২- بَابُ مَا جَاءَ فِي الْأَمْرِ بِالنِّكَاحِ
٢٥٨- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْـحَرْثِ، عَنْ أَبِيْ مُوْسَىٰ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «تَزَوَّجُوْا، فَإِنِّيْ مُكَاثِرٌ بِكُمُ الْأُمَمَ».
বাব নং ১১৮. ২. বিবাহের নির্দেশ প্রসঙ্গে
২৫৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা যিয়াদ থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস থেকে, তিনি আবু মূসা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) এরশাদ করেন, তোমরা বিবাহ কর। কেননা আমি (কিয়ামত দিবসে) অন্যান্য উম্মতের তুলনায় তোমাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে গৌরব করব।
(সুনানে বায়হাকী কুবরা, ৭/৭৮/১৩২৩৫)
ব্যাখ্যা: বিবাহের ফযীলত: রাসূল (ﷺ) এরশাদ করেন, হে যুব স¤প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ করতে সক্ষম তারা যেন বিয়ে করে নেয়। কারণ, বিয়ে দৃষ্টি অবনত রাখতে ও গুপ্তাঙ্গের হিফাজতে অধিক কার্যকর। আর যে ব্যক্তি বিবাহ করতে অক্ষম সে যেন রোযা রাখে। কেননা, রোযা তার যৌনক্ষুধাকে অবদমিত করে। ১৮৬
➥ বুখারী ও মুসলিম, সূত্র: মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠাঃ ২৬৮
❏হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (ﷺ) এরশাদ করেন, কোন বান্দা যখন বিয়ে করল তখন সে দ্বীনের অর্ধেকটা পূর্ণ করল। অতঃপর সে যেন বাকী অর্ধেকের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করলে। ১৮৭
➥ বুখারী ও মুসলিম, সূত্র: মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠাঃ ২৬৮
উপরোক্ত হাদিস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, স্ত্রী নির্বাচন করার সময় অধিক সন্তান জন্মদানকারী নারী নির্বাচিত করতে হবে। কেননা অধিক সন্তান জন্মদানের মাধ্যমেই উম্মতে মুহাম্মদীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে রাসূল (ﷺ) গর্ববোধ করবেন।
মানুষের অবস্থাভেদে বিবাহের হুকুমও ভিন্ন ভিন্ন। এক. প্রবল যৌনশক্তি থাকলে এবং বিবাহ না করলে যিনায় লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তখন বিবাহ করা ওয়াজিব। দুই. মধ্যমপন্থা তথা যৌনশক্তিও আছে এবং বিবাহ না করলে যিনায় লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই তখন বিবাহ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। তিন. বিবাহ করে স্ত্রীর উপর ভরণ-পোষন ও হক আদায়ের ক্ষেত্রে অন্যায় কিংবা জুলুমের আশঙ্কা থাকলে তখন বিবাহ করা মাকরূহ। চার. নিশ্চিত জুলুমের উদ্দেশ্যে বিবাহ করা হারাম ও পাঁচ. যদি স্ত্রীর হক আদায়ে অক্ষম হওয়ার ক্ষীন সম্ভাবনা থাকে তখন বিবাহ করা মুবাহ। ১৮৮
➥ হাশিয়ায়ে শহরে বেকায়া, খন্ড ২, পৃষ্ঠাঃ ৪