
মুসলমানের সম্মানের খুবই গুরুত্ব রয়েছে। স্বয়ং নিজের হাতেই নিজের সম্মান নষ্ট করারও শরীয়াতে নিষিদ্ধ, অতএব এমন রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলা শরয়ীভাবে আবশ্যক, যা কুরআন ও সুন্নাতের পরিপন্থি নয় এবং এতে আমল না করাতে অপমান ও লাঞ্চনার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন; ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল, কার ইত্যাদি চালানোর অনুমতি নেই, কেননা চালালো আর ধরা পড়ে গেলো তবে অপমানিত হওয়ার পাশাপাশি মিথ্যা, ঘুষ, ওয়াদা ভঙ্গ ইত্যাদি গুনাহে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে, তাই অসংখ্য গুনাহ ও জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ থেকে বাঁচার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সই বানিয়ে নিন এবং গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই তা নিজের সাথে রাখুন।
আলা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, মাওলানা ইমাম আহমদ রযা খাঁন রাহিমাহুল্লাহ ‘ফতোওয়ায়ে রযবীয়্যাহ’ ২১তম খণ্ডের ১৮৩ পৃষ্ঠায় বলেন:
‘শরয়ী কোন কারণ ব্যতীত বরং শরীয়াতের বিরোধিতার কারণে একটি অপরাধকে বারবার করার জন্য নিজেকে শাস্তি ও অপমানের সম্মুখীন করা আর তাও হাদীসের নির্দেশ অনুযায়ী হারাম।’
২৯তম খণ্ডের ৯৩, ৯৪ পৃষ্ঠায় বলেন: হাদীস শরীফে রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোন অপারগতা ব্যতীত নিজেকে স্বেচ্ছায় অপমানের স্থলে সমর্পণ করে, সে আমার নয়।’ (মু’জাম আওসাত, ১/১৪৭, হাদীস ৪৭১)
সর্বাবস্থায় নিজের সম্মানের হিফাযত করা আবশ্যক ।