যখনই সামনে সমস্যার পাহাড় এসে উপস্থিত হয়। যখন সামনে আর কোনো পথ নজরে আসে না। যখন হতাশার ভারে মাথাটা নুইয়ে পরে। যখন হৃদয়ের ওপর এক ভারী বোঝা অনুভূত হয়, তখনই স্মরণে লিপ্ত হয়ে যান আপন রবের।
এটাও এক নিয়ামত। এই বিপদটা যদি আপনাকে আপন রবের স্মরণ করিয়ে দিয়ে যায়, তবে নিয়ামত নয়তো কি? স্মরণ করুন— চারিদিকে কোনো পথই যখন নজরে আসছিল না। শত্রুরা চারদিকে ঘিরে ফেলেছিল। সায়্যিদুনা আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিআল্লাহু আনহু কিছুটা বিষন্ন হয়ে পরেন।
আমার রাসূল তখন তাঁকে এক অন্যরকম প্রশান্তির বার্তা শুনান। হ্যা, নিঃসন্দেহে সেটা ছিল এক অনন্য মোটিভেশান। আমার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন— ‘হে আবু বকর! বিষন্ন হয়ো না! নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাথে আছেন।’ [১] এবং আল্লাহ তায়ালা তাদের এই পরম বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছেন। তাদের অন্তরে প্রশান্তির বারিধারা বর্ষণ করেছেন। এমন এক বাহিনী দ্বারা তাদের সাহায্য করেছেন, যা আমাদের চর্মচক্ষু দেখতে অক্ষম।
মনে রাখবেন, আপনার কাছে যদিও কোনো কাজ অসম্ভব মনে হয়, বিশ্বাস রাখুন— আপনার রব সব কিছুর ওপর ‘কাদের’। তিনি মহাপরাক্রমশালী। তাঁর কাছে সবকিছুই সম্ভব। আপনার পরিপূর্ণ বিশ্বাস আর ধৈর্য্য ঢেলে দিয়ে, রাতের আধারে নিরবে-নিভৃতে বসে তার কাছে মনে সকল বেদনা খুলে বলুন।
আপনার হৃদয় প্রশান্ত হবে, নিষ্কৃতির পথও পেয়ে যাবেন এমনভাবে যা আপনার কল্পনাতীত।
~স্বাধীন আহমেদ