√ পর্দাশীলতা কেন জরুরী?
একটি গল্প দিয়েই শুরু করা যাক।একটা বাচ্চা মেয়ে তার শিক্ষককে জিজ্ঞেস করল,”স্যার! আমাদের মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্ক হলে পর্দা করা কেন জরুরি? শিক্ষক বললেন চল তোমাকে বাস্তব একটা উদাহরণ দেখাই।যাতে তোমার বুঝতে সহজ হবে।
শিক্ষক দুটি চকলেট কিনলেন।তারপর একটা চকলেট প্যাকেট থেকে বের করে মাটিতে ফেললেন। আর সাথে প্যাকেটসহ চকলেটটিও ফেললেন।শিক্ষক বললেন তুমি বল এখন কোন চকলেট টি খাবে।সে বলল প্যাকেটসহ টা।শিক্ষক বললেন কেন?
বাচ্চা মেয়েটি বলল কারণ ওইটা নোংরা হয়ে গিয়েছে। আর এটা নোংরা হয় নি প্যাকেট টির কারণে।
উপরোক্ত ঘটনাটি থেকে আমরা কি শিখলাম?নারীদের ইসলামে সম্মান অনেক বেশি।তাই ইসলাম নারীদের জন্য কিছু নিয়ম তৈরী করে দিয়েছে যেন নারীর সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকে।
নারী আপনি কারো মা,কারো বোন,কারো স্ত্রী, কারো বা মেয়ে।প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই নারীর সম্মান অনেক বেশি।যেমন-আপনি মা হয়ে সন্তানের জন্য জান্নাত, মেয়ে হয়ে বাবার জন্য জান্নাত ইত্যাদি। তাই এই সম্মান টাকে অক্ষুণ্ন রাখতেই ইসলাম কিছু বিধিমালা প্রয়োগ করেছে।
এখন কারো যদি প্রশ্ন আসে যে এই পর্দার বিধান দিয়ে ইসলাম আমাদেরকে কি আবদ্ধ করে রাখছে না?আমি বলব না।আরেকটি উদাহরণ দিচ্ছি।
যদি কারো একটি ফুলের বাগান থাকে আর গাছের মধ্যে যদি ফুল থাকে তাহলে কি বাগানের মালিক বাগানটিকে এমনিতেই ফেলে রাখবে?না।এ তো হতেই পারে না।তিনি ওই বাগানটির সুরক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবেন।বাঁশ দিয়ে বেড়া তেরী করে বাগানের চারপাশে ঘিরে রাখবেন।যেন কোনো পশুপাখি ফুলগুলোকে নষ্ট করতে না পারে।
আশা করি বুঝে গেছেন আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি।
ইসলামে নারীদের অধিক সম্মানিত করা হয়েছে বলেই পর্দার বিধান আরোপ করা হয়েছে।
সবশেষেঃ ইসলামের যেহেতু পর্দা করার জন্য অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাই বেপর্দা চলা-ফেরা করার কঠিন শাস্তিও রয়েছে। এই দুনিয়া ক্ষনস্থায়ী আমরা সকলেই জানি।আজ আপনি যাদেরকে দেখানোর জন্য বেপর্দা চলা-ফেরা করেছেন,নিজের সৌন্দর্য যাদের সামনে প্রকাশ করছেন,নিজেকে যাদের কাছে স্মার্ট তৈরী করার চেষ্টা করছেন আপনি যদি ৫ মিনিট পর মারা যান তবে তারা কি আপনার কবরে যাবে?আপনার শাস্তির কিছু ভাগ তারাও কি গ্রহণ করবে?
না। আপনার নিজের শাস্তি নিজেকেই ভোগ করতে হবে।তাই আমি বলব ফিরে আসুন পর্দার দিকে।গুণাহ হতে তওবা করে নিন।ইসলামের বিধানগুলে নিজের জীবনে বাস্তাবায়ন করে নিন।আল্লাহ বুঝার তৌফিক দান করুন।