বললা ‘খাজা!’ চিনলা না 🙂
🖋গোলাম দস্তগীর লিসানী
খাজা বাবা রা.’ র দিবস যখন আসবে, তখন হয়তো লিখব না, তাই আজকে, এখনি, খাজা বাবা রা.’র শানমান নয়, বরং মাওলার জবান:
“শুধু তুমিই এগিয়ে এসো,
হাজার হাজার সৈন্যের মাঝে-
একজন বাদশাহ্ ই যথেষ্ট।”
এই ‘তুমি’ টা আসলে কে? কোনও অলৌকিক সাধক? কোনও মহান সূফি? কোনও দুনিয়াদার বাদশা? কোনও জঙ্গি নেতা? সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি? আরে নাহ্! এই কারণেই তো আমরা নামে খাজা বাবা রা.’র হলেও কাজে লবডঙ্কা।
এই তুমি হলেন প্রত্যেক ব্যক্তি। প্রত্যেক বান্দার ভিতরে লুকিয়ে থাকা আল্লাহ্’র ফুঁক। এই ‘তুমি’ টা হল আত্মপরিচয়। যখন নিজের পরিচয় নিজে মানুষ জেনে যায়, শুধু তখনি হাজার হাজার সৈন্যের মাঝে একজন বাদশাহ্ ই যথেষ্ট।
এখন,
সেই ‘তুমি’ টা এগিয়ে আসবে কোথা থেকে এবং কোনদিকে?
যে কোন জায়গা থেকে খাজা বাবা’র রওজার দিকে? আজমিরের দিকে? নারে ভাই। আমরা তো তাসাউফের কিছুই বুঝি না।
সেই তুমিটা এগিয়ে আসবে নিজের দিক থেকে। নিজেকে ছেড়ে। নিজের নাফসানিয়াত, নিজের দাবি, নিজের হাওয়া, নিজের জৈবিকতা-জড়তা-জান্তবতা-পৈশাচিকতা থেকে।
নিজেকে ছেড়ে খালি একটা পা সামনে বাড়ান, দেখবেন কুল কায়েনাত সর্ষেদানার মতন হাতের তালুর ভিতরে।
সেই সামনে টা কোনদিকে? যে কোন দিকে।
কোন সময়ে? যে কোন সময়ে।
কোন আলোকে? যে কোন আলোয়।
যেদিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহ্। আল্লাহ্ সবকিছু ঘিরে রেখেছেন। আল্লাহ্ ই সময়। তাঁর কুরসি আসমানজমিনব্যাপী। আল্লাহ্ ই আসমান ও জমিনসমূহের আলো।
মাসালু লি নূরিহি কা মিশকাতুন ফি হা মিসবাহ।
হায়, ইয়া রাসূলআল্লাহ্!
আল মিসবাহু ফি যুজাজা!
ইয়া হাবিবআল্লাহ্!
আয যুজাজাতু কাআন্নাহা কাউকাবুন দুররিয়্যুন-
ইয়া আলী! আলী! আলী! আলী!
হারসু সাদায়ে হায়দারি! ইয়া আলী, আলী, আলী!
ইউকাদু মিন শাজারাতিম্ মুবারাকা-
ইয়া আহলাল বাইতি রাসূলিল্লাহি তাআলা!
যাইতুনাতিন লা সারকিয়াতিন ওয়া লা গারবিয়া-
ইয়া আইয়ুহাল মু’মিনিন!
সুম্মার রিদ্বা আন্ আবিবাক্বরিও ওয়া আন্ উমারা
ওয়া আন আলিউও ওয়া আন উসমানা যুল কারামি!
ইয়াকাদু যাইতুহা ইউদিয়ু ওয়া লাও লাম তামসাসহু নার-
নূরুন আ’লা নূর!
ইয়া মুরশিদ!
ইয়াহদিল্লাহু লি নূরিহি মাইয়াশা-
ইয়া রাব্বাল আ’লামিন!
রাব্বে জারবে হায়দার ও হামযা ভি তু,
রাব্বে আসায়ে মূসা ভি তু,
তু রুবারু হ্যায় আউর হ্যায় হুবহু।
তু রাব্বে ঈসা! আল্লাহু আকবার!
তু রাব্বে মারইয়াম! আল্লাহু আকবার!