মহামারীর মৃত্যু দু’ধরনের হয়ে থাকে। একটি হয় মন্দ আত্মার প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে। আর দ্বিতীয়টি হয় নিকৃষ্ট জিনিসের সংমিশ্রণের কারণে। দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ মন্দ ও নিকৃষ্ট জিনিসের সমিশ্রণের ফলে যে মহামারী হয়, তা নিয়ে গবেষণা করা এবং প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা চিকিৎসকগণের কাজ। তবে প্রথম প্রকার অর্থাৎ খারাপ আত্মার প্রতিক্রিয়ার কারণে যে মহামারী হয়, তার চিকিৎসা দোয়া কালামের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এ সমস্ত দোয়া কালাম পাঠ করা দুশমনের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার মতো। যোদ্ধা যেমন যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে তার হাতিয়ার ঠিক আছে কিনা, তার বাহুতে পর্যাপ্ত বল আছে কিনা। এই যুদ্ধে বাহুবল আর হাতিয়ার হচ্ছেঃ
বিসমিল্লাহ শরীফ এবং
লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
কেউ কেউ আয়াতুল কুরসী,
কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক্ব এবং
কুল আউযুবি রাব্বিন্নাস বেশী বেশী করে পাঠ করতে বলেছেন। কেউ কেউ আবার এ আমলটিও করেছেন-
ﻣُﺤَﻤﱠﺪٌ رﱠﺳُﻮْلُ اﷲِ وَاﻟﱠﺬِﯾْﻦَ ﻣَﻌَﮫ اَﺷِﺪﱠاءُ ﻋَﻠَﻲ اﻟْﻜُﻔﱠﺎرِ رُﺣَﻤَﺎءُ ﺑَﯿْﻨَﮭُﻢْ-
আয়াতের শেষ পর্যন্ত। অথবা রসুলে পাক (ﷺ) এর নামের কসম দেয়াও একটি পরীক্ষিত আমল।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]