয়া : পৃষ্ঠা-২৪৫)
মিসওয়াকের ডাল কাঁচা ও শুকনো হওয়ার মধ্যে কোনো তফাত নেই। যেকোনো ডালই ব্যবহার করা যায়। তবে কাঁচা হলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। মিসওয়াক ব্যবহারে পরকালীন উপকারের পাশাপাশি দুনিয়াবী উপকারও রয়েছে। মিসওয়াক ব্যবহার করলে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। শয়তান হয় অসন্তুষ্ট। দাঁতের মাড়ি মজবুত ও শক্ত হয়। মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। মিসওয়াক করলে মেধা ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং পার্থিব ও পরকালীন উপকার লাভের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে মেসওয়াক করা চাই।