কুরবানি করার পূর্বে পশুকে পানাহার করিয়ে দিবে। অস্ত্রকে ভালো করে ধার দিয়ে দিবে। পশুকে বাম কাত করে শোয়াবে যাতে তার মুখ কিবলা দিকে হয়ে থাকে। নিজের ডান পা পশুর সামনের ডান রানের উপর রেখে ধারালো অস্ত্র দ্বারা শীঘ্র জবেহ করে দিবে।
জবেহ করার পূর্বে-
“ইন্নি ওয়াজজাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজী ফাতারস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানিফাউ ওয়ামা আনা মিলান মুশরিকীন”
“ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহ ইয়াইয়া ওয়ামামাতী লিল্লাহী রব্বিল ‘আলামীন লা শারীকা লাহু ওয়াবি জালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলেমীন আল্লাহুম্মা লাকা ওয়ামিনকা বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর “
যদি কুরবানি নিজের পক্ষ হতে দেয়া হয় তাহলে জবেহ করার পর বলবে-
“আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন্নী কামা তাকাব্বালতা মিন খলিলিকা ইব্রাহীমা আলাইহিস-সালাম ওয়া হাবীবিকা মুহাম্মাদিন সাল্লালাহু-তায়ালা-আলাইহি-ওসাল্লালাম”
জবেহ এমনি ভাবে করতে হবে যাতে চারটি শিরা কেটে যায়, কমপক্ষে তিনটি শিরা কাটা জরুরী। খুব বেশি কেটে গরদানের হাড় পর্যন্ত অস্ত্র পৌঁছিয়ে দেয়া উচিৎ নয়, তাতে বিনা কারণে পশুকে বেশি কষ্ট দেয়া হয়। জবেহ করার পর যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ঠান্ডা না হয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত তার পায়ের শিরা কাটা চামড়া ছাড়ানো উচিৎ নয়।
যদি কোরবানি অন্যের পক্ষ হতে করা হয় তাহলে জবেহ করার পর বলবে-
“আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন ফুলানিন কামা তাকাব্বালতা মিন খলিলীকা ইব্রাহীমা আলাইহিসালাম ওয়া হাবীবিকা মুহাম্মাদিন সাল্লালাহু-তায়ালা-আলাইহি-ওসাল্লালাম”।
“ফুলানিন” এর স্থলে যার নামে কুরবানি হবে তার নাম উচ্চারণ করতে হবে। অনুরূপ যদি একাধিক ব্যক্তির নামে কুরবানি করা হয় তাহলে ফুলানিন এর স্থলে সবার নাম উচ্চারণ করতে হবে।