১. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যেনো স্থির পানিতে, যা প্রবাহমান নয়, কখনো প্রস্রাব না করে, অতঃপর যেহেতু তাতে গোসল করবে।
সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-৪৩৬।
২. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যায়দ ইবনে আ-সিম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে বলা হলো, “আপনি আমাদের সামনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র ওযূ করুন।” তখন তিনি পানির পাত্র তলব করলেন। তা থেকে হাতের উপর পানি নিয়ে তিনবার ধুলেন। অতঃপর আপন হাত পাত্রের মধ্যে প্রবেশ করালেন। তারপর বের করলেন। তারপর এক অঞ্জলি পানি দ্বারা কুল্লি করলেন এবং নাকের ভিতর পানি দিলেন। এটা তিনি তিনবার করলেন। তারপর আপন হাত পানিতে প্রবেশ করিয়ে বের করলেন এবং আপন মুখ তিনবার ধুলেন। তারপর আবার হাত পাত্রে প্রবেশ করিয়ে বের করলেন, তখন কুনুই পর্যন্ত উভয় হাত দু’দুবার ধৌত করলেন (তিনবার ধৌত করার বর্ণনা অন্য হাদিসে এসেছে)। তারপর হাত প্রবেশ করিয়ে বের করলেন, তখন মাথা মাসেহ করলেন। আর (মাসেহ করার সময়) উভয় হাত মাথার সামনে-পিছনে নিয়ে গেলেন (কান ও গাড় মাসেহের বর্ণনা অন্য হাদিসে এসেছে)। তারপর গোড়ালি সমেত পা দু’টি ধুলেন। অতঃপর বললেন, “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র ওযূ এরূপই ছিলো।
সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-৩৬২।
৩. হযরত ওসমান রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি ওযূ করে, তবে উত্তমরূপে (সুন্নাতসমূহ ও মুস্তাহাবসমূহ সহকারে) ওযূ করে, তার গুনাহসমূহ (সগীরাহ/ছোট গুনাহ) শরীর হতে বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নিচ থেকেও বের হয়ে যায়।
সূত্র- বোখারি ও মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২৬৪।