➖➖➖ইতিকাফ➖➖➖
📌✉ মুহাম্মদ আবদুস শুক্কুর বখতপুর, ফটিকছড়ি।
প্রশ্ন ঃ রমজান মাসে শেষ দশ দিন ‘ইতিকাফ’ নেয়া কি? যদি সমাজ থেকে মসজিদে কেউ ইতিকাফ না নেয় তাহলে শরীয়তের বিধান কি? গত রমজান মাসে মসজিদে ইতিকাফ নেয়া হয়নি। অনেকে বলছে এ বছর ২০ দিন ইতিকাফ নিতে হবে। আর কেউ বলছে নিতে হবে না। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। আশা করি সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়ে। এটা নিরসনে বাধিত করবেন।
🖋উত্তর : পবিত্র রমজান শরীফের শেষের দশদিন নির্ধারিত ইমামের মাধ্যমে জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ আলাল কেফায়া। অর্থাৎ মহল্লাবাসীর কেউ যদি ইতিকাফ করে তাহলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কেউ ইতিকাফ না করে তাহলে সকলেই সমানভাবে গুনাহগার হবে। কোন ঘটনাক্রমে কোন মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে যদি কেউ এ সুন্নাত ইতিকাফ পালন না করে থাকলে, তা পরবর্তীতে কাজা করার বিধান নেই। বরং এ গুনাহর জন্য আল্লাহর দরবারে সবাই ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ কার্য সংগঠিত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে। তবে ইতিকাফ থাকাকালীন কোন কারণে যদি কারাে ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যায়, তা পরবর্তীতে রােযাসহ কাজা করে দেয়ার বিধান রয়েছে।
[ফতােয়া-ই হিন্দিয়া ইত্যাদি দেখুন। ]
📌মুহাম্মদ আবুল কাসেম ভেন্ডার
চাপাতলী, আনােয়ারা, চট্টগ্রাম।
প্রশ্নঃ পবিত্র মাহে রমজান মাসের শেষ দশ দিন মুসলমানকে জামে মসজিদে ই’তিকাফ পালন করা সুন্নাত। আমাদের মসজিদে গত বছর যারা ই’তিকাফ পালন করেন, তারা গােসল করেছেন। কিন্তু জনৈক মৌলভী সাহেব বলেছেন, ই’তিকাফকারী ফরজ গােসল ব্যতীত দৈনিক গােসল করা ভাল নয়। এতে ই’তিকাফকারীর পক্ষে সাওয়াব’র ক্ষতি হয়। তাই ই’তিকাফের সময় গােসলের ব্যাপারে শরীয়তের বিধি-বিধান
কী তা জানালে উপকৃত হব।
🖋উত্তর ঃ ওয়াজিব ই’তিকাফ যেমন মান্নতকৃত ই’তিকাফ এবং সুন্নাত ই’তিকাফ যা রমজানের শেষ দশকে করা হয়, যা সুন্নাত-ই মুআক্কাদাহ আলাল কিফায়াহ। এ দু’প্রকার ই’তিকাফে বিনা প্রয়ােজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া হারাম। বিনা প্রয়ােজনে বের হলে ই’তিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর ই’তিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হওয়ার জন্য প্রয়ােজন বা ওযর দু’ধরনের-
১. স্বভাবজাত প্রয়ােজন। যা মসজিদে করা যায় না। যেমন পায়খানা-প্রস্রাব, ওযূ’ এবং গােসল ফরজ হলে গােসল করার জন্য বের হওয়া।
২. শরঈ প্রয়ােজন। ঈদ বা জুমুআর নামাযের জন্য বের হওয়া। এ দু’ধরনের প্রয়ােজন ব্যতীত যখন-তখন গােসল করার জন্য ই’তিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হবে না। হ্যা, ই’তিকাফকারী নিয়মিত গােসল না করলে যদি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে প্রয়ােজনে গােসল করতে বের হতে পারবে, তখন তা স্বভাবজাত প্রয়ােজন হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু বিনা প্রয়ােজনে যখন-তখন গােসল করতে বের হবে না। এটাই শরীয়তের ফায়সালা। কিতাবুল ফিক্হ ‘আলাল মাযাহিবিল আরবাআ ইত্যাদি।