ক্রুসেড যুদ্ধে সূফীদের ভূমিকা পর্ব (৪)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ক্রুসেড যুদ্ধে সূফীদের ভূমিকা পর্ব (৪)
📝মুহাম্মদ আলী

সালাহুদ্দীন আইয়ূবী (রহঃ) (৫৩২-৫৮৯ হিজরী) সততা, আল্লাহভীতি ও নির্ভেজাল আকীদা নিয়ে মধ্যযুগ যুক্ত ছিল নূরুদ্দীন মাহমুদ (রহঃ)-এর বিশিষ্ট খলিফা সূফী সালাহুদ্দীন আইয়ূবী (রহঃ)-এর সাথে। তিনি ক্রুসেড যুদ্ধে বীর সেনাপতিও ছিলেন। তাঁর ছিলছিলার বিশিষ্ট সূফী শায়খ সাবাকী (রহঃ)-এর বর্ণনা থেকে এটিই বুঝা যায়।  ইমাম ইবনে কাসীর (রহঃ) তাঁর সম্পর্কে বলেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী, অধিক নামায আদায়কারী।  সূফীদের জন্য তিনি মিশরে এবং দামেস্কে খানেকা নির্মাণ করেন। হিততীন যুদ্ধের পর ৫৮৩ হিজরী সনের ২৭শে রজব বায়তুল মাকদাস বিজয়ে তাঁর বড় অবদান ছিল। অনেক সূফী তাঁর বিজয় প্রত্যক্ষ করেছিলেন। এ মহান দিবসকে ইসরা এবং স্মরণীয় হিসেবে নির্ধারিত হওয়ার পেছনে মুসলিম সৈন্য ও সেনাপতির প্রতি আল্লাহর সন্তষ্টি থাকার কথা ইঙ্গিত বহন করে।  মহান আল্লাহ বলেন: ‘নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে এবং দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে যাঁরা মুমিন থাকবে, তাঁদেরকে সাহায্য করবো।’
তিনি খানেকা রক্ষণাবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যপারে তিনি ইসলামে বড় একটি উদাহরণ পেশ করেছেন। শাফেয়ী মাযহাবের ফকীহদের জন্য তিনি তাঁর পাশে একটি মাদ্রসা প্রতিষ্ঠা করেন। সূফী- সালেহগণের জন্য নির্মাণ করেন একটি রন্ধনশালা। যাতে করে ক্রুসেডররা বুঝতে পারে যে, ইসলাম উদারতা এবং শান্তির ধর্ম। জিহাদ ও ইসলামী বীরত্বের সূফীদের যে বিশাল অবদান রয়েছে, ইসলামের ইতিহাস এর চাক্ষুষ প্রমাণ। একইভাবে, মসজিদ-খানেকাতে ইসলামের সঠিক দাওয়াত চালুর মধ্যেও রয়েছে তাঁদের বিশাল অবদান। অতএব, তাঁদের জন্য ‘রাতের গৃহত্যাগী ও দিনের অশ্বারোহী’ প্রবাদটি যথাযথভাবে প্রযোজ্য হবে। মহান আল্লাহ বলেন: ‘সে যাকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় অথবা যার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চায়।’

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment