✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) ➡ মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]
❏ মাসয়ালা: (৩১৭)
খাবারের মধ্যে তিনটি ফরয,
(১) হালাল খাদ্য খাওয়া
(২) আল্লাহ্পাক জাল্লা শানুহুর রিজিক মনে করে খাওয়া
(৩) নিজের ওমরকে আল্লাহর ইবাদাত বন্দেগীতে ব্যয় করার জন্য খাওয়া। যে ব্যক্তি এ তিনটি ফরজ না জানে তার জন্য খানা খাওয়া হারাম। কেননা তা ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের খানার সাদৃশ্য।
➥ [হুজ্জাতুল ইসলাম ৮ পৃষ্ঠা]
❏ মাসয়ালা: (৩১৮)
ওয়াজ মাহফিল ও ইলম শিক্ষার মজলিসে যখন আলেম বলে:
صلوا على النبى او قال الغازي للقوم كبرواحيث يثاب –
অর্থাৎ আলেম ও বক্তা যখন বলেন তোমরা হাবীবে খোদা (ﷺ)-এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ কর, অথবা গাজী ও মোজাহেদ বলেন তোমরা তাকবীর পাঠ কর। এটি ছাওয়াবের মাধ্যম। অর্থাৎ এতে ছাওয়াব নিহিত।
❏ মাসয়ালা: (৩১৯)
➠নুজহাতুল ক্বারী শরহে বুখারী পঞ্চম খন্ডের ১১৮ পৃষ্ঠায় হাদীস শরীফ দ্বারা বর্ণিত রয়েছে যে, যখন কোন ব্যক্তি কারো সাথে সাক্ষাত করতে এলে; তাহলে সাধ্যনুসারে তাকে কিছু খাবাও ও পান করাও। আহলে আরবদের প্রবাদ বাক্য :
من زاراحد ولم يأكل عنده شيئًا فكانّما زارميتًا
অর্থাৎ যে কেহ কারো সাক্ষাতে গেলে এবং তাকে সেখানে কিছু খানা পানি খাওয়াইনি, তাহলে বরং সে মৃতের সাথে সাক্ষাতের জন্য গেল।
➥ [শরহে বুখারী, ফাওয়াদুল ফুয়াদ]