পাক পাঞ্জাতান ৫ জন:
১। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
২। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩। হযরত ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা
৪। হযরত ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫। হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
“আমার আহলে বাইতকে আমার খাতিরে মহব্বত কর।” (আল্-কুরআন- ৪২:২৩, তিরমিযি শরীফ ও মেশকাত শরীফ সংকলন কানযুল ঈমান পৃঃ নং ৮৬৯)
‘কালিমা শরীফে’র প্রেমে কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইনের রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যে অতুলনীয় কোরবানী তা অনন্তকাল পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষের আত্মায় কালিমা’র বীজ বপন করবে। In a distant age and climate the tragic scene of the death of Hazrat Imam Hussain radiallahu tayala anhu for Islam, will awaken the sympathy of the coldest reader.
হযরত রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছ থেকে কি দাবী করেন তা পবিত্র কুরআনে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে: “হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আপনি বলে দিন যে, ইসলাম ধর্ম প্রচারের বিনিময়ে আমার নিকটতম জনের (আহলে বাইত) প্রাণাধিক ভালবাসা ব্যতীত, আমি-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের নিকট কোন পারিশ্রমিক চাই না।” (আল্-কুরআন-৪২:২৩)।
হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহলে বাইত সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন: “মহান আল্লাহ তোমাদেরকে যে নেয়ামত দান করেছেন, তার জন্য আল্লাহকে ভালবাস এবং আল্লাহর জন্য আমাকে ভালবাস এবং আমাকে ভালবাসার জন্য আমার আহলে বাইতকে ভালবাস।” (মেশকাত শরীফ)
পাক পাঞ্জাতান (আলাইহিমুস্ সালাম) Holy Five
মহা-পবিত্র আল্-কুরআনে ১৯ সংখ্যাটির দুর্ভেদ্য গাণিতিক বন্ধন এই গ্রন্থকে বিস্ময়ের বিস্ময় (Miracle of miracles) হিসেবে চিরকাল ঘোষণা করছে। ১৯ সংখ্যাটি আবার মধুর সম্পর্ক রেখেছে পাক পাঞ্জাতান (আলাইহিমুস্ সালাম) এর পবিত্র নামের সাথে। সকল ধর্মগ্রন্থের প্রাণ আল্-কুরআন। আল্-কুরআনের প্রাণ সূরা ফাতেহা (উম্মুল কুরআন)। সূরা ফাতেহার প্রাণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আর বেহেশ্তের অনন্তকালের প্রাণ পাক পাঞ্জাতান (আলাইহিমুস্ সালাম)। অসীম শক্তি সম্পন্ন বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বাক্যটির মধ্যে ১৯টি অক্ষর ও ৪টি শব্দ রয়েছে। শব্দ চারটি যথাক্রমে: বিসমি, আল্লাহ্, রাহমান ও রাহীম।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আহলে বাইত, নূহ নবীর (আ:) কিস্তির সমতুল্য। যারা ঈমানের সঙ্গে নৌকায় আরোহণ করেছেন তাঁরা বেঁচে গেছেন আর যারা নৌকায় আরোহণ করেনি তারা ডুবে মরেছে।
হযরত রাসূলে পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হযরত ফাতেমা (রা:) আমারই একটি অংশ।” মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আনা মদিনাতুল এলমে ওয়া আলীউন বাবুহা” অর্থাৎ আমি জ্ঞানের শহর আর আলী (রা:) তার দরজা। (তিরমিযি শরীফ ও মেরকাত শরহে মেশকাত শরীফ ৫ম খন্ড ৫১৭ পৃঃ)
হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মান আহাব্বা হুমা ফাক্বাদ আহাব্বানী।” অর্থাৎ যে ব্যক্তি ইমাম হাসান (রা:) ও ইমাম হোসাইনকে (রা:) ভালবাসল সে যেন আমাকেই ভালবাসল। হযরত হোসাইনের (রা:) মহব্বতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হোসাইন মিন্নী ওয়া আনা মিন হোসাইন।” অর্থাৎ হোসাইন (রা:) আমা হতে আর আমি হোসাইন (রা:) থেকে। (সংকলন: তিরমিযি শরীফ ও বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থ)
মহা-পবিত্র পাক পাঞ্জাতানের (আলাইহিমুস্ সালাম) মধ্যে তিনজনই বেহেশ্তে অনন্তকালের সর্দার। হযরত ফাতেমা (রা:) সমস্ত মহিলাদের সর্দার এবং হযরত ইমাম হাসান (রা:) ও হযরত ইমাম হোসাইন (রা:) সমস্ত পুরুষদের সর্দার সেই বেহেশ্তের যে বেহেশ্তের এক দেরহাম পরিমাণ জায়গার মূল্য সারা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সকল সম্পদের চেয়ে বেশী। (বোখারী শরীফ)
অনন্তকালে বেহেশ্তে নূরুন্নবী’র সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদরের কন্যা ও নাতিদের মর্যাদার আসন যদি এই হয় তাহলে রাসূলে পাকের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শান যে কত ঊর্ধ্বে তা আল্লাহই ভাল জানেন। “ওয়ারাফা’না লাকা যিক্রাক” অর্থাৎ এবং আমি আপনার যিকিরকে (স্মরণকে) উচ্চ মর্যাদা দান করেছি। (আল্-কুরআন-৯৪:৪)
মহা-পবিত্র কুরআন ও হাদীস শরীফ এটাই প্রমাণ করে যে, মানব জাতির আদর্শ নূরুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর নারী জাতির আদর্শ খাতুনে জান্নাত সৈয়দা ফাতেমাতুয্ যোহরা (রা:)।
ইসলামী গবেষণা বিভাগ
বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।