✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) ➡ মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]
❏ মাসয়ালা: (২৭২)
আলিম দুই প্রকার: একটি বাহ্যিক আলিম দ্বিতীয়টি গোপনীয় আলিম। যে সকল আলিম নবীর উত্তরাধিকার তারা প্রতিরাতে বা জুমারাতে বা প্রতি মাসে বা প্রতিবছরে নবী (ﷺ) এর যিয়ারত লাভ করেন। যাদের এরকম হবে না তাদের জ্ঞান তাদের কল্যাণ আনে না। এরকম আলিম গাধার মত অজ্ঞ। তারা মানুষের দৃষ্টিতে তুচ্চমানের। মানুষকে কষ্টদানকারী।
➥ সাকীনাতুল আউলিয়া:১১৩।
❏ মাসয়ালা: (২৭৩)
যদি সকল আলিম, মুহাদ্দিস, মুফাস্সির, যাহেদ, আবেদ, মুত্তাকী, হাকিম, জীবিত হোক মৃত হোক এবং সকল জ্বীন ও মানুষ এক স্থানে একত্র হয় তখনও তারা আল্লাহর অলীদের একঘন্টা ফিকিরের শুরুতেও পৌঁছতে পারবে না। তাদের চিন্তা এমন হয় যে, তারা তাদের নখে উভয় জাহান দেখতে পান; কেননা একটি ঘন্টা চিন্তা করা সকল মানুষের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
➥ সাকীনাতুল আউলিয়া:১১৪।
❏ মাসয়ালা: (২৭৪)
সকল বেঠক থেকে ইলমের বৈঠক সবচেয়ে উত্তম।
➠একসময় হযরত নেযামুদ্দীন আউলিয়া, শায়খ রুকুনুদ্দীন ও মাওলানা ইমাদুদ্দীন একটি মজলিসে বসেছে তখন শায়খ মাওলানা ইমাদুদ্দীন বলেন, উত্তম মজলিস হল ঐ মজলিস যেখানে কোনো জ্ঞানের আলোচনা হয় অত:পর একটি প্রশ্ন করা হল, রাসূল (ﷺ) মক্কা থেকে মদীনা শরীফ হিজরতের কি কারণ? তখন তার উত্তরে শায়খ রুকুনুদ্দীন বলেন, যে মর্যাদা ও কামালাত রাসূলের জন্য ফায়সালা করা হয়েছে তা পরিপূর্ণ করার জন্য মদীনা শরীফ হিজরত করতে হয়েছে। যখন নবী (ﷺ) আসহাবে সুফ্ফার সাথে মদীনা শরীফে তাশরীফ আনলেন, তখন তার সেই মর্যাদা পরিপূর্ণ হয়েছে। মাহবুবে ইলাহী শায়খ নেজামুদ্দীন বলেন, ফকীরের অন্তরে তার আরেকটি কারণ অন্তরে আসে যা কোন তাফসিরে পাওয়া যায় না তা হল, রাসূলের ইশারা ও তাবলীগ দ্বারা মক্কাবাসীরা তো কল্যাণ অর্জন করলেন এবং ইসলামের দাওয়াত অর্জন করলেন কিন্তু অপরিপূর্ণ সে দল যারা মদীনায় রয়ে গেছেন তারা রাসূল পর্যন্ত পৌঁছতে পারছে না তাদের জন্য রাসুলকে আদেশ দিলেন আপনি মক্কা থেকে মদীনা হিজরত করেন যাতে আপনার মাধ্যমে অসম্পূর্ণরা পরিপূর্ণতা লাভ করেন।
➥ আকলে বেদার:১৬।
❏ মাসয়ালা: (২৭৫)
যিকির ও নফলের সাথে লিপ্ত থাকার চেয়ে জ্ঞান অর্জনে লিপ্ত থাকা উত্তম।
➥ আউলিয়া:২৫৬।
❏ মাসয়ালা: (২৭৬)
সাধারণ মানুষের যিকিরে লিপ্ত থাকার চেয়ে জ্ঞানের আলোচনা ও ওয়াযে যাওয়া উত্তম।
➥ তানবীরুল কুলুব:৩১৭।
❏ মাসয়ালা: (২৭৭)
➠হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব বলেন, মহান আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তায়ালা আলিমদের বৈঠকের চেয়ে দুনিয়াতে উত্তম মাটি সৃষ্টি করেননি। আতা ইবনে রেবাহ বলেন, ইলমের বৈঠকে যাওয়া সত্তরটি বাজে কথার মজলিসের কাফ্ফারা হয়ে যায়।
➥ তানবীরুল কুলুব:৩১৭।