


আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…
(প্রসঙ্গ কোরান ও হাদীস মতে কামেলে মোকাম্মেল ওলী বা পীরদের সাথেথাকার নির্দেশ)
আমরা মানুষ খুব যুক্তি তর্ক প্রিয় কিন্তু আল্লাহ প্রাপ্তির পথে কোন যুক্তি তর্কচলেনা তার পর ও অনেকে বুঝেনা বুঝে তর্ককরে থাকি আসলেতা ঠিক না এতে নিজের হালতকমে কিন্তু অনেকসময় আবার না করে ও পারাযায় না তার জন্য অধমকে খোদাযেন মাফ করেন..একটি কথা বলি আমাদের জন্মটাই তো মাধ্যম ছাড়া হয়নিতাহলে আপনে কি করে শিখবেন মাধ্যম ব্যতিত প্রথমে মা বাবা পরিবারবর্গ থেকে আমাদের শিক্ষা শরু হয় তারপর ও মাধ্যম এটা ব্যতীত কেই কখোনা শিক্ষা অর্জন করা অসম্বযদি একা একা কোন কিছু শিখতেচান তাহলে হোচটখেয়ে পস্তাতে হবে.তাই আল্লাহ রাসূল (সা:)ওনাদের পাওয়ার জন্য কোরানে যে পীর ধরতে হবে তার অসংখ্য দলিলআছে আমি কিছুদলিল পেশ করলামআপনাদের সামনে আপনারাই বিচার করুন তবে পীর শব্দটি পবিত্র কোরআন পাকে নেই কারন পীর শব্দটি ফার্সি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে যেমনঃ নামাজ, রোজা, ফিরিস্তা, খোদা, ইত্যাদি শব্দগুলো কোরআন শরীফে-এ নেই কারন উহা ফার্সি শব্দ তবে এর প্রতিটি ফার্সি শব্দেরই প্রতিশব্দ কোরআন শরীফ আছে, যেমন ঃ নামাজ-সালাত, রোজা- সাওম, ফিরিশ্তা-মালাকুন ইত্যাদি আবার সালাত আরবিশব্দটি স্থান বিশেষবিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয় অনুরূপভাবে পীর ফার্সি শব্দের প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দে প্রকাশ করেছেন, যথা ঃ’অলি’ বহুবচনে আউলিয়া, মুর্শিদ, ইমাম, বহুবচনে আইম্মা, হাদি, ছিদ্দিকিন, ইত্যাদি আশাকরি এটুকু থেকেই বুঝতেপেরেছেন পীর শব্দকোরানে আছি কিনাএ নিয়ে আর কোন তর্ক থেকেবিরত থাকি।
পীর-মুরীদ কাকে বলে?
পীর শব্দটি ফার্সি। আরবীতে বলা হয় মুরশীদ। মুরশীদ শব্দের অর্থহল পথপ্রদর্শক। যিনি আল্লাহর শরীয়ত তরীকতহাকীকত ও মারেফত এর আদেশ নিষেধআল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালনকরার প্রশিক্ষণ দেন তার নাম মুরশীদ বা পথপ্রদর্শক। যাকে ফার্সীতে বলে পীর।
“মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থহল ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর শরীয়ত তরীকতহাকীকত ও মারেফত এর আদেশ নিষেধআল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালনকরার ইচ্ছা পোষণকরে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে শপথ করে সে ব্যক্তির নাম হল “মুরীদ”।
এ ব্যাখ্যা থেকে একথাস্পষ্ট হল যে, পীর হবেন আল্লাহর শরীয়ত তরীকত হাকীকত ও মারেফত এর আদেশ নিষেধ পালনকরার প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনিসে প্রশিক্ষণ নিতে চায় সে শিক্ষার্থীর নাম হল “মুরীদ”।
সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেইশরীয়ত তরীকত হাকীকত ও মারেফত বিধানমানে না, নামাযপড়ে না, পর্দাকরে না, সতর ঢেকে রাখে না বা শরীয়ত তরীকতহাকীকত ও মারেফত আবশ্যকীয় কোন বিধানপালন করে না, সে ব্যক্তি কিছুতেই পীর তথা মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ তার নিজেরমাঝেই যখন শরীয়ততরীকত হাকীকত ও মারেফত নেই, সে কিভাবে অন্যকে শরীয়ততরীকত হাকীকত ও মারেফত উপর আমল করা প্রশিক্ষণ দিবে? নিজেইতো প্রশিক্ষিত নয়।এই চারটি দীক্ষা ছাড়া কেউ পীর হতে পারবে না কারো মধ্যে যদি এই ৪ টির একটি ও কম থাকে সে ফাসেক..
আর পীর মুরীদির এ পদ্ধতি রাসূল (সাঃ) থেকে চলে আসছে। রাসূল (সাঃ) সাহাবাদের আল্লাহমুখী হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতেন। সাহাবারা রাসূল (সাঃ) এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতেন। বলা যায় রাসূল(সাঃ) হলেন সবচেয়ে প্রথম ও বড় পীর, ও সাহাবায়ে কিরাম হলেন প্রথমমুরীদ। কুরআন হাদীসে পীর মুরিদীর প্রমাণঃ-
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক। {সূরাতাওবা-১১৯)
এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে বুযুর্গদের সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ
অনুবাদ- আমাদের সরল সঠিকপথ [সীরাতে মুস্তাকিম] দেখাও। তোমার নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ। {সূরা ফাতিহা-৬,৭}
সূরায়ে ফাতিহায় মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর নিয়ামাতপ্রাপ্ত বান্দারা যে পথে চলেছেন সেটাকে সাব্যস্ত করেছেন সীরাতে মুস্তাকিম।
আর তার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন-
الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ
অনুবাদ-যাদের উপর আল্লাহ তাআলা নিয়ামত দিয়েছেন, তারা হল নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ। {সূরা নিসা-৬৯} নিম্নে কিছু আয়াত শরিফের অর্থ পেশ করা হলঃ ১/ হে মুমিনগণ! তোমরা অনুস্মরণ কর, আল্লাহ্ পাক এর, তাঁর রাসুলপাক (সাঃ) এর এবং তোমাদের মধ্যেযারা ধর্মীয় নেতা। – সুরা ঃ নিসা, আয়াত ঃ ৫৯ । ২/ স্মরণ কর! সেই দিনকে যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাঁদের (ইমাম) নেতা সহ আহ্বান করব । – বনি ইসরাইল, আয়াতঃ ৭১ । ৩/ মুমিন পুরুষও মুমিনা মেয়েলোকের ভিতর হতে কতেককতেকের বন্ধু । – সুরা ঃ তাওবাহ, আয়াত ঃ ৭১ । ৪/ তোমাদের মধ্যে এমন একদললোক যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে। – সুরা ঃ আল-ইম্রান, আয়াতঃ ৭১ । ৫/ অনুস্মরণ কর তাঁদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহে না, এবং যারা সৎ পথ প্রাপ্ত । – সুরা ঃ ইমায়িন, আয়াত ঃ ২১ । ৬/ যে বিশুদ্ধ চিত্তে আমার অভিমুখি হয়েছেতাঁর পথ অনুস্মরণ কর – সুরা ঃ লোকমান, আয়াত ঃ ১৫। ৭/ জিকিরসম্বন্ধে তোমাদের জানানা থাকলে জিনিজানেন তাঁর নিকটহতে জেনে নাও । – সুরা ঃ আম্বিয়া, আয়াত ঃ ৭ । ৮/ হে মুমিনগণ! তোমরাআল্লাহকে ভয় কর এবং (ছাদেকিন) সত্যবাদী গণের সঙ্গী হয়ে যাও । – সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ১১৯ । ৯/ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাকেররহমত (মুহসিনিন) আউলিয়া কিরামগনের নিকটবর্তী । – সুরাঃ আরাফ, আয়াতঃ ৫৬ । ১০/ আল্লাহ্ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন, সে সৎপথ প্রাপ্ত হয় এবং তিনি (আল্লাহ্) যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কখনো তাঁরজন্য কোন পথপ্রদর্শনকারী (অলি-মুরশিদ) পাবে না । – সুরাঃ কাহাফ, আয়াতঃ ১৭ । ১১/ সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহ্র অলিগণের কোন ভয় নেই, এবং তারা কোন বিষয়এ চিন্তিতও নহে । তাঁদের জন্যআছে সুসংবাদ দুনিয়া ও আখেরাতে, আল্লাহ্র কথার কোন পরিবর্তন হয় না, উহাইমহা সাফল্য । – সুরাঃ ইউনুছ, আয়াতঃ৬২-৬৪ । ১২/ হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্ পাককেভয় কর, এবং তাকে পাবার জন্য(নৈকট্য লাভের) অছিলাতালাশ কর । – সুরাঃ মায়েদা, আয়াতঃ৩৫ ।
এ আয়াত গুলো থেকেএকথাই প্রমাণ করছেযে, নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা হলেননবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, আর নেককারগণ, আর তাদের পথই সরল সঠিক তথা সীরাতে মুস্তাকিম। অর্থাৎ তাদের অনুসরণ করলেই সীরাতে মুস্তাকিমের উপর চলা হয়েযাবে।
যেহেতু আমরা নবী দেখিনি, দেখিনি সিদ্দীকগণও, দেখিনি শহীদদের। তাই আমাদের সাধারণ মানুষদের কুরআন সুন্নাহ থেকে বের করে সীরাতে মুস্তাকিমের উপর চলার চেয়েএকজন আল্লাহর পূর্ণ শরীয়ত তরীকত হাকীকত ও মারেফত পন্থী হক্কানী বুযুর্গের অনুসরণ করার দ্বারা সীরাতে মুস্তাকিমের উপর চলাটা হবে সবচেয়ে সহজ। আর একজনশরীয়ত তরীকত হাকীকত ও মারেফত সম্পর্কে প্রাজ্ঞ আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির সাহচর্য গ্রহণকরার নামই হল পীর মুরিদী।এখন আবার অনেকেই বলেন যে আমার বাবা মা থাকতে পীর/মুর্শীদ দরকার নেই সুন্দর কথা আমি বলব আপনার বাবা মা যদি শরীয়ত তরীকত হাকীকত ও মারেফতের যতেষ্ঠ জ্ঞ্যন রাকেন তাহলে আপনি পীর ধরার কোন দরকার নেই কারণ আপনি তখন তাদের কাছে থেকেই শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন আর তারাই আপনার পীর আশাকরি পাঠকগণ বুঝতে পেরেছেন…তাই সকল পাঠকের কাছে আমি অনুরোধ করব শরীয়তের হুকুম আহকাম মেনে তরীকতের পাল তুলে হাকীকতের অবস্থাকে মেনে এবং মারেফতের মাঝির কাছে বায়াত হয়ে যান তাহলেই কেবল আল্লাহ রাসূলের দীদার পাওয়া সম্ভব তবে সাবধানতার জন্য একটু বলি আজকাল অনেক ভন্ড আছে তারা পীরদের বেশ নিয়ে বসে আছে তাদের কাছ থেকে দূরে সরে থাকবেন মনে রাখবেন যাদের কে দেখলে আপনার ক্বালবে নূরে এলাহী বা আল্লাহ রাসূলের কথা সরণ হয় তাদের কাছেই আপনি বায়াত হউন আর যদি ভন্ডের কাছে পড়ে যান তাহলে আপনার আম ও যাবে ছালা ও যাবে তাই সাবধান যার তার হাতে হাত দিবেন না কারণ বর্তমান যুগ ফ্যাতনা ফাসাদের যুগ আর দ্বান্ধা লোভের যুগ এটাই সাভাবিক খারাপ ভাল দুটোই থাকবে ভালটাকেই আপনার বেচে নিতে সে জন্য খোদার কাছে অধম নয়নে সেজদায় পড়ে কাদেন কেদে কেদে বলেন হে আল্লাহ আমাকে সঠিক পথ দেখান কারো মাধ্যমে অবশ্যই আল্লাহ আপনার কথায় সাড়া দিবেন কারণ আল্লাহ সঠিক মানুষের সেজদা তারাতারি কবুল করেন আর কবুল করলেই আপনি নিজেই তা বুঝতে পারবেন বলে আশা রাখি তাই আমার মূর্শীদ শাহ সূফী হযরত মাওলানা মুহাম্মদ মোখলেসূর রহমান (র:)ওনি আজীবন কাদতের আর বলতেন আর আমার কেহ নাই দয়াল মাবুদ তুমি বিনে..আমি বাইতাম যদি তোমারা তরী পার করতা ঔ তরী কান তাম না আর জনম ভরী পাইতাম যদি তোমারে আর আমার কেহ নাই দয়াল মাবুদ তুমি বিনে…….তাই আসূণ আমরা আল্লাহর দরবারে দুহাত তুলে প্রার্থনা করি যেন আল্লাহ আমদের কে কবুল করেন-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ