কারামত আলী জৌনপুরী তার পীর আমিরুল ওহাবি সাইদ আহমদ ক্বতীল সম্পর্কে লিখেন-
حضرت سید صاحب کو خواب میں جناب رسالت مابﷺ نے اپنے ہاتھ مبارک سے تین خرما ایک ایک کر کے کھالایا اور جب سید صاحب جاگے تو اس کا اثر اپنے جی میں پایا اور اسی واقعی سے سید صاحب کو راہ نبوت کے سلوک کا شروع حاصل ہوا۔ بعد اس کے ایک روز خوب میہ ۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔ وار عمدہ لباس پینا نے کی برکت سی راہ نبوت کے کمالات ظاہر ہوا ۔ یہاں تک کہ جناب حضرت حق کی طرف سے حکم ہوا کہ جو شخص تیرے ہاتھ پر بعیت کر یگا اگر چہ لاکھوں ہر نکے میں ہر ایک کو کفایت کر دنگا۔
☞ রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাইদ আহমদকে স্বপ্নে এক এক করে ৩টি খুরমা খাওয়ালেন। সাইদ আহমদ নিদ্রা হতে উঠে উহার (খুরমার স্বাদ আর খুশবো) তাছির অনুভব করেন। এই ঘটনার পর থেকে সাইদ আহমদের (রাহে নবুয়তের) নবুয়তের রীতি-নীতির পথ প্রাপ্ত হন। ইহার কিছু দিন পর ————— অতপর তারা (মাওলা আলী ও মা ফাতেমা) পোষাক পরিধান করানোর দরুন সাইদ আহমদ (এজিদির) রাহে নবুয়তের পূর্ন দরজা লাভ করেন। অর্থাৎ, নবুয়তের পূর্ণ দরজা লাভ করেন (নাউযুবিল্লাহ)! এমন কি স্বয়ং হকের (আল্লাহর) তরফ হতে সাইদ আহমদ এই আদেশ প্রাপ্ত হইলেন যে, যদি তোমার হাতে লক্ষ লক্ষ মুরিদও হয়, তবুও আমি তাহাদিগকে প্রচুর ভাবে দান করিব।[যখিরা-ই কারামত, খন্ড নং- ১,পৃষ্ঠা-২৬ ও ২৭]
সাইদ আহমদের মত একজন মূর্খ নাকি নবুয়তের পূর্ণ দরজা লাভ করেছে (!) এমন কুফরী আকীদা যাদের রয়েছে তারা কিভাবে নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করতে পারে।
ছবিঃ
গোলাবী নামা (২)
হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার খেয়াল করা নাকি গরু-গাধার খেয়াল অপেক্ষা নিকৃষ্ট (নাউযুবিল্লাহ)
আমিরুল ওহাবি, গোস্তাখে রাসূল, দুশমনে অলী, ইংরেজ দালাল সাইদ আহমদ ক্বতীল তার মালফুজাত “সীরাতে মুস্তাক্বিম”- এর মধ্যে বলেছে-
সিরাতে মুস্তাকিম (ফার্সী) ৮৬ পৃষ্ঠায় আছে-
وسوسہ زنا خیال ومجامعت زوجہ خود بہترست صرف ہمت بسوئے شیخ وامثال آں از معظمین گوجناب رسالتماب باشند بچندیں مرتبہ بدتراز استغراق در صورت گاؤ خر خوداست کہ خیال اں باتعظیم وجلال بسوداے دل انسان چپد بخلاف خیال گاؤ خر کہ نہ آں قدر حسپد گی بی بود ونہ تعظیم بلکہ آن محقری بود- وایں تعظیم واجلال غیر کہ در نماز ملحوظ ومقصودی شود بشرک میکشد-
লিখক (ইসমাঈল দেহলভী) নিজেই ফার্সী সিরাতে মুস্তাকিম কিতাবের উর্দু অনুবাদ করেছেন। উপরোক্ত ফার্সী এবারত-টুকুর উর্দু অনুবাদ নিম্নে প্রদত্ত হলো-
زنا کے وسوسے سے اپنی بی بی کی مجامعت کا خیال بہتر ہے اور شیخ یا اسی جیسے اور بزرگوں کی طرف خواں جناب رسالت ماب ہے ہوں اپنی ہمت کو لگادکنا اپنے بیل اور گدہے کی صورت میں مستغرق ہونے سے زیادہ براہے کیونکہ شیخ کا خیال تو تعظیم اور بزرگی کی ساتہ انسان کے دل مین چمٹ جاتا ہے اور بیل اور گدہے کے خیال کونہ تواسقدر چسپد گی ہوتی ہے اور نہ تعظیم بلکہ حقیر اور ذلیل ہوتا ہے اورغیر کی یہ تعظیم اور بزرگی جو نماز میں ملحوظ ہو وہ شرک کی طرف کہینچ کرلے جاتے ہیں-
উপরিলিখিত ফারসি/উর্দু এবারতের বঙ্গানুবাদ নিম্নরূপ— নামাযে যিনার ওয়াসওয়াসা বা ধারণা হতে নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাসের খেয়াল ভাল। পীর বা কোন বুজুর্গানের প্রতি, এমনকি রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্মরণে নিমগ্ন হওয়া, নিজের গরু-গাধার সুরতে (আকৃতির খেয়ালে) ডুবে থাকার চেয়েও অধিক খারাপ। (নাউযুবিল্লাহ)। কেন না পীরের খেয়াল (এমনকি রাসূলেপাকের খেয়াল) তো শ্রদ্ধা ও সসম্মানে মানুষের অন্তরে এসে থাকে। পক্ষান্তরে গরু-গাধার খেয়ালে এ ধরনের আকর্ষণ ও তা’জিম আসে না। বরং এগুলো তুচ্ছ ও ঘৃণার সাথে খেয়াল এসে থাকে। তাই নামাযের মধ্যে এ ধরনের অন্যের (বুজুর্গান এমনকি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা’জিম বা সম্মান শিরিকের দিকে ধাবিত করে নিয়ে যায়।
[সিরাতে মুস্তাকিম পৃষ্টা নং- ১৬৭]
নাউযুবিল্লাহ এ ব্যক্তিকে বর্তমানে যারা আমিরুল মুমেনীন দাবী করে তারা স্পষ্ট পথভ্রষ্ট এবং পথভ্রষ্টকারী।