হজরত সুফায়না (رضي الله عنه) একদিন পথ হারিয়ে আপন সৈন্যবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। পথ চলতে চলতে এক বাঘের সাথে দেখা। তিনি বাঘকে বললেন, আমি রসুলুল্লাহ (ﷺ) এর এক নগণ্য গোলাম। আমাকে পথ দেখিয়ে দাও। বাঘটি তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে সৈন্যবাহিনীতে পৌঁছে দিয়েছিলো।
ইবনে ওহাব বর্ণনা করেন, মক্কাবিজয়ের দিন যে সকল কবুতর নবী করীম (ﷺ) এর মাথার উপর ছায়া দান করেছিলো, তিনি তাদের জন্য বরকতের দোয়া করেছিলেন। হিজরতের সময় ছওর গুহাতে মাকড়শার জাল বানানো এবং কবুতরের ডিম দেয়ার ঘটনাও মশহুর। উলামা কেরাম বলেন, ছওর গুহাতে যে কবুতরেরা ডিম দিয়েছিলো, হেরেম শরীফের কবুতরগুলো তাদেরই বংশধর। এক বর্ণনায় আছে, হিজরতের সময় একটি ছোট্ট গাছকে নবী করীম (ﷺ) হুকুমকরেছিলেন, তুমি মানুষের দেহের মতো বড় হয়ে গুহার মুখকে আচ্ছাদিত করে ফেলো।
কাযী আয়ায (رحمة الله) আশশেফা কিতাবে এই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রাণীর কথা বলা এবং নবী (ﷺ) এর প্রতি তাদের আনুগত্য সংক্রান্তঅনেক হাদীছ বিদ্যমান। সেগুলোর মধ্যে যেগুলো বিখ্যাত এবং ইমামগণ যেগুলোকে তাঁদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন, আমিও সেইগুলোর উল্লেখ করলাম। ওয়াল্লাহুল মুওয়াফফেক- আল্লাহ্তায়ালাই তওফীক দাতা।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]