ফিত্না সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) এর ভবিষ্যৎবাণী ও খারেজীদের লক্ষণসমূহের সামগ্রিক প্রতিচ্ছবিঃ
================
কৃতঃ মাসুম বিল্লাহ সানি
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
“নিশ্চয় কিয়ামতের পূর্বে অন্ধকারাচ্ছন্ন রাত্রির ন্যায়, অবিরাম বৃষ্টির ন্যায় এই ফিতনা বর্ষণ হবে।
- [ইমাম নুয়াইমঃ কিতাবুল ফিতান, হাদিস ৪,১২,১৩,১৪,২১,২৪,২৫, ১২১]
“তখন লোক সকালে মুমিন থাকলে, বিকালে কাফের হয়ে যাবে। আর বিকালে মুমিন থাকলে, সকালে কাফের হয়ে যাবে। একদল লোক পার্থিব স্বার্থসিদ্ধির জন্য স্বীয় দ্বীনকে বিক্রি করে দিবে।
- [ইমাম নুয়াইমঃ কিতাবুল ফিতান, হাদিস ১২, ১৩, ১৪]
“তাতে অসংখ্য মানুষ ধ্বংস হবে, তাদের ক্বলবের মৃত্যু ঘটবে।”
- [ইমাম নুয়াইমঃ কিতাবুল ফিতানঃ হাদিস ৫, ১১৩, ১১৭, ১২৮]
“তাদের মধ্যে প্রবৃত্তিপূজা এমনভাবে অনুপ্রবেশ করবে, যেমন পাগল কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়। যা রোগাক্রান্ত ব্যক্তির প্রতিটি শিরা-উপশিরায় প্রবেশ করে।”
- [মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং. ১৬২, মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ, হাদিস, ৪৫৯৭]
“নিঃসন্দেহে পরিপূর্ণ পথভ্রষ্টতা হল, “তারা হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল মনে করবে।”
- [ইমাম নুয়াইমঃ কিতাবুল ফিতান: হাদিস ১২৮, ১৩০, ১৩৪]
“তারা মসজিদসমুহে সমবেত হবে, অথচ তাদের মধ্যে একজনও মু’মিন থাকবে না।”
- [মুসান্নাফে ইবনে শায়বাহ ৬/৩০৩৫৫, মুসতাদরকে হাকিম, ৪/৮৩৬৫, দায়লামীঃ হা ৫/ ৮০৮৬]
“তাদের আবির্ভাব হবেঃ “শেষ জামানায় মতানৈক্যের সময়।” [1]”মক্কার পূর্বদিক (নজদ) থেকে।” [2] “তারা সুন্দর সুন্দর কথা বলবে, যা শুনে মানুষ আকৃষ্ট হবে।” [3]
- [1.বুখারী : ৩/হা: ৩৪১৪, ৬/৭১২৩, 2.মুসলিম: ২/ হা: ১০৬৪, 3.২/হা: ১০৬৬]
তাদের কথা হবে চিনি/মুধর চেয়েও সুমিষ্ট কিন্তু তাদের অন্তর হিংস্র বাঘের অনুরূপ।” [4] “কাজ হবে ফেরাউনের কাজের সাদৃশ্যপূর্ণ।” [5] “ইবাদত ও দ্বীনচর্চায় অতিশয় মাত্রাতিরিক্ত করবে।” [6] “ঘন ঘন মাথা ন্যাড়া করবে৷” [7] “দাঁড়ি ঘন করে রাখবে। পায়জামা দৃষ্টিকটুভাবে উঁচু করে পরবে।” [8]
- [4.তিরমিযী : হা ২৪০৪, বায়হাকী, ৫/হা ৬৯৫৬৩, 5.ইবনে মাজাহ, 6.আবু ইয়ালা, ১/হা: ৯০। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক,১০/১৫৫, ১৮৬৭৩, 7.বুখারীঃ ২/৬২৪। 8.বুখারী ৪/হা : ৪০৯৪, মুসলিম ২/হা: ১০৬৪]
“তারা হবে অল্প বয়স্ক যুবক। বিবেক-বুদ্ধিতে অপরিপক্ক। তারা হবে চরম বাকপটু ও কট্টরপন্থী।” [9] “কুরআন ও হাদীস থেকে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে।” [10]
“তাদের সম্মুখে তােমাদের নামাজ, রোজা, কুরআন তেলাওয়াতকে তুচ্ছ মনে করবে।” [11] “তাদের ধারণা সম্পূর্ণ কুরআন তাদেরই পক্ষে অথচ বাস্তবে তাদের বিপক্ষে।”[12] “কুরআনের দিকে দাওয়াত দিবে অথচ কুরআনের বিন্দু পরিমাণ (জ্ঞান-আদর্শ) তাদের থাকবে না৷ [13] “ঈমানের কথা বলবে অথচ ঈমানের লেশ মাত্র থাকবে না।” [14] “তাদের ঈমান, মুখ নিঃসৃত সত্যের বাণী, সালাত, কুরআন তেলাওয়াত (এসব) তাদের গলদেশের নিচে (ক্বলবে) পৌঁছাবে না।” [15]
- [9.বুখারী : ৬/হা: ৬৫৩১, মুসলিম ২/হা ১০৬৬, 10.বুখারী, হা: ৩৪১৫,11.বুখারী, ৬/হা-৬৫৩১, 12.মুসলিম,২/হা-১০৬৬,13.আবূ দাউদ, ৪/হা-৪৭৬৫। 14.বুখারী, হাদীস ৩৪১৫,15.বুখারী ৬/হা-৬৫৩১, মুসলিম ২/হা-১০৬৬, মুসতাদরাকে হাকিম, হা-২৬৪৫]
“তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বহিষ্কৃত হবে যেমন তীর ধনুক/শিকার থেকে বেরিয়ে যায়।” [16] “সমগ্র সৃষ্টিজগতের মাঝে সর্বনিকৃষ্ট লােক।” [17] “তারা জাহান্নামের কুকুর।” [18] “এদের সর্বশেষটা দাজ্জালের সাথে মিলিত হবে।” [19] “কাফেরদের উদ্দেশ্যে নাযিল হওয়া আয়াতগুলােকে, মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেবে।” [20] “তারা মুসলমানদের মুশরিক বলে হত্যা করবে আর মুর্তিপূজারকদের ছেড়ে দেবে।” [21]
- [16.বুখারী ৬/হা-৬৫৩১, মুসলিম ২/১০৬৬, 17.মুসলিম ২/হা-১০৬৭,18.তিরমিযী ৫/হা- ৩০০০,19.নাসায়ী ৭/হা-৪১০৩, 20.বুখারী ৬/২৫৩৯, 21.বুখারী ৬/হা: ৬৯৯৫, মুসলিম ২/হা-১০৬৪,আবু দাউদ হা-৪৭৬৬]