প্রসঙ্গঃ মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ ও রওযা মোবারককে মসজিদের ভিতরে আনয়নঃ হযরত ওমর (رضي الله عنه)-এর পা এবং রাসুল্লাহ [ﷺ]-এঁর হাত মোবারক প্রকাশ।
৮৬ হিজরী সনের ঘটনাঃ
৮৬ হিজরী সনে উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিক-এর যুগে মসজিদে নববী দ্বিতীয়বার সম্প্রসারিত হয়। তখন মদীনার গভর্ণর ছিলেন হযরত ওমর ইবনে আবদুল আযিয (رضي الله عنه)। তিনি যাজান নামক এক কারিগরের দ্বারা মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ কাজ সমাধা করেন। তিনি মসজিদকে পূর্বদিকে সম্প্রসারণ করে রওযা মোবারককে মসজিদের ভিতরে নিয়ে আসেন।
সেসময়ে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছিল- রওযা মোবারকের এক দিকের দেয়াল ঐ সময় ভেঙ্গে যায়। রওযা মোবারকের ভিতর থেকে একখানা পা মোবারক দৃষ্টিগোচর হয়। উপস্থিত সকলে ভীত ও সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়লেন এ কথা ভেবে যে, হয়তো বা তা নবী করীম [ﷺ]-এঁর কদম মোবারক হবে। কিন্তু উপস্থিত হযরত উরওয়াহ্ ইব্নে যোবাইর (رضي الله عنه) অনুসন্ধান করে বললেন- এটা হযরত ওমর (رضي الله عنه)-এর কদম মোবারক –রাসুল্লাল্লাহর নয়। সুব্হানাল্লাহ্! ২৩ হিজরীতে হযরত ওমর (رضي الله عنه) শহীদ হন। ৮৬ হিজরীতে এসেও তাঁর কদম মোবারক তরতাজা ছিল। মূলতঃ শহীদগণ অমর।
৫০৯ ও ৫৫৭ হিজরী সনের ঘটনাঃ
অনুরূপভাবে ৫০৯ হিজরী সালে এবং ৫৫৭ হিজরীতে যথাক্রমে হযরত বড়পীড় আবদুল কাদে জিলানী (رضي الله عنه) সাইয়েদ আহমদ রেফায়ী (رحمة الله عليه) মদীনা শরীফ যিয়ারতকালে তাঁদের ফরিয়াদে জিন্দা নবী রাসুলে করীম [ﷺ]-এঁর ডান হাত মোবারক রওযা শরীফ থেকে উপরে উঠে আসে এবং তাঁরা হস্ত মোবারক চুম্বন করেন। (বাহ্জাতুল আসরার, নুজহাতুল খাতির, হুসনুল মাকাসিদ- প্রভৃতি গ্রন্থ)। নবীগণ এবং অলীগণ কবরে যিন্দা থাকেন- তার বাস্তব প্রমাণ উক্ত তিনটি ঘটনা। জালালুদ্দীন সূয়ুতির হুসনুল মাকাসিদ, আবুল হাসান শাতনুফীর বাহ্জাতুল আসরার ও মোল্লা আলী ক্বারীর নুজহাতুল খাতির গ্রন্থের নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে কারো কোন সন্দেহ থাকতে পারেনা। অধমের রচিত কারামাতে গাউসুল আযম (رضي الله عنه) গ্রন্থে হুযুরের হাত উত্তোলনের আরবী দলীল দেখুন।