🌱হযরত নবীয়ে করিম (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি সত্যবাদিতার শহর। আর আবু বকর তার ছাদ। আমি দৃঢ়তার শহর আর ওমর তার খুঁটি। আমি লজ্জাশীলতার শহর, ওসমান তার প্রাচীর। আমি জ্ঞানের শহর আর আলী এর তোরণ।
🌱হযরত রসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি জ্ঞানের শহর, আর আবু বকর তার ভিত্তি, ওমর এর প্রাচীর, ওসমান এর ছাদ, আলী এর দরজা।
(আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতী (রহঃ) তাঁর ‘আল আলাইয়া মাসনূনাহ’ নামক কিতাবের মানাকিব অধ্যায়ে, প্রথম খন্ড, ৩৩৬ পৃষ্ঠা)
🌱রসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, মুমিন ব্যাক্তি ব্যাতীত অন্য কারও অন্তরে এই চার ব্যাক্তির ভালোবাসা একত্রিত হয় না। তাঁরা হলেন আবু বকর, ওমর, ওসমান ও আলী।
[কানয নামক কিতাবের রচয়িতা ইবনে আসাকিরের বরাত দিয়ে হযরত আনাস (রাঃ) থেকে এই হাদিসটি বর্ণনা করেন।]
🌱রসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,আল্লাহ্ তায়ালা চার ব্যাক্তি সম্পর্কে লাওহে মাহফুজে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেছেন। ইমানদার ছাড়া কেউ তাঁদেরকে ভালবাসবে না। পাপিষ্ট ছাড়া কেউ তাঁদের সাথে শত্রুতা পোষণ করবেনা। তাঁরা আমার নবুয়তের খলিফা। আমার দ্বীনের বাহু, আমার উম্মতের পবিত্রতা ও আমার এলেমের খনি। তাঁদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করোনা। তাঁদেরকে হিংসা করোনা।
[এই হাদিসটি ইবনে আসাকির হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে উল্লেখ করেন। মুনতাখাবুল কানয ৫ম খন্ড , ৬৩ পৃষ্ঠা]
🌱শায়েখ আবু তালেব মক্কী (রাঃ) তাঁর ‘কুতুবুল কুলুব’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেন,
প্রত্যেক যুগের কুতুব কিয়ামত পর্যন্ত নিজ মর্যাদা ও মাকামে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)-এর স্থলাভিষিক্ত থাকবেন। আর তিন আওতাদ অবশিষ্ট তিন খলিফার স্থলাভিষিক্ত থাকবেন।
অর্থাৎ, আমিরুল মুমিনিন ওমর ফারুক (রাঃ), আমিরুল মুমিনিন ওসমান জিন্নুরাইন (রাঃ) এবং আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (রাঃ)। আওতাদ্গণ কুতুবের নিচের স্তরের হয়ে থাকেন। তাঁদের কাজকর্ম, তাঁদের গুনাবলী অবস্থা ও ইয়াকীন অনুযায়ী হয়ে থাকে।
বাকী ছয়জন সিদ্দিক, যাঁদের অবস্থা এমন তাঁদের বরকতেই পৃথিবী কায়েম থাকে, পৃথিবী বাসীর বিপদ আপদ দূরিভুত হয় এবং তাঁদের বরকতেই রিজিক দান করা হয় ও বৃষ্টি বর্ষণ করা হয়। তাঁরা সকল যুগে আশারায়ে মুবাশশারর অবশিষ্ট ছয়জন সাহাবীর স্থলাভিষিক্ত।
[এই বর্ণনায় লেখক তিনটি হাদিসকে একত্রে বর্ণনা হরেছেন ব্যাখ্যা বিশ্লেশনের সুবিধার জন্য। যা আল্লামা সুয়ুতি রচিত ‘জামেউস সাগীর’ নামক কিতাবের ১২১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ হাজারাতুল কুদুস ১ম খন্ড]