কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) ➡ মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]
❏ মাসয়ালা: (৩০৩)
জারজ সন্তান যখন মুসলমান জ্ঞানী (আকল সম্পন্ন) নামাজ, রোজা ইত্যাদির পাবন্দী (আদায়কারী) হবে। তার জবেহকৃত পশু মাকরূহ ব্যতীরেকে জায়েজ।
❏ মাসয়ালা: (৩০৪)
লোক (মানুষ) ধ্বংস হয়ে গিয়াছে বলাটা নিষেধ।
➠হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, হুজুর (ﷺ) এরশাদ ফরমায়েছেন:
ان رسول الله صلّى الله عليه وسلّم قال اذا قال الرجل هلك الناس فهوا هلكم.
অর্থাৎ: যখন কোন ব্যক্তি এই কথা বলে যে- লোকগণ হালাক (ধ্বংস) হয়ে গেছে। তবে এক্ষেত্রে উক্ত ধরনের কথা বলা ব্যক্তিই অধিক ধ্বংস হওয়ার অধিকারী।
অর্থাৎ কোন ব্যক্তি লোকদেরকে নিকৃষ্ট ও অনুপযুক্ত মনে করে এবং নিজের আমিত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে বলে লোকগণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে এধরনের মতপোষণকারী ব্যক্তি নিজেই অহংকারের শাস্তি হিসাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্যবান লোকদের ইহকাল ত্যাগের উপর আফসোস করার নিমিত্তে বলে থাকে লোক ধ্বংস হয়ে গেছে কিংবা নিঃশেষ হয়ে গেছে, অথবা কোন বলা মুসিবত ও বিপদ অবতরনের সময় যদি লোক ধ্বংস হয়ে গেছে এই কথা বলো তাহলে উক্ত কথা বর্ণনাকারী ব্যক্তি উপরোলিখিত আজাবের স্বীকার হবে না।
❏ মাসয়ালা: (৩০৫)
যখন একটি ঘটনার ব্যাপারে দু’টি বর্ণনা বিদ্যমান থাকে। তন্মধ্যে একটি না সূচক আর অপরটি হ্যাঁ সূচক। তবে এক্ষেত্রে উসূলে হাদীস শাস্ত্রবীদদের মতে হ্যাঁ সূচক হাদীসটি না সূচক হাদীসের উপর প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার যোগ্য।
❏ মাসয়ালা: (৩০৬)
যে কোরআন মজীদ হযরত জিবরীল আলাইহিস্সালাম হযরত রাসূলে করিম (ﷺ)-এর উপর নিয়ে এসেছিলেন তাতে সতর হাজার আয়াত ছিল। বর্তমান বিদ্যমান কোরআন শরীফে ছয় হাজার দুই শতের কাছাকাছি আয়াত রয়েছে।
➥ [শরহে মুসলিম, ১ম খখন্ড, ৩০২পৃষ্ঠা]
❏ মাসয়ালা: (৩০৭)
➠হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, কিয়ামত নিকটবর্তী হযরত ঈসা (عليه السلام) অবতীর্ণ হওয়ার সময়কালে লোকদের মধ্যে মাল-সম্পদ এমন অধিকহারে বৃদ্ধি পাবে যে ওয়াফয়েদুল মালা হাত্তা লাইয়াক বালুহু আহাদা অর্থাৎ অধিক পরিমাণে মাল-সম্পদে পরিপূর্ণ হবে এমনকি মাল-সম্পদ লওয়ার কেউ থাকবে না। (কাউকে মাল-সম্পদ স্বইচ্ছায় দিতে চাইলেও নিবেনা)
وايضا وليد عون الى المال فلا يقبله احد
এবং লোকদেরকে সম্পদ গ্রহণের জন্য ডাকা হলেও, কেউ মাল-সম্পদ গ্রহণের জন্য আসবে না।
➥ [শরহে মুসলিম, ১ম খন্ড, ২৬০-৬১ পৃষ্ঠা বাবে নুজুলে ঈসা (আ:)]
❏ মাসয়ালা: (৩০৮)
বর্তমানে দুনিয়ার (পৃথিবীর) বয়স ৫৩ লক্ষ ৬০ বৎসর।
➥ [তাফসীরে নুরুল এরফান ৫৫৬ পৃষ্ঠা ও খাজায়েনুল এরফান]
❏ মাসয়ালা: (৩০৯)
কোন অলী নবীর সমপর্যায় কিংবা নবীর স্তরে পৌঁছতে পারবে না।
❏ মাসয়ালা: (৩১০)
কোন ব্যক্তি এমন মর্তবায় পৌঁছতে পারে না যে, নামাজ রোজা তথা শরীয়তের আদেশ নিষেধ তার থেকে রহিত। অর্থাৎ প্রত্যেকই শরীয়তের হুকুম আহকাম পালন করা আবশ্যক।
যেখানে সৈয়্যদুল কাওনাইন (ﷺ) আল্লাহর আদেশ নিষেধ যথাযথ পালন করেছেন, সেখানে আর কারো ক্ষেত্রে কোন প্রশ্নই আসতে পারে না।
❏ মাসয়ালা: (৩১১)
কোরআন মজীদ ও হাদিস শরীফের জাহেরী তথা বাহ্যিক অর্থ বর্জন করে কেবল বাতেনী তথা আধ্যাত্মিক ও গুপ্ত অর্থ বুঝা ও অনুভব করা গোমরাহী ও কুফুরী।
❏ মাসয়ালা: (৩১২)
পবিত্র কোরআনের আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদিস অগ্রাহ্য ও রদ করে মনগড়া ও অহেতুক রায় কায়েম করা কুফুরী।
❏ মাসয়ালা: (৩১৩)
গুনাহ ও পাপ কর্মকে হালাল ও বৈধ বলে ধারণা করা এবং নেক ও পূণ্য মনে করা কুফুরী।
❏ মাসয়ালা: (৩১৪)
শরীয়তের সঠিক বিধানের উপর মিথ্যা অপবাদ ও কলঙ্ক লেপন কুফুরী।
❏ মাসয়ালা: (৩১৫)
যখন উম্মুল মো’মেনীন হযরত খাদীজাতুল কুব্রা রাদ্বিআল্লাহু তা’আলা আনহার সাথে হুজুর (ﷺ)-এর শাদী মোবারক হয়েছিল তখন হুজুর (ﷺ)-এর বয়স ছিল ২৫ বছর ২ মাস ১০দিন, আর হযরত খাদীজাতুল কুবরা রাদ্বিআল্লাহু তা’আলা আনহার বয়স ছিল ৪০ বছর এবং যখন উম্মুল মো’মেনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা রাদ্বিআল্লাহু তা’আলা আনহার সাথে হুজুর (ﷺ)-এর শাদী মোবারক হয়েছিল তখন হুজুর (ﷺ)-এর বয়স শরীফ ছিল ৬০ বছর ৬ মাস আর হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা রাদ্বিআল্লাহু তা’আলা আনহার বয়স ছিল ৬ বছর। হুজুর (ﷺ)-এর ওফাত শরীফের সময় আয়েশা সিদ্দিকার বয়স ছিল ৯ বছর।
➥ [তারিখুল ইসলাম]
❏ মাসয়ালা: (৩১৬)
বুজুর্গানে দ্বীনের হাত চুম্বন করা জায়েজ, আর কদম চুম্বন করা কোন কোন বর্ণনা মতে জায়েজ বলা হয়েছে।