প্রত্যেক মিথ্যাবাদী কাজ্জাব থেকে ঈমান সুরক্ষিত রাখুন।
হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম সম্পর্কে মহান অাল্লাহ্ পাক ক্বুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন,
قُلْ إِنَّنِي هَدَانِي رَبِّي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ دِينًا قِيَمًا مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ l قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ l لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ
যে নিজেকে নির্বোধ করেছে সে ব্যতীত ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ হতে আর কে বিমুখ হবে। পৃথিবীতে তাকে আমি মনোনীত করেছি; আর আখেরাতেও সে অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণগণের অন্যতম। তার প্রতিপালক যখন তাকে বলেছিলেন, আত্মসমর্পণ কর, সে বলেছিল, জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। এবং ইবরাহীম ও ইয়াকুব এই সম্বন্ধে তাদের পুত্রগণকে নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, হে পুত্রগণ! আল্লাহই তোমাদের জন্য এই দ্বীন মনোনীত করেছেন, সুতরাং আত্মসমর্পণকারী না হয়ে তোমরা কখনো মৃত্যুবরণ করো না।
[সূরা আল বাকারা ২ : ১৩০-১৩২]।
সুপ্রিয় পাঠক, জান্নাতের চাবি নামাজ (সালাত); সেই নামাজের অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে দরুদে ইব্রাহীম।
কাজেই হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের শা’ন মানের তাচ্ছিল্যকারীর নামাজ-রোজা কিছুই নয়। উক্ত ব্যক্তির ঈমানের দাবীও কিছুই নয়। কেননা সে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম এঁর ধর্মাদর্শকে কটাক্ষ করল।
অথচ সে ধর্মাদর্শের সত্যায়নকারী স্বয়ং রব্বুল ‘আলামীন।
এই খবিশেরা জ্ঞান বিতরণের নামে সরল মানুষগুলোকে কুফরীর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
দেখুন, অবিচল মুমিনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে খোশখবরি জানিয়ে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ l أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ خَالِدِينَ فِيهَا جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
যারা বলে, ‘আমাদের প্রতিপালক তো আল্লাহ’ অতঃপর অবিচল থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে, তারা যা করত তার পুরস্কার স্বরূপ।
[সূরা আল আহকাফ ৪৬ : ১৩-১৪]।
উপরোক্ত আয়াতে কারিমে আম্বিয়া ক্বিরাম অালাইহিমুস সালাম-দের প্রতি ঈমান আনয়নকারী মু’মিনদের সম্পর্কে উপরোক্ত ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
কাজেই সুধী পাঠক, তাহলে নবীগণ (আলাইহিমুস সালাম)-দের পরকালীন অবস্থা কি তা বিবেকবান মাত্রই বুঝতে পারেন।
অথচ ছদ্মবেশী শায়খ নামধারী অপরিণামদর্শীরা সরল মানুষদের ঈমানকে কুফরীর দিকে পরিচালিত করছে।
তাই ছদ্মবেশী এই সকল ওহাবী বাতীল ফির্কার আলিম বেশী ইসলামের দুষমনদের থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা সকল মুসলমানদের অবশ্য কর্তব্য।
____________
চুক্তি করে ওয়াজ করা সম্পর্কে প্রশ্নোত্তরে আহলে খবিশ কাজী ইব্রাহীমের মূর্খতাপূর্ণ জবাব।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1952057741776328
____________
হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাতু ওয়াস্ সালামের পিতা মাতা মু’মিন।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1939796883002414