লা’মাযহাবীরা পবিত্র ২৭ রজব তথা পবিত্র মি’রাজ শরীফের রাতে ইবাদত ও দিনে রোযা রাখার বিরোধিতা করে। তারা বলে- সুন্নীদের কাছে নাকি ‘গুন্ইয়াতুত তালিবীন’ ও ‘মাছাবাতা বিস সুন্নাহ’ ছাড়া আর কোনো কিতাবের দলীল নেই। নাউযুবিল্লাহ! আজকে আমরা দেখবো ‘গুন্ইয়াতুত তালিবীন’ ছাড়াও আরো অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফের দলীল মওজুদ আছে। সুবহানাল্লাহ! যদিও ঈমানদারদের জন্য ‘গুন্ইয়াতুত তালিবীন’ কিতাবই আমলের দলীল হিসাবে যথেষ্ট।
প্রথমেই যে বিষয়টা জানা দরকার সেটা হচ্ছে- পবিত্র মি’রাজ শরীফের তারিখ কোনটি? সালাফী লা’মাযহাবীদের অন্যতম মান্য আল্লামা হযরত হাফিজ ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ বিষয়ে বলেন,
أَنَّ الْإِسْرَاءَ كَانَ لَيْلَةَ السَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنْ رَجَبٍ.
অর্থ: অবশ্যই মি‘রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছে পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখ।(বেদায়া ওয়ান নিহায়া লি ইবনে কাছীর- ৩য় খন্ড ১৩৫ পৃষ্ঠা পৃ. দারু ইহ্য়িাউত তুরাস আল আরাবী, বয়রুত লেবানন)
হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরেকটি মশহুর কিতাব সিরাতুন নববীয়ার ২ খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠাতেও এই বর্ণনা করেছেন।
পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফের কিতাব থেকে সনদসহ পবিত্র ২৭ রজব শরীফ বা মিরাজ শরীফের আমল ও রোযার পর্যালোচনা উল্লেখ করা হলো-
أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنِي أَبُو نَصْرٍ رَشِيقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرُّومِيُّ إِمْلَاءً مِنْ كِتَابِهِ بالطَّابِرانِ، أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْهَيَّاجِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” فِي رَجَبٍ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ مَنْ صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ، وَقَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ كَانَ كَمَنْ صَامَ مِنَ الدَّهْرِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَقَامَ مِائَةَ سَنَةٍ وَهُوَ ثَلَاثٌ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ.
অর্থ: হজরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, রজব মাসে এমন একটি দিন ও একটি রাত রয়েছে, যিনি এদিন রোযা রাখবেন, আর রাত জেগে ইবাদত করবেন, তবে তিনি যেন ১০০ বছরের রোযা রাখলেন এবং ১০০ বছরের রাত জেগে ইবাদত করলেন, আর তা হচ্ছে পবিত্র রজব উনার ২৭ তারিখ। সুবহানাল্লাহ! (শোয়াবুল ঈমান লিল বায়হাক্বী- বাবু তাকছিছু শাহরী রজব বিয যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৫পৃ, হাদিস-৩৫৩০,ফাদ্বায়িলুল আওকাত লিল বায়হাক্বী ১/৯৬,জামিউল আহাদীছ ১৪/৪৯৬: হাদীছ ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীছ ৩৫১৬৯, জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড, নেদায়ে রাইয়ান ফি ফিক্বহিস সওমে ওয়া ফদলী রমাদ্বান ১/৪২১)
হাদীছ শরেীফের বিখ্যাত ইমাম হযরত বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সনদ সহকারে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন,
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَالِحٍ خَلَفُ بْنُ مُحَمَّدٍ بِبُخَارَى، أَخْبَرَنَا مَكِّيُّ بْنُ خَلَفٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ أَحْمَدَ، قَالَا: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْحُسَيْنِ، أَخْبَرَنَا عِيسَى وَهُوَ الْغُنْجَارُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ أَبَانَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: ” فِي رَجَبٍ لَيْلَةٌ يُكْتَبُ لِلْعَامِلِ فِيهَا حَسَنَاتُ مِائَةِ سَنَةٍ، وَذَلِكَ لِثَلَاثٍ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، فَمَنْ صَلَّى فِيهَا اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ يَتَشَهَّدُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، وَيُسَلِّمُ فِي آخِرِهِنَّ، ثُمَّ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَسْتَغْفِرُ اللهَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَدْعُو لِنَفْسِهِ مَا شَاءَ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَيُصْبِحُ صَائِمًا فَإِنَّ اللهَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءَهُ كُلَّهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُو فِي مَعْصِيَةٍ “
অর্থ: পবিত্র রজব মাসে একটি রাত আছে সে রাতের আমলকারীর সমস্ত আমলের ছওয়াব ১০০ গুণ করে লিপিবদ্ধ করা হয় সে রাতটি হলো পবিত্র ২৭শে রজব। যে ব্যক্তি ওই রাতে ১২ রাকায়াত নামায আদায় করবে যাতে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ সহ অন্য কোনো পবিত্র আয়াত শরীফ পাঠ করবে প্রতি দু’রাকায়াতে তাশাহুদ (পবিত্র দুরূদ শরীফ ও দুয়ায়ে মাছুরাসহ) পাঠ শেষে সালাম ফিরাবে। এবং নিম্নোক্ত দুআ ১০০ বার পাঠ করবে,
سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ
অতপর ১০০ বার ইস্তেগফার পাঠ করবে অতপর ১০০ বার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে। ওই ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণকর যত দোয়া করবে এবং সকালে রোযাদার অবস্থায় অবস্থান করবে তার সকল দোয়াই কবুল করা হবে, শুধুমাত্র গুনাহের কাজের জন্য দোয়া ব্যতীত। সুবহানাল্লাহ। (শোয়াবুল ঈমান লিল বায়হাক্বী- বাবু তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৬ পৃ, হাদিস-৩৫৩১,ফাদ্বায়িলুল আওকাত লিল বায়হাক্বী ১/৯৭ : হাদীছ ১২, তাবয়িনুল আযাব বিমা উরিদা ফি ফাদলি রজব ১/৩১, জামিউল আহাদীছ ১৪/৪৯৬ : হাদীছ ১৪৮১২,কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীছ ৩৫১৭০,জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড বাবু হারফূ ফা,আসারুল মারফুয়া ১/৬১ , তানযিয়াতু শরীয়াতিল মারফুয়া ২/৮৯)
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সাইয়্যিদুনা মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব “গুন্ইয়াতুত তালিবীন” নামক কিতাবে পবিত্র শবে মি’রাজ তথা পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখের রোযার ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফগুলো বর্ণনা করেছেন যার সমর্থন ইমাম বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত জালালুদ্দীন সূয়ূতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের কিতাব থেকেও পাওয়া যায়,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ من صام يوم السابع والعشرين من رجب كتب له ثواب صيام ستين شهرا.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি রজবুল হারাম শরীফ মাসের ২৭ তারিখে দিবাভাগে রোযা রাখবে তার আমলনামায় ৬০ মাসের রোযা রাখার ছওয়াব লেখা হবে। সুবহানাল্লাহ! (আল ইতহাফ ৫ম খ- পৃষ্ঠা ২০৮, আল মা’য়ানী আনিল হামলিল ইসফার প্রথম খ- ৩৬৭ পৃষ্ঠা, গুনিয়াতুত্ তালিবীন, ক্বিসমুস্ ছায়ালিস ৩৩২ পৃষ্ঠা)
এ প্রসঙ্গে উক্ত কিতাবে আরো বর্ণিত আছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَحَضْرَتْ سَلْمَانْ الفَارِسِىْ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ان فى رجب يوما و ليلة من صام ذالك اليوم وقام تلك اليلة كان له من الاجر كمن صام مأة سنة وقامهما وهى لثلاث بقين من رجب.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত সালমান ফারিসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা উভয়েই বর্ণনা করেন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের এমন একটি দিন ও রাত আছে ওই রাত্রে যে ব্যক্তি ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিবাভাগে রোযা রাখবে তার আমলনামায় ওই পরিমাণ ছওয়াব লেখা হবে যে পরিমাণ ছওয়াব কোনো ব্যক্তি একশত বছর রাতে ইবাদত-বন্দেগী করলে এবং একশত বছর দিনের বেলায় রোযা রাখলে তার আমলনামায় যেরূপ ছওয়াব লেখা হয়। আর সেই রাত ও দিনটিই হচ্ছে রজবুল হারাম শরীফ মাসের ২৭ তারিখ তথা পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফের রাত ও দিনটি।” সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং গুন্ইয়াতুত তালিবীন কিতাবে আছে কিন্তু অন্য কোনো হাদীছ শরীফের কিতাবে নেই বলে উড়িয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। গাউছুল আযম, সাইয়্যিদুনা মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ হাদীছ শরীফে আছে বিধায় উনার কিতাবে বর্ণনা করেছেন। আর গাউছুল আযম সাইয়্যিদুনা বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইলমে হাদীছের ইলিম কত যে গভীর, সেটাবিরোধিতাকারীদের জানার কথা নয়। সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাগদাদের সেই বিখ্যাত ‘নিজামীয়া মাদরাসা’য় লিখা পড়া করেছেন। উনার সীরাত মুবারকে বর্ণনা আছে- তিনি উক্ত মাদরাসায় ১৩টা বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের ইলম অর্জন করেন।
উনাকে যখন হাদীছ শরীফের সর্বোচ্চ সনদপত্র দেয়া হয়, তখন বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দিস মুয়াল্লিমগণ উনাকে বলেন, “হে আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি! হাদীছ শরীফ শাস্ত্রে সনদ দানের এই নিয়ম অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আপনাকে সনদ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, হাদীছ শস্ত্রের ব্যাখ্যা, এর মর্ম উদঘাটন, যাবতীয় বিষয়ে আমরাই আপনার দ্বারা উপকৃত হয়েছি। আপনার সুগভীর ইলম ও প্রতিভা,যুক্তি এবং অনুসন্ধিৎসার ফলে হাদীছ শাস্ত্র নতুনভাবে আমাদের জ্ঞানের আলো প্রদান করলো।” (দলীল: সীরাতে মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি)
সুতরাং গাউছুল আযম সাইয়্যিদুনা মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইলমে হাদীছ সর্ম্পকে কথা বলার কোনো সুযোগই নাই।
পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখের রোযা সর্ম্পকে আরো অনেক বর্ণনা অসংখ্য কিতাবের মধ্যে রয়েছে, সেখান থেকে কতিপয় বর্ণনা উল্লেখ করা হলো-
عن عامر بن شبل الحرمى سمعت رجلا يحدث : أنه سمع أنس بن مالك يقول فى الجنة قصر لا يدخله إلا صوام رجب (ابن شاهين فى الترغيب)
অর্থ: হযরত আমর ইবনে শুবল হারামি বলেন আমি এক ব্যক্তিকে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেন,জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, যেখানে পবিত্র রজব মাসের বিশেষ দিন (তথা ২৭ রজব) রোযদার ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (জামিউল আহাদীছ লিস সূয়ুতী ৩৩/৬৪ : হাদীছ ৩৫৭৯২)
عن عامر بن شبل الحرمي سمعت رجلا يحدث أنه سمع أنس بن مالك يقول: “في الجنة قصر لا يدخله إلا صوام رجب”. “ابن شاهين في الترغيب
অর্থ: হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, যেখানে পবিত্র রজবমাসের বিশেষ দিন তথা ২৭ রজব রোযাদার ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।(কানযুল উম্মাল ৮/৬৫৩: হাদীছ ২৪৫৮২)
وأخرج البيهقي والأصبهاني عن أبي قلابة رضي الله عنه قال : في الجنة قصر لصوام رجب
অর্থ: হযরত আবু কিলাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বিশেষ বালাখানা রয়েছে, পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বিশেষ বালাখানা দেয়া হবে। (আদ দররুল মানছুর লি সুয়ূতী ৭/৩৪৪)
أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو مُحَمَّدِ بْنُ أَبِي حَامِدٍ الْمُقْرِئُ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ هُوَ الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْبُرُلُّسِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ شِبْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا قِلَابَةَ يَقُولُ: ” فِي الْجَنَّةِ قَصْرٌ لِصُوَّامِ رَجَبٍ ” . قَالَ أَحْمَدُ: ” وَإِنْ كَانَ مَوْقُوفًا عَلَى أَبِي قِلَابَةَ وَهُوَ مِنَ التَّابِعِينَ، فَمِثْلُهُ لَا يَقُولُ ذَلِكَ إِلَّا عَنْ بَلَاغٍ عَمَّنْ فَوْقَهُ مِمَّنْ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ، وَبِاللهِ التَّوْفِيقُ
হযরত ইমাম বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি আবু কিলাবা রদ্বিয়াল্লাহু উনার ছহীহ সনদে বর্ণনা করেন, জান্নাতে একটি বিশেষ বালাখানা রয়েছে। পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদেরকে বিশেষ বালাখানা দেয়া হবে। (শুয়াবুল ঈমান লি বায়হাকী ৫/৩৩৭: হাদীছ ৩৫২১)
أخبرنا أبو نصر بن صاعد الحوشي، ثنا محمد بن يعقوب، ثنا إبراهيم بن سليمان، ثنا عبد الله بن يوسف، ثنا عامر بن شبل قال: سمعت أبا قلابة يقول:
في الجنة قصر لصوام رجب
বিখ্যাত কিতাব “তারগীব ওয়াত তারহীবে” ভিন্ন সনদে বর্ণিত আছে , জান্নাতে একটি বিশেষ বালাখানা রয়েছে। পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বিশেষ বালাখানা দেয়া হবে। (তারগীব ওয়াত তারহীব ২/৩৯২: হাদীছ ১৮৪৮,ফায়দ্বুল কাদীর শরহে জামিউছ ছগীর ৪/২৭৭)
عن حضرت أبى قلابة قال : فى الجنة قصر لصوام رجب (ابن عساكر)
হযরত আবু কিলাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বালাখানায় দেয়া হবে। (জামিউল আহাদীছ লি সুয়ূতী ৪০/২৮৩ : হাদীছ ৪৩৯৫০, আল হাউয়ি লিল ফতোয়া ২/১৭১)
عن أبي قلابة قال: “في الجنة قصر لصوام رجب”
বিখ্যাত কিতাব “ কানযুল উম্মালে” বর্ণিত আছে, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে পবিত্র রজব এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বালাখানায় দেয়া হবে।(কানযুল উম্মাল ৮/৬৫৩: হাদীছ ২৪৫৮১)
قال عامر بن شبل: سمعت أبا قلابة يقول: في الجنة قصر لصوّام رجب
আরো বর্ণিত আছে, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, পবিত্র রজব এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বালাখানায় দেয়া হবে। (মুখতাছারু তারিখু দিমাষ্ক ৪/৭২)
সুতরাং এত অসংখ্য ছহীহ দলীল থাকার পরও যারা পবিত্র রজব মাস উনার ২৭ তারিখের রোযা ও আমল নিয়ে বিরোধিতাকরে তারা মূলত বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী। তারা চায় না সাধারণ মানুষ বিশেষ রাতে নেক আমল করে আল্লাহওয়ালা হোক। নাউযবিল্লাহ!