স্বাধীন আহমদ রেজভী
জুলাই ৩১,২০১৯ইং
***************
#প্রসঙ্গ ১:
নবীজী কে যদি আমাদের মতো মানুষ বলে ধারণা করা হয় তাহলে নবীজিকে নবী বলে অস্বীকার করা হল।তিনিকে রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতিমুন নাবীয়িন,রাসূলে খোদা,হাবীবে খোদা মানা হইল না।কারণ!যদি নবীﷺ আমাদের মতো হন তাহলে,আমরা তো রাসূল না, আমরা তো রহমাতুল্লিল আলামীন না আমরা খাতামুন নাবীয়িন না। যেহেতু নবীজী ও আমাদেরই মতো তাহলে তিনিই ও রাসূলে খোদা নন।আর রাসূলে পাককে যে নবী বলে অস্বীকার করল সে মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে গেল,সে পথভ্রষ্ট, গোমরাহ হয়ে গেল।
#প্রসঙ্গ ২:
কাফেরদেরকে উদ্দেশ্য করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,”হে হাবীব একমাত্র আপনার জবানে আপনি বলুন আমি তোমাদেরই মতো মানুষ।”(সূরা কাহাফ,১১০)
এখনে আল্লাহ তায়ালা এটা বলেন নি যে,হে আমার বান্দারা তোমরা বল নবীজী আমদের মতো মানুষ।এখানে শুধু মাত্র নবীজী সম্বোধন করে আল্লাহ বলেন, হাবীব আপনি বলুন।এখনে অন্য কারো বলার অনুমতি নেই।সুতরাং যারা বলে তারা পথভ্রষ্ট, গোমরাহ।
#প্রসঙ্গ ৩:
“বাশারুম” শব্দের ব্যাখ্যাঃ-এখানে বাশারুম শব্দ দ্বারা চামড়া,ছুরত,নমুনা,কভার ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে। যদি এর দ্বারা নবীজীকে আমাদের মতো মানুষ প্রমাণ করার উদ্দেশ্য থাকত, তবে আল্লাহ তায়ালা “ইনসান”শব্দ ব্যবহার করতেন।তো আল্লাহ কি কম জ্ঞানী?কেন ইনসান শব্দ ব্যবহার করলেন না?নাউজুবিল্লাহ।”সূরা মারিয়াম” এর ১৭ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা হযরত জীবরাঈল(আ.) কে বাশার বলেছেন।এতে কি জিবরাঈল(আ.)আমাদের মতো মানুষ হয়ে গেছেন?নাউজুবিল্লাহ।তাই যারা এই শব্দ দ্বারা রাসূলে পাককে আমাদের মতো মানুষ প্রমান করতে চায় তারা গোমরাহ, পথভ্রষ্ট,বেঈমান।
#প্রসঙ্গ ৩:
আল্লামা জালাল উদ্দীন সূয়ুতি(র.) বলেন,এই আয়াত(সূরা কাহাফ,১১০)টি মুতাসাবিহাতের আয়াত। এর ব্যাখ্যা আল্লাহ ও রাসূলﷺ ছাড়া কেউ জানে না।সুতরাং পথভ্রষ্টরাই এই আয়াতকে দলিল রুপে গ্রহণ করে মানুষকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে।দেখুন এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা কি বলেন,-
ہُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ مِنۡہُ اٰیٰتٌ مُّحۡکَمٰتٌ ہُنَّ اُمُّ الۡکِتٰبِ وَ اُخَرُ مُتَشٰبِہٰتٌ ؕ فَاَمَّا الَّذِیۡنَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ زَیۡغٌ فَیَتَّبِعُوۡنَ مَا تَشَابَہَ مِنۡہُ ابۡتِغَآءَ الۡفِتۡنَۃِ وَ ابۡتِغَآءَ تَاۡوِیۡلِہٖ ۚ وَ مَا یَعۡلَمُ تَاۡوِیۡلَہٗۤ اِلَّا اللّٰہُ ۘؔ وَ الرّٰسِخُوۡنَ فِی الۡعِلۡمِ یَقُوۡلُوۡنَ اٰمَنَّا بِہٖ ۙ کُلٌّ مِّنۡ عِنۡدِ رَبِّنَا ۚ وَ مَا یَذَّکَّرُ اِلَّاۤ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ ﴿۷﴾
“তিনিই তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছেন, তার মধ্যে আছে মুহকাম আয়াতসমূহ। সেগুলো কিতাবের মূল, আর অন্যগুলো মুতাশাবিহ্। ফলে যাদের অন্তরে রয়েছে সত্যবিমুখ প্রবণতা, তারা ফিতনার উদ্দেশ্যে এবং ভুল ব্যাখ্যার অনুসন্ধানে মুতাশাবিহ্ আয়াতগুলোর পেছনে লেগে থাকে। অথচ আল্লাহ ছাড়া কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না। আর যারা জ্ঞানে পরিপক্ক, তারা বলে, আমরা এগুলোর প্রতি ঈমান আনলাম, সবগুলো আমাদের রবের পক্ষ থেকে। আর বিবেক সম্পন্নরাই উপদেশ গ্রহণ করে।” (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৭)
-আল্লাহ পথভ্রষ্টদেরকে হেদায়াত দান করুন।আর আমাদের ঈমান কে হেফাজত করুন।আমিন।