নামাজ জান্নাতের চাবী

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

নামাজ জান্নাতের চাবী

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحُسَيْنِ الْمِصِّيصِيُّ قَالَ: نا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: نا سُلَيْمَانُ بْنُ قَرْمٍ، عَنْ أَبِي يَحْيَى الْقَتَّاتِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِفْتَاحُ الْجَنَّةِ الصَّلَاةُ، وَمِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الْوُضُوءُ

-“হযরত জাবের (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করীম ( ﷺ‎‎) বলেছেন: জান্নাতের চাবী হল সালাত এবং সালাতের চাবী হল অজু করা।”  ৯৯,  ইমাম তাবারানী: মুজামুল আওছাত, হাদিস নং ৪৩৬৪; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৪৬৬২; তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৪; মুসনাদে আবী দাউদ ত্বাালিছী, হাদিস নং ১৮৯৯; ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ৫৯৬; ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ২৪৫৬; মেসকাত শরীফ, হাদিস নং ২৯৪;

এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেছেন,

قَالَ ابْنُ حَجَرٍ بِسَنَدٍ حَسَنٍ، -“ইমাম ইবনু হাজার ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: হাছান সনদে বর্ণিত।”  ১০১০,  মেরকাত শরহে মেসকাত, ২৯৪ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;

এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে ইমাম মানাভী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন,

عَن جَابر واسناده حسن -“হযরত জাবের (رضي الله عنه) থেকে হাছান সনদে বর্ণিত।” ১১১১,  ইমাম মানাভী: আত তাইছির বি’শারহি জামেইছ ছাগীর, ২য় খন্ড, ৩৭৭ পৃ:;

এই হাদিসের সনদ সম্পর্কে ইমাম ইবনু মুলাক্কিন ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেছেন,

وَوَقع للْقَاضِي أبي بكر بن الْعَرَبِيّ: إِن أصح شَيْء فِي هَذَا الْبَاب وَأحسن حَدِيث جَابر (هَذَا) . وَلَيْسَ بجيد مِنْهُ؛

-“ক্বাজী আবু বকর ইবনু আরাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেছেন, এ বিষয়ে যদি কোন বিশুদ্ধ বর্ণনা থাকে তাহলে হযরত জাবের (رضي الله عنه) এর বর্ণনাটি সর্বোত্তম অর্থাৎ এই হাদিস। এর চেয়ে অধিক উত্তম রেওয়ায়েত নেই।”১২১২,  ইমাম ইবনু মুলাক্কিন: বাদরুল মুনীর, ৩য় খন্ড, ৪৫০ পৃ:;

  এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,

الدعاء مفتاح الرحمة، والوضوء مفتاح الصلاة، والصلاة مفتاح الجنة. (فر) عن ابن عباس.

-“দোয়া হল রহমতের চাবী, ওজু হল নামাজের চাবী এবং নামাজ হল জান্নাতের চাবী। মুসনাদু ফেরদৌস হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন।” ১৩১৩,  মুসনাদু ফেরদৌস, হাদিস নং ৩০৮৬; ইমাম ছিয়তী: জামেউছ ছাগীর, হাদিস নং ৬৭৪৯; আত তানভীর শারহু জামেইছ ছাগীর, হাদিস নং ৪২৪১; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩১১৬;

এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে ইমাম মানাভী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন,

فر عَن ابْن عَبَّاس بِإِسْنَاد ضَعِيف -“মুসনাদু ফেরদৌছে হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে দ্বায়িফ সনদে বর্ণিত আছে।”  ১৪১৪,  আত তাইছির বি’শারহি জামেইছ ছাগীর, ২য় খন্ড, ১১ পৃ:;

এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল ইবনে ছিলাহ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ১১৮২ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন,

فر عن ابْن عَبَّاس بإسناد ضعيف. -“মুসনাদু ফেরদৌছে হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে দ্বায়িফ সনদে বর্ণিত আছে।” ১৫১৫,  আত তানভীর শারহু জামেইছ ছাগীর, হাদিস নং ৪২৪১;

যেহেতু হাদিসটির একাধিক সূত্র রয়েছে, এর মধ্যে একটি সনদ হাছান ও আরেকটি সনদ দ্বায়িফ ; সেহেতু উভয় সূত্র একত্রিত হয়ে অবশ্যই ক্বাবী বা শক্তিশালী রেওয়ায়েত হবে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment