আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…
(প্রসঙ্গ দুই ঈদ ব্যতীত কি আর কোন ঈদ নাই)
প্রথমে একটি কথা বলতেচায় ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অস্বীকার করতে গিয়ে কিছু মুরতাদ সম্প্রদায় বলে থাকে
দুই ঈদ ব্যতীত কি আর কোন ঈদ নাই! নাউযুবিল্লাহ !!যারা বলে দুই ঈদ ব্যতীত আর কোন ঈদ নাই, তারাকুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ অস্বীকারকারী ! আর কুরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফ অস্বীকারকারীরা কাফির|
আসুন আমরা দেখি ঈদ অর্থ কি এবং শরীয়তে কতগুলা ঈদ রয়েছে —
ঈদ অর্থ হলো আল্লাহর দেয়া কোন রহমতের দিনের জন্য কিছুলোক মিলে আনন্দ/খুশি উদযাপন করাকেই ঈদ বলে এক কথায় ঈদ মানেআল্লাহ রাসূলের নামেখুশি বা আনন্দউদযাপন করা
হাদীস শরীফ –
০১: হযরত ওবায়িদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ননা করেন, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক জুমুয়ার দিন বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায় ! এটি এমন একটি দিন যাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈদ স্বরূপ নির্ধারণ করেছেন !”
দলীল-
√ মিশকাত শরীফ – জুমুয়ার নামাজ অধ্যায় !
√ মুয়াত্তা মালিক শরীফ
√ ইবনে মাজাহ শরীফ
০২: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনারথেকে বর্নিত আছে যে, তিনি একদা- ” আজ আমি তোমাদের জন্যতোমাদের দ্বীনকে পূর্নকরে দিলাম ” ( সূরা মায়েদা ৩) এ আয়াত শরীফ খানাশেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন ! তখন উনার নিকট এক ইহুদীছিল সে বলে উঠলো, যদি এমন আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো, আমরাআয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে ঘোষণা করতাম!’ এটা শুনে হযরতইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুবললেন, এ আয়াতশরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিনএকসাথে দুই ঈদ ছিলো – (১) জুমুয়ার দিন এবং (২) আরাফার দিন !”
দলীল —
√ তিরমীযি শরীফ
উক্ত হাদীস শরীফে জুমুয়ার দিনের সাথে সাথেআরাফার দিনকেও ঈদেরদিন হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়েছে |
০৩: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, মু’মিন মুসলমানদের প্রতি মাসে চারটিঅথবা পাঁচটি ঈদ রয়েছে | অর্থাৎ প্রতিমাসে চারটি অথবা পাঁচটি সোমবার শরীফ হয়েথাকে |”
দলীল —
√ কিফায়া শরহে হিদায়া ২য় খন্ড – বাবুছালাতিল ঈদাইন ,
√ হাশিয়ায়ে লখনবী আলালহিদায়া !
০৪: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, রোযাদারের জন্য দুটিঈদ বা খুশি| একটি হলো তার প্রতিদিন ইফতারের সময়| আর অন্যটি হলো মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতের সময় !'”
দলীল–
√ বুখারী শরীফ – কিতাবুস সাওম
√ মুসলিম শরীফ
√ মিশকাত শরীফ , রোজারঅধ্যায়!
দেখুন, উক্ত হাদীস শরীফেরোজাদার দের জন্যদুটি ঈদ বা খুশির কথা বলা হইছে ! একটা তার ইন্তেকালের পর আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাত ! আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে , ইফতারকরার সময় !
ইফতিার দুই প্রকার –
(১) ইফতারে কুবরা!
(২) ইফতারে ছোগরা!
কুবরা হচ্ছে, ঈদুল ফিতরযা হাদীস শরীফদ্বারা প্রমানিত ! আর ছুগরা হচ্ছে, রোজাদার প্রতিদিন মাগরিবের সময় করে থাকেন !
এটি প্রতিবছর ২৯ বা ৩০ দিন হয়েথাকে !
এছাড়া সুন্নত রোজা হিসাবে আরো রোজা রয়েছে, যেমন-
মুুহররম শরীফ মাসে ৯,১০ বা ১০,১১ তারিখ দুইটিরোজা এবং এর সাথে আরো ১ টি রাখা হয়,
মোটা ৩ টি !
শাওয়াল মাসে ৬ টি রোজা রোজা!
যিলহজ্জ শরীফ মাসে ১ হতে ৯ তারিখপর্যন্ত ৯ টি রোজা !
এবং বাকি ১১ মাসে৩ করে সুন্নত রোজা , মোট ৩৩ টি রোজা !
এই রোজাদার দের প্রতিটি ইফতার হলো ঈদ !
সুবহানাল্লাহ্!
আসুন আমারা মোট ঈদ সংখ্যা হিসাব করি—>>
বছরে ৫২ টি শুক্রবার + ৫২ টি সোমবার শরীফ+ রমাদ্বান শরীফে ৩০ টি + বাকি ১২ মাসে ৩ করে ৩৪ টি + যিলহজ্জ মাসে ৯ টি + মুহররম মাসে ২ টি + পহেলা রজব ১ টি + ২৭ শে রজব ১টি+ ১৫ শাবান ১ টি =
( ৫২+৫২+৩০+৩৩+৯+২+১+১)
= ১৮০ টি ঈদ !
সুবহানাল্লাহ্ !
এসব গুলা ঈদ হাদীসশরীফ দ্বারা প্রমানিত !
আল্লাহু আকবার !
আশাকরি পাঠকগণ বুঝতে পেরেছেন শরীয়তে ২ ঈদ ছাড়া আরো অনেকঈদ আছে যারাবলে ২ ঈদ ছাড়া আর কোনাঈদ নাই তারাঈদ অর্থ কি সেটাই জানে না জানলে আর এ কথা বলতো না তাই আসুণ আমরাশরীয়তের হুকুম আহকামমেনে তরীকতের কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকটবায়াত হয়ে নিজেকে আল্লাহ রাসূলের প্রেমে বিলিয়ে দেয় বূলুনআমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ