গায়ে মাখি তৈয়্যবী কাঁদা”
[লেখক :: আরিফ ওয়াকিজ]
যে চিনেছে পবিত্র সত্বা
তৈয়্যব তাহার ইসমু হয়,
তাহের সাবের দুই দুলারা
সেই বৃক্ষের ফলদয়।
হারিয়া গিয়াছি প্রেমে আমি
তৈয়্যব গেলো জিতি সদা,
মিশিতে চায় জনমের সেই
গায়ে মাখি তৈয়্যবী কাঁদা।
খোদার প্রেমে কেমন করি
মইজা গেলো দয়াল রে,
নাচিজ কহে আপন শানে
জগৎ ঘুরে চালায় রে।
কলিজা মোর ছিদ্র করি
সুইয়ের ন্যায় প্রবেশ করি,
কুড়ালীর কোপ মারে ওগো
প্রেমের ব্যথায় যায় গো মরি।
কেমনে ঘুমাই ওগো স্বামী
ঘুম গেলো মোর হারাইয়া,
তৈয়্যব আঙ্গারে জলি হায়
দেহ যায় মোর পুড়িয়া।
কোন সাধনে মইজ্জা গেলাম
কঠিন ফোড়াঁ হৃদের মাঝে,
পৃষ্ঠে হাকিম তেল লেপিলে
ভিতরের ঘায়েল কি সাজে?
মনসুরের সেই কাটা দেহ
তোর স্বরনে আছে রে?
খোদার প্রেমে মজনু হইয়া
নিজেই আনাল হক কহে রে।
চলে যা পেশওয়ারির পথে
নিয়ে আই পাথর নুরি,
হৃদের ফোড়াঁয় গেথে দিয়ে
মাতাল হয়ে জগৎ ঘুড়ি।
কি যে নেশা সেই শরাবে
চল আই পিলায় তোরে,
প্রেম শারাবি হইবি পাগল
কহে’দি দিন দুপুরে।
ঐ শরাবী কোন শরাবী
মাতাল হয়ে নাচে না?
ভূবন তারে পাথর মারি
ও পাগল কয় ডাকে না!
মোর আপনের চেয়েও স্বজন
খুজি আপন আপনেই,
তার চোখেতেই আমার দেখা
মধুর সপ্নের মিলনেই।
তোর সোহাগের অথৈ জলে
ডুবি আমি সাঁতার ভুলে,
ঘাটের কুলে চাহিয়া দেখি
তোর পলক তো অচিন কুলে।
তোর সময় যাত্রা করিবার
দূর মদিনার পানে,
তোর দরদের কালাম মোরে
ক্ষনে ক্ষনে টানে।
দাঁত ভাঙ্গা এই প্রেম কালাম
যদি তোর চরণে পৌছে,
সার্থক জনম জীবন হইতো
উঠতাম জেগে নেচে।
কে রাগিলো কে বুঝিলো
ওয়াকিজের কি যায়?
জাগিয়া থাকি ঘুমের মজা
সকলে কি বুঝিতে পায়?