(১) কাপড় দাঁড়ি বা শরির নিয়ে খেলা করা কাপড় নেয়া যেমন- (২) সিজদায় গমন কালে সামনে বা পিছন থেকে তুলে নেয়া যদিও বা আশপাশ থেকে রক্ষার জন্য হয়ে থাকে, যদি বিনা কারণে হয়, আরাে অধিক মাকরূহ।
(৩) কাপড় ঝুলিয়ে রাখা, যেমন মাথা বা কাধে এভাবে রাখা, যেন উভয় কিনারা ঝুলে থাকে। এসব মাকরূহ তাহরীমি।(বিভিন্ন ফিকহের কিতাব) মাসআলা নং-১: যদি শার্ট জামা ইত্যাদির হাতায় হাত ঢুকিয়ে পিঠের দিকে নিক্ষেপ করে তখনও একই হুকুমত (অথাৎ মাকরূহ তাহরীমি)। (মুসতাফাদ মিনাল দুররুর)
মাসাআলা নং- “-২: রুমাল বা শাল বা লেপ-তােষক বা চাদরের কিনারা কাধের দ দিকে ঝুলিয়ে রাখা নিষিদ্ধ ও মাকরূহ তাহরীমি । এক প্রান্তে অন্য কাধের উপর। রাখলাে, দ্বিতীয় প্রান্ত ঝুলিয়ে রাখলে ক্ষতি নেই। আর যদি একই কাঁধের উপর রাখে এভাবে যে, এক প্রান্ত পিঠের উপর ঝুলায়ে আছে, দ্বিতীয় প্রান্ত পেটের উপর যেমন- সাধারণত: বর্তমান যুগে কাঁধের উপর রুমাল রাখার পদ্ধতি | প্রচলিত। এটাও মাকরূহ।৯৪২ (দুররুল মুখতার, রদুল মুহতার) |
মাসআলা নং-৩: (৪) কোনাে হাত কজির অর্ধেকের চেয়ে বেশি উঠিরে বা (৫)আঁচল কুড়ায়ে নামায পড়া মাকরূহ তাহরিমি। আগে উঠানাে থাকুক না নামাযের মধ্যে উঠায়ে রাখুক। (দুররুল মুখতার)।
মাসআলা নং-৪: (৬) পায়খানা, প্রস্রাবের গতি প্রবল হওয়ার সময় বা (৭) বায়ু নির্গত হওয়ার প্রবলতার সময় নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমি।হাদিস শরিফে আছে যে, -“যখন নামাযের ইকামত দেয়া হল এবং কারাে পায়খানায় যাওয়ার প্রয়ােজন হয়, প্রথমে পায়খানায় যাবে।” এ হাদিসটি ইমাম তিরমিযি (এ) হযরত আবদুল্লাহ বিন আরকাম (19) থেকে বর্ণনা করেছেন ।ইমাম আবু দাউদ, নাসাঈ এবং মালিকও অনুরূপ হাদিস বর্ণনা করেন।
মাসআলা নং-৫: নামায শুরু করার পূর্বে যদি এসব বস্তুর প্রবলতা বৃদ্ধি পায়, তাহলে ওয়াক্তের মধ্যে প্রসস্ততা থাকা সত্ত্বেও শুরু করা নিষিদ্ধ ও গুনাহ যদিও জামা’আত চলে যায়, হাজত সেরে নেবে, আর যদিও দেখা যায় যে, হাজত সেরে অযুর পর ওয়াক্ত চলে যাবে তখন সময়ের বিবেচনা করে নামায আগে পড়ে নেবে। যদি নামাযরত এ অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং সময়ও থাকে তখন নামায। ভেঙ্গে ফেলা ওয়াজিব। আর যদি সে অবস্থায় পড়ে নেয় গুনাহগার হবে। (রদুল মুহতার)
মাসআলা নং-৬: (৮) পুরুষরা ঝুটা বেঁধে নামায পড়া মাকরূহ তাহরিমি। নামাযরত ঝুটা বাঁধলে নামায ফাসেদ হবে।
মাসআলা নং-৭: (৯) নামাযে কংকর সরানাে মাকরূহ তাহরিমি। যদি সুন্নাত অনুসারে সিজদা আদায় করা না যায় তখন একবার সরানাে অনুমতি আছে, কিন্তু একবার হতেও বেছে থাকা উত্তম। যদি সরানাে ছাড়া ওয়াজিব আদায় না হয় তখন সরানাে ওয়াজিব যদিও বা একবারের অধিক প্রয়ােজন হয়।(দুরুল মুখতার, রদুল মুহতার)
মাসআলা নং-৮: (১০) আঙ্গুল মটকানাে এবং (১১) এক হাতের আঙুল অন্য হাতের আঙ্গুলে প্রবিষ্ট করলে মাকরূহ তাহরীমি।(দুররুল মুখতার ও অন্যান্য কিতাব)।
মাসআলা নং-৯: নামাযে গমনকালে এবং নামাযের অপেক্ষারত সময়েও এ দুটি কাজ মাকরূহ আর যদি নামাযে বা নামাযের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে না হয় মাকরূহ হবে না,যদি কোন প্রয়ােজন হয়।(দুররুল মুখতার ও অন্যান্য ফিকহের কিতাব)
মাসআলা নং-১০: (১২) কোমরে হাত রাখা মাকরূহ তাহরিমি নামায ছাড়াও কোমরে হাত রাখা সমীচীন নয়। (দুররুল মুখতার)
মাসআলা নং-১১: (১৩) এদিক ওদিক মুখ ফিরিয়ে দেখা মাকরূহ তাহরীমি, সম্পূর্ণ চেহারা যদি ফিরে যায় বা আংশিক, যদি মুখ না ফিরে শুধু চোখের কোণে বিনা প্রয়ােজনে এদিক ওদিক দেখে তখন মাকরূহ তানযিহী, কোন সঠিক উদ্দেশ্যে হলে তখন মূলতঃ ক্ষতি নেই । (১৪) দৃষ্টি আকাশের দিকে নিবদ্ধ করা মাকরূহে তাহরিমা।
মাসআলা নং-১২: (১৫) তাশাহুদ বা সিজদার মাঝখানে কুকুরের ন্যায় বসা, অথাৎ হাটু সমূহ সিনার সাথে মিলায়ে দুহাত যমিনের উপর রেখে নিতম্বের উপর ভর দিয়ে বসা। (১৬) পুরুষ সিজদার মধ্যে জামার হাতা বিছালে । (১৭) কোনাে নাকের মুখের সামনে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমি। এভাবে অন্য লােক নামাযির দিকে মুখ করাও নাজায়েয ও গুনাহ। যদি মুসল্লির পক্ষ থেকে হয় মাকরূহ মুসল্লির উপর বর্তাবে। অন্যথায় অন্যজনের উপর।(দুররুল মুখতার)।
মাসআলা নং-১৩: মুসল্লিরা এবং ঐ ব্যক্তির মধ্যে যদি দুরত্ব হয়, তখনও মাকরূহ হবে । কিন্তু মাঝখানে যদি কোন বস্তু অন্তরাল হয় যেন দাঁড়ানাে ও সামনে না হয় তখন ক্ষতি নেই আর যদি উঠা বসার মুখােমুখি, দুজনের মাঝখানে একব্যক্তি, মুসল্লির দিকে পিট করে বসে গেল । এ অবস্থায় বসলে তাে মুখােমুখি হবে না, কিন্তু দাঁড়ালে মুখােমুখি হবে, তখনও মাকরূহ হবে।” (রদুল মুহতার)
মাসআলা নং-১৪: (১৮) কাপড় এমনভাবে জড়িয়ে যাওয়া, যার দ্বারা হাত বের করা যাচ্ছে না তাহলে মাকরূহ তাহরিমা হবে। নামায ছাড়াও বিনা প্রয়ােজনে, এভাবে কাপড় জড়িয়ে রাখা সমীচীন নয় এবং বিপদজনক স্থানে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। (দুররুল মােখতার)
মাসআলা নং-১৫: (১৯) পাগড়ি এমনভাবে বাঁধা যে, মাথার মধ্যভাগে না হলে মাকরূহ তাহরীমি। নামাযের বাইরেও এভাবে পাগড়ি বাঁধা মাকরূহ। (২০) এভাবে নাক, মুখ ঢেকে রাখা এবং (২১) বিনা প্রয়ােজনে গলা হাঁকড়ানাে, এসব মাকরূহ তাহরিমি। (দুররুল মুখতার, আলমগীরি)
মাসআলা নং-১৬: (২২) নামাযে ইচ্ছাকৃতভাবে হাই তােলা মাকরূহে তাহরিমি এমনি হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু বারণ করা মুস্তাহাব। প্রতিরােধে বারণ না হলে দাঁত দ্বারা ঠোট চেপে ধরবে । এতেও প্রতিরােধ না হলে তখন ডান হাত বা বাম হাত মুখে রাখবে, বা হাত দ্বারা মুখ চেপে ধরবে। দাঁড়ানাে অবস্থায়, হাত দ্বারা। ঢেকে রাখবে, অন্য স্থান বাম হাত দ্বারা।” (মারাকিল ফালাহ)। ফায়েদা: নবীগণ এর থেকে সংরক্ষিত, যেহেতু এর মধ্যে শয়তানের প্রবিষ্ঠ আছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হাই তােলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। যখন তােমাদের মধ্যে কারাে হাই তােলা আসে, যতদুর সম্ভব বন্ধের চেষ্টা করবে।” এ হাদিসটি ইমাম বুখারী (র) ও মুসলিম (র) বর্ণনা করেছেন । কতেক বর্ণনায় আছে-“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন তােমাদের কোন ব্যক্তি হাই আসলে বলে ‘হা’ তখন শয়তান দেখে হাসে।”ওলামায়ে কেরাম বলেন, যে ব্যক্তি হাই তােলার সময় মুখ খােলে শয়তান তার মুখ দিয়ে থুথু নিক্ষেপ করে। যে ব্যক্তির কাহ্ কাহ্ শব্দ বের হয় তা শয়তানের অট্টহাসি তার মুখ বিকৃত করে অট্টহাসি দেয় এবং থুথু বের হয় তা শয়তানের থুথু। তা বন্ধ করার উত্তম উপায় হলাে, যখন তা জানা যায় তখন অন্তরে ধারণা করবে, আল্লাহর নাবিগণ এর থেকে সংরক্ষিত ছিল তাৎক্ষণিক বন্ধ হয়ে যাবে।”(রদুল মুহতার)।
মাসআলা নং-১৭: (২৩) যেসব কাপড়ে প্রাণীর ছবি আছে, তা পরিধান করে নামায পড়া মাকরূহে তাহরিমি। নামাযের বাইরেও এ ধরণের কাপড় পরিধান করা নাজায়েয। (২৪) এভাবে মুসল্লির মাথার উপর বা ছাদের উপর বা ঝুলন্ত থাকে বা (২৫) সিজদার স্থানে হলে এবং তার উপর সিজদা করা হলে নামায মাকরূহে তাহরিমি। (২৬) এভাবে নামাযির সামনে (২৭) ডানে (২৮) বামে ছবি থাকলে নামায মাকরূহে তাহরিমি (২৯) পিঠের পিছনে হলেও মাকরূহ। এ চার অবস্থায় মাকরূহ তখন হবে, যখন ছবি সামনে, পিছনে, ডানে, বামে লটকানাে থাকলে বা খাড়া রাখলে, বা দেওয়ালে অঙ্কিত হলে, বা অন্য কোথাও খুদিত হলে। যদি বিছানার উপর হয় এবং এর উপর সিজদা করা না হয় মাকরূহ হবে। আর ছবি যদি অপ্রাণীর হয় যেমন নদী, পাহাড় ইত্যাদির হয় এতে ক্ষতি নেই। (ফিকহের কিতাবসমূহ)।
মাসআলা নং-১৮: ছবি যদি অপমানকর স্থানে হয়, যেমন জুতাে রাখার স্থানে বা বিছানার অন্য কোন স্থানে যা লােকদের পদদলিত হয় বা বালিশের উপর, যা হাটু ইত্যাদির নিচে রাখা হয় এমন ছবি ঘরে থাকলে মাকরূহ নয়। এর দ্বারা নামাযও মাকরূহ হবে না। যদি এর উপর সিজদা করা না হয়। (দুররুল মুখতার ও অন্যান্য কিতাব)।
মাসআলা নং-১৯: যে বালিশে ছবি আছে তা খাড়া রাখা ছবির প্রতি সম্মানের শামিল এবং এ ধরণের করলে নামাযও মাকরূহ হবে । (দুররুল মুখতার)
মাসআলা নং-২০: যদি হাতে বা শরীরের অন্য কোন স্থানে ছবি থাকে কিন্তু কাপড় দ্বারা ঢেকে আছে, বা আংটির উপর ছােট ছবি অঙ্কিত আছে বা সামনে, পিছনে, উপরে, নীচে, ডানে, বামে, কোন স্থানে ছােট ছবি থাকে অর্থাৎ এ পরিমাণ হওয়া যে, তা জমীনে রেখে দাঁড়িয়ে দেখলে আঙ্গুলসমূহে পৃথক পৃথক দেখা যায় না, বা পায়ের নিচে বা বসার স্থানে হলে, এসব অবস্থার নামায মাকরূহ হবে না। (দুররুল মুখতার)
মাসআলা নং-২১: ছবির মাথা কাটা বা চেহারাবিলীন করে দেয়া হলে যেমনকাগজ বা কাপড় বা দেওয়ালে তার উপর আলােকছটা পতিত হয় বা তার মাথা বা চেহারা যদি ঘষে ফেলা হয় বা ধুয়ে ফেলা হয় মাকরূহ হবে না । (রদুল মুহতার)।
মাসআলা নং-২২: যদি ছবির মাথা কাটা থাকে কিন্তু মাথা স্বীয় স্থানে আছে কখনও পৃথক হয় না তখনও মাকরূহ হবে। যেমন- কাপড়ে ছবি টি.” ঘাড়ে সেলাই করা হলে শৃঙ্খলের মত পরিণত হয়। (রদুল মুহতার)।
মাসআলা নং-২৩: মাকরূহ থেকে রক্ষার জন্য চেহারা বিলীন করাই যথেষ্ট। যদি চক্ষু,ভ্রু বা হাত পা পৃথক করে নেয়া হয় এর দ্বারা মাকরূহ দূরীভূত হয়ে না। (রদুল মুহতার)।
মাসআলা নং-২৪: থলে বা পকেটে ছবি অদৃশ্যভাবে থাকলে নামায মাকরূহ হবে না। (দুররুল মুখতার) ।
মাসআলা নং-২৫: ছবি বিশিষ্ট কাপড় পরিধান করেছে এবং তার উপর অন্য কাপড় পরিধান করলাে ছবি ঢেকে গেল তখন নামায মাকরূহ হবে না । (রদুল মুহতার)।
মাসআলা নং-২৬: ছবি যদি ছােট না হয় এবং অপমানকর স্থানে না হয় এবং এর উপর পর্দা না থাকে তখন সর্বাবস্থায় এর কারণে নামায মাকরূহে তাহরিমি। কিন্তু সবচেয়ে বড় মাকরূহ তখন হবে, যখন ছবি নামাযীর সামনে কিবলার দিকে হয় এবং মাথার উপর হয়। এরপর ডানে, বামে হলে দেওয়ালের মধ্যে এরপর দেওয়ালের পিছনে বা পর্দার আড়ালে হলে। (রদুল মুহতার ও আলমগীরী)।
মাসআলা নং-২৭: উপরােক্ত মাসআলাসমূহ তাে নামাযের বিধান সম্পর্কে। বাকি আছে ছবি রাখা সম্পর্কে। এ সম্পর্কে তাে সহীহ হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, যে ঘরে কুকুর বা ছবি আছে সে ঘরে রহমতের ফিরিশতা প্রবেশ করে না।” আথাৎ, যদি অপমানের সাথে না হয় এবং এতটুকু ছােট ছবি না হয়।
মাসাআলা নং-২৮: রুপি, মুদ্রা এবং অন্যান্য সিকির ছবিতেও ফিরিশতা প্রবেশের অন্তরায় কি-না সম্পর্কে ইমাম কাযী আয়াজ (রঃ) বলেন যে, অন্ত রায় নয় এবং ওলামায়ে কেরামের ভাষ্যমতেও তা স্পষ্ট প্রতিভাত হয়।” (দুররুল মুখতার, রদ্দুল মুহতার)।
মাসআলা নং-২৯: উপরােক্ত বিধান তাে বা ফটো রাখা সম্পর্কে। অপমানকার স্থান এবং প্রয়ােজনের প্রেক্ষিত এ হুকুমের বহির্ভূত । এখন রইলাে, ছবি তােলা ও নির্মাণ করা তা সর্বাবস্থায় হারাম। (রদুল মুহতার) হস্তে নির্মিত হােক বা ফটোগ্রাফে গৃহিত ছবি হােক। উভয়টির একই হুকুম।
মাসআলা নং-৩০: (৩০) উল্টা কুরআন মাজিদ পড়া (৩১) কোনাে ওয়াজিবকে বর্জন করা মাকরূহে তাহরিমি। যেমন- রুকু সিজদায় পিঠ সােজা না করা। এভাবে দাঁড়ানাে বা বসার মধ্যে সােজা হওয়ার পূর্বে সিজদায় চলে যাওয়া। (৩২) দাঁড়ানাে অবস্থা ছাড়া অন্য কোন স্থানে কুরআন মাজীদ পড়া বা (৩৩) রুকুতে শেষ করা। (৩৪) ইমামের পূর্বে মুক্তাদি রুকু সিজদায় চলে যাওয়া বা ইমামের পূর্বে মাথা উঠানাে।
মাসআলা নং-৩১: (৩৫) শুধু পায়জামা বা লুঙ্গি পরিধান করে নামায পড়েছে, জামা কাপড় থাকা সত্ত্বেও নামায মাকরূহে তাহরিমি। যার নিকট অন্য কাপড় নেই তার জন্য মার্জনীয়। (আলমগীরি, গুনিয়া)
মাসআলা নং-৩২: (৩৬) ইমাম কোন আগন্তুক ব্যক্তির অপেক্ষায় নামায দীর্ঘ করা মাকরূহে তাহরীমি। আর যদি পরিচিত হয় এবং তার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় নামায তার সাহায্যার্থে যদি এক দু’তসবিহ পরিমাণ বিলম্ব করে তখন মাছ হবে না।(আলমগীরি) (৩৭) দ্রুত সারির পিছন থেকেই আল্লাহু আকবার বলে নামাযে শামিল হয় অতঃপর সারির অন্তর্ভুক্ত হলে মাকরূহে তাহরিমি হবে। (আলমগীরি)
মাসআলা নং-৩৩: (৩৮) ছিনতাইকৃত যমি বা (৩৯) ক্ষেতে যার মধ্যে ফসল মওজুদ রয়েছে বা হালজোতা ক্ষেতে নামায পড়া মাকরূহে তাহরিমি। (৪০) কবরের সামনে হওয়া এবং নামাযী ও কবরের মাঝখানে কোনাে কিছু অন্তরায় না হলে মাকরূহে তাহরিমি। (দুররুল মুখতার, আলমগীরি)।
মাসআলা নং-৩৪: (৪১) কাফিরদের উপাসনালয়ে নামায পড়া মাকরূহ। তা হল শয়তানের স্থান, স্পষ্ট কথা হলাে তা মাকরূহ তাহরিমি। (বাহারুর রায়েক) বরং এর মধ্যে গমন করাও নিষিদ্ধ। (রদুল মুহতার)
মাসআলা নং-৩৫: উল্টো কাপড় পরিধান করে বা উঠায়ে নামায পড়া মাকরূহ। প্রকাশিত হলে হারাম এভাবে ভিতরের জাইঙ্গা না বাধা বা জামার বােতাম না লাগা যদি তার নিচে কুর্তা, শর্ট ইত্যাদি না থাকে এবং সিনা খােলা থাকে তখন প্রকাশ্য মাকরূহ তাহরীমি এবং নীচে জামা, কুর্তা থাকলে মাকরূহে তানযিহি। এ পর্যন্ত যেসব মাকরূহ সমূহের বর্ণনা ব্যক্ত হয়েছে যেসব বিষয় মাকরূহে তাহরিমি হওয়াটা উল্লেখযােগ্য কিতাবে বর্ণিত হয়েছে এবং এটাই নির্ভরযােগ্য। এখন অন্য কতিপয় মাকরূহ সমূহের বর্ণনা দেয়া হবে, যেগুলাের অধিকাংশ মাকরূহ তানযিহি হওয়াটা সুস্পষ্ট। কিন্তু আংশিক মতানৈক্য রয়েছে। তবে তানযিহ হওয়াটাই প্রাধান্য প্রাপ্ত।