কুরআনের শ্রেষ্ঠ বর্ণিত সহজ বাংলা উচ্চারণসহ ৪১ টি দোয়া

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

কুরআনে বর্ণিত দোয়া।

اِهْدِنَا الصِّرَا طَ الْمُسْتَقِيْمَ 
ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম।
আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন কর ও তার প্রতি অটুট থাকার তাওফীক দান কর।
(সূরা ফাতিহাঃ৬)

صِرَا طَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ ۙ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِّيْنَ
সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন।
“তাদের পথ, যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছ। তাদের পথ, যারা গযবপ্রাপ্ত (ইয়াহূদী) ও পথভ্রষ্ট (খ্রিস্টান) নয়।”
(সূরা ফাতিহাঃ৭)

رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا  ۗ اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
রাব্বানা-তাকাব্বাল মিন্না-ইন্নাকা আনতাছ ছামী‘উল ‘আলীম।
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পক্ষ থেকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞাতা’।
(সূরা বাকারাহ্ঃ১২৭)

رَبَّنَا وَا جْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَـكَ وَ مِنْ ذُرِّيَّتِنَاۤ اُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ ۖ وَاَ رِنَا مَنَا سِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا ۚ اِنَّكَ اَنْتَ التَّوَّا بُ الرَّحِيْمُ
রাব্বানা-ওয়াজা‘আলনা-মুছলিমাইনি লাকা ওয়ামিন যুররিইইয়াতিনা-উম্মাতাম মুছলিমাতাল্লাকা ওয়া আরিনা-মানা-ছিকানা-ওয়াতুব ‘আলাইনা-ইন্নাকা আনতাত্তাওওয়া-বুর রাহীম।
হে আমাদের প্রতিপালক! ‘আমাদেরকে তোমার অনুগত কর, আমাদের খান্দানে একদল সৃষ্টি কর, যারা তোমার আজ্ঞাবহ হয় আর আমাদেরকে ইবাদাতের নিয়ম-কানুন শিক্ষা দাও এবং আমাদের অপরাধ ক্ষমা কর, নিশ্চয়ই তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
(সূরা বাকারাহ্ঃ১২৮ )

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰ خِرَةِ حَسَنَةً وَّ قِنَا عَذَا بَ النَّارِ
রাব্বানাআ-তিনা-ফিদ্দুনইয়া-হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়া কিনা-‘আযা-বান্না-র।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দাও এবং আখেরাতেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব হতে রক্ষা কর।”
(সূরা বাকারাহ্:২০১ )

رَبَّنَاۤ اَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَّثَبِّتْ اَقْدَا مَنَا وَا نْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْکٰفِرِيْنَ 
রাব্বানা-আফরিগ আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফরীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্যধারণের শক্তি দান কর এবং আমাদের পদগুলো দৃঢ় রেখ এবং কাফির দলের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত কর’।
(সূরা বাকারাহ্:২৫০)

رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِيْنَاۤ اَوْ اَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَاۤ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَا قَةَ لَنَا بِهٖ ۚ وَا عْفُ عَنَّا ۗ وَا غْفِرْ لَنَا ۗ وَا رْحَمْنَا ۗ اَنْتَ مَوْلٰٮنَا فَا نْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ
রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে আমাদেরকে পাকড়াও করো না, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আগের লোকেদের উপর যেমন গুরু-দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না; হে আমাদের প্রতিপালক! যে ভার বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই, এমন ভার আমাদের উপর চাপিয়ে দিও না, (ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করে) আমাদেরকে রেহাই দাও, আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর; তুমিই আমাদের প্রতিপালক, কাজেই আমাদেরকে কাফিরদের উপর জয়যুক্ত কর।
(সূরা বাকারাহ্:২৮৬)

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّا بُ
রাব্বানা-লা-তুঝিগ কুলূবানা-বা‘দা ইয হাদাইতানা -ওয়াহাবলানা-মিল্লা দুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহা-ব।
হে আমাদের প্রতিপালক! সৎ পথ প্রদর্শনের পরে তুমি আমাদের অন্তরগুলোকে বক্র করে দিও না, আমাদেরকে তোমার নিকট হতে রহমত প্রদান কর, মূলতঃ তুমিই মহান দাতা।
(সূরা আল ইমরান:৮)

رَبَّنَاۤ اِنَّكَ جَامِعُ النَّا سِ لِيَوْمٍ لَّا رَيْبَ فِيْهِ ۗ اِنَّ اللّٰهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيْعَادَ
রাব্বানা ইন্নাকা জা-মি‘উন্না-ছি লিইয়াওমিল্লা-রাইবা ফীহি ইন্নাল্লা-হা লা-ইউখলিফুল মী‘আদ।
হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি সমুদয় মানুষকে একদিন সমবেত করবে, যাতে কোনও সন্দেহ নাই। নিশ্চয়ই আল্লাহ অঙ্গীকারের খেলাফ করেন না।
(সূরা আল ইমরান আয়াত ৯)

رَبَّنَاۤ اِنَّنَاۤ اٰمَنَّا فَا غْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ 
রাব্বানা ইন্নানা আ-মান্না-ফাগফিরলানা-যুনূবানা-ওয়াকিনা‘আযা-বান্না-র।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা কর এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর’।
(সূরা আল ইমরান আয়াত ১৬)

رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا بِمَاۤ اَنْزَلْتَ وَا تَّبَعْنَا الرَّسُوْلَ فَا كْتُبْنَا مَعَ الشّٰهِدِيْنَ
রাব্বানাআ-মান্নাবিমাআনঝালতা ওয়াত্তবা‘নার রাছূলা ফাকতুবনা-মা‘আশশা-হিদীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতীর্ণ করেছ আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, রসূলের আনুগত্য স্বীকার করেছি, সুতরাং আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের মধ্যে লিপিবদ্ধ কর।
(সূরা আল ইমরান:৫৩)

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَاِ سْرَا فَنَا فِيْۤ اَمْرِنَا وَ ثَبِّتْ اَقْدَا مَنَا وَا نْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ
রাব্বানাগ ফিরলানা-যুনূবানা-ওয়া ইছরা-ফানাফীআমরিনা-ওয়াছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো এবং আমাদের কাজ-কর্মে বাড়াবাড়িগুলোকে তুমি ক্ষমা করে দাও, আমাদেরকে দৃঢ়পদ রেখ এবং কাফিরদলের উপর আমাদেরকে সাহায্য কর।’
(সূরা আল ইমরান আয়াত ১৪৭)

 رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَا طِلًا  ۚ سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
রাব্বানা-মা-খালাকতা হাযা-বা-তিলান ছুবহা-নাকা ফাকিনা-‘আযা-বান্না-র।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, সুতরাং আমাদেরকে অগ্নির শাস্তি হতে রক্ষা কর।
(সূরা আল ইমরান:১৯১)

رَبَّنَاۤ اِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ اَخْزَيْتَهٗ ۗ وَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ
রাব্বানাইন্নাকা মান তুদখিলিন্না-রা ফাকাদ আখঝাইতাহূ ওয়ামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন আনসা-র।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যাকে আগুনে নিক্ষেপ করবে, তাকে অবশ্যই তুমি অপমান করবে আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
(সূরা আল ইমরান:১৯২)

رَبَّنَاۤ اِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَا دِيًا يُّنَا دِيْ لِلْاِ يْمَا نِ اَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰ مَنَّا ۖ رَبَّنَا فَا غْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّاٰتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْاَ بْرَارِ 
রাব্বানা-ইন্নানা-ছামি‘না-মুনা-দিআইঁ ইউনা-দী লিল ঈমা-নি আন আ-মিনূবিরাব্বিকুম ফাআমান্না-রাব্বানা-ফাগফিরলানা-যুনূবানা-ওয়াকাফফির‘আন্না-ছাইয়িআ-তিনাওয়াতাওয়াফফানা-মা‘আল আব রা-র।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা একজন ঘোষণাকারীকে ঈমানের ঘোষণা করতে শুনেছি যে, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনো’। সে অনুযায়ী আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের গুনাহ্গুলো ক্ষমা কর এবং আমাদের থেকে আমাদের মন্দ কাজগুলো বিদূরিত কর আর নেক বান্দাদের সঙ্গে শামিল করে আমাদের মৃত্যু ঘটাও।
(সূরা আল ইমরান আয়াত ১৯৩)

رَبَّنَا وَاٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۗ اِنَّكَ لَاتُخْلِفُ الْمِيْعَادَ
রাব্বানা-ওয়া আ-তিনা-মা-ওয়া-‘আত্তানা-‘আলা-রুছুলিকা ওয়ালা-তুখঝিনা-ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মী‘আ-দ।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি স্বীয় রসূলদের মারফত আমাদেরকে যেসব বস্তুর ওয়াদা শুনিয়েছ, তা আমাদেরকে দান কর এবং ক্বিয়ামাতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করো না, নিশ্চয়ই তুমি ওয়া‘দা খেলাফ কর না।
(সূরা আল ইমরান আয়াত ১৯৪)

رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَا كْتُبْنَا مَعَ الشّٰهِدِيْنَ
রাব্বানাআ-মান্না-ফাকতুবনা-মা‘আশশা-হিদীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই তুমি আমাদেরকে সাক্ষীদাতাদের তালিকাভূক্ত কর।”
(সূরা মায়দা:৮৩)

رَبَّنَاۤ اَنْزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَآءِ تَكُوْنُ لَـنَا عِيْدًا لِّاَوَّلِنَا وَاٰ خِرِنَا وَاٰ يَةً مِّنْكَ ۚ وَا رْزُقْنَا وَاَ نْتَ خَيْرُ الرّٰزِقِيْنَ
রাব্বানাআনঝিল ‘আলাইনা-মাইদাতাম মিনাছছামাই তাকূনুলানা-‘ঈদাল লিআওওয়ালিনা-ওয়া আ-খিরিনা-ওয়া আ-ইয়াতাম মিনকা ওয়ারঝুকনা-ওয়া আনতা খাইরুর রা-ঝিকীন।
হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক আমাদের নিকট আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাদ্য প্রেরণ কর যা আমাদের প্রথম থেকে শেষ সকল ব্যক্তির জন্য আনন্দের ব্যাপার হবে আর হবে তোমার থেকে একটা নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তুমিই সর্বোত্তম রিযকদাতা।”
(সূরা মায়দা:১১৪)

رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا وَاِ نْ لَّمْ تَغْفِرْ لَـنَا وَتَرْحَمْنَا لَـنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ
রাব্বানা-জালামনাআনফুছানা-ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা-ওয়া তারহামনা-লানাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করে ফেলেছি, যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর আর দয়া না কর তাহলে আমরা অবশ্য অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’
(সূরা আরাফ:২৩)

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِيْنَ
রাব্বানা-লাতাজ‘আলনা-মা‘আল কাওমিজ্জা-লিমীন।
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে যালিমদের সঙ্গী করো না।’”
(সূরা আরাফ:৪৭)

رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِا لْحَـقِّ وَاَ نْتَ خَيْرُ الْفٰتِحِيْنَ
রাব্বানাফতাহ বাইনানা -ওয়া বাইনা-কাওমিনা-বিলহাক্কিওয়া আনতা খাইরুল ফা-তিহীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! ‘তুমি আমাদের আর আমাদের জাতির মধ্যে সঠিকভাবে ফায়সালা করে দাও আর তুমি হলে সর্বোত্তম মীমাংসাকারী।’”
(সূরা আরাফ আয়াত ৮৯)

رَبَّنَاۤ اَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَّتَوَفَّنَا مُسْلِمِيْنَ
রাব্বানা-আফরিগ ‘আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়াতাওয়াফফানা-মুছলিমীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য ও দৃঢ়তা অবলম্বনের গুণে অভিষিক্ত কর আর মুসলমান হিসেবে আমাদের মৃত্যু দান কর।
(সূরা আরাফ আয়াত ১২৬)

رَبِّ اِنِّيْۤ اَعُوْذُ بِكَ اَنْ اَسْـئَلَكَ مَا لَـيْسَ لِيْ بِهٖ عِلْمٌ ۗ وَاِ لَّا تَغْفِرْ لِيْ وَتَرْحَمْنِيْۤ اَكُنْ مِّنَ الْخٰسِرِيْنَ
রাব্বি ইন্নীআঊযুবিকা আন আছআলাকা মা-লাইছা লী বিহী ‘ইলমুওঁ ওয়া ইল্লাতাগফিরলী ওয়া তারহামনী আকুম মিনাল খা-ছিরীন।
‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে আমার কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। যদি তুমি আমাকে ক্ষমা না কর আর আমার প্রতি দয়া না কর তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’
(সূরা হুদ:৪৭)

رَبَّنَاۤ اِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِيْ وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفٰى عَلَى اللّٰهِ مِنْ شَيْءٍ فِى الْاَ رْضِ وَلَا فِى السَّمَآءِ
রাব্বানাইন্নাকা তা‘লামুমা-নুখফী ওয়ামা-নু‘লিনু ওয়ামা-ইয়াখফা-‘আলাল্লা-হি মিন শাইইন ফিল আরদিওয়ালা-ফিছছামাই।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তো জান যা আমরা গোপন করি আর যা প্রকাশ করি, আসমান ও যমীনের কোন বস্তুই আল্লাহ হতে গোপন নেই।
(সূরা ইব্রাহিম:৩৮)

رَبِّ اجْعَلْنِيْ مُقِيْمَ الصَّلٰوةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِيْ ۖ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَآءِ
রাব্বিজ ‘আলনী মুকীমাসসালা-তি ওয়া মিন যুররিইইয়াতী রাব্বানা-ওয়া তাকাব্বাল দু‘আই।
হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী বানাও আর আমার সন্তানদেরকেও, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমার প্রার্থনা কবূল কর।
(সূরা ইব্রাহিম:৪০)

رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلـِوَا لِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ
রাব্বানাগফিরলী ওয়া লিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিলমু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকূমুল হিছা-ব।
হে আমাদের প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে আর মু’মিনদেরকে ক্ষমা করে দিও,
(সূরা ইব্রাহিম:৪১ )

رَّبِّ اَدْخِلْنِيْ مُدْخَلَ صِدْقٍ وَّ اَخْرِجْنِيْ مُخْرَجَ صِدْقٍ وَّا جْعَلْ لِّيْ مِنْ لَّدُنْكَ سُلْطٰنًا نَّصِيْرًا
রাব্বি আদখিলনী মুদ খালা সিদকিওঁ ওয়া আখরিজনী মুখরাজা সিদকিওঁ ওয়াজ‘আলনী মিল্লাদুনকা ছুলতা-নান নাসীরা-।
হে আমার প্রতিপালক! আমাকে (যেখানেই) প্রবেশ করাও, (সেটা কর) সত্য ও সম্মানের প্রবেশ, আর আমাকে (যেখান হতেই) বের কর, (সেটা কর) সত্য ও সম্মানের বহির্গমন, আর তোমার নিকট হতে আমাকে এক সাহায্যকারী শক্তি দান কর।
(সূরা ইশরা:৮০)

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّهَيِّئْ لَـنَا مِنْ اَمْرِنَا رَشَدًا
রাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার নিকট হতে আমাদেরকে রহমত দান কর আর আমাদের ব্যাপারটি সুন্দর ভাবে সম্পাদন কর।’
(সূরা কাহাফ আয়াত ১০)

رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَن يَطْغَىٰ
রাব্বানাইন্নানা-নাখা-ফুআইঁ ইয়াফরুতা ‘আলাইনাআও আইঁ ইয়াতগা-।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ভয় হচ্ছে সে আমাদের প্রতি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠবে কিংবা আমাদের প্রতি আচরণে বাড়াবাড়ি করবে।
(সূরা ত্বহা:৪৫)

رَّبِّ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزٰتِ الشَّيٰطِيْنِ 
রাব্বি আ‘ঊযুবিকা মিন হামাঝা-তিশশাইয়া-তীন।
হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়ত্বানের কুমন্ত্রণা হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
(সূরা মুমিনুন আয়াত ৯৭)

اَ عُوْذُ بِكَ رَبِّ اَنْ يَّحْضُرُوْنِ
আ‘ঊযুবিকা রাব্বি আইঁ ইয়াহদু রূন।
আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আমার প্রতিপালক! যাতে তারা আমার কাছে আসতে না পারে।’
(সূরা মুমিনুন:৯৮)

رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَـنَا وَا رْحَمْنَا وَاَ نْتَ خَيْرُ الرّٰحِمِيْنَ 
রাব্বানা আ-মান্না-ফাগফিরলানাওয়ারহামনা-ওয়াআনতা খাইরুর রা-হিমীন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
(সূরা মুমিনুন আয়াত ১০৯)

رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا
রাব্বানাসরিফ ‘আন্না-‘আযা-বা জাহান্নামা ইন্না ‘আযা-বাহাকা-না গারা-মা-।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি দূর কর, তার শাস্তি তো ভয়াবহ বিপদ।
(সূরা ফুরকান:৬৫)

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
রাব্বানা-হাবলানা-মিন আঝওয়া-জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ‘ইউনিওঁ ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকীনা ইমা-মা-।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান কর যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দাও।”
(সূরা ফুরকান আয়াত ৭৪)

الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْۤ اَذْهَبَ عَـنَّا الْحَزَنَ ۗ اِنَّ رَبَّنَا لَـغَفُوْرٌ شَكُوْرٌ 
হামদুলিল্লা-হিল্লাযী আযহাবা ‘আন্নাল হাঝানা ইন্না রাব্বানালাগাফূরুন শাকূর।
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের দুঃখ কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। আমাদের প্রতিপালক অবশ্যই পরম ক্ষমাশীল, (ভাল কাজের) বড়ই মর্যাদাদানকারী।
(সূরা ফাতির:৩৪)

رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَّحْمَةً وَّعِلْمًا فَا غْفِرْ لِلَّذِيْنَ تَا بُوْا وَا تَّبَعُوْا سَبِيْلَكَ وَقِهِمْ عَذَا بَ الْجَحِيْمِ
রাব্বানা-ওয়াছি‘তা কুল্লা শাইয়িররাহমাতাওঁ ওয়া ‘ইলমান ফাগফির লিল্লাযীনা তা-বূওয়াত্তাবা‘ঊ ছাবীলাকা ওয়াকিহিম ‘আযা-বাল জাহীম।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার রহমত ও জ্ঞান দিয়ে সব কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছ, কাজেই যারা তাওবাহ করে ও তোমার পথ অনুসরণ করে তাদেরকে ক্ষমা কর, আর জাহান্নামের ‘আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা কর।
(সূরা গাফির:৭)

رَبَّنَا وَاَ دْخِلْهُمْ جَنّٰتِ عَدْنِ ٱِلَّتِيْ وَعَدْتَّهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ اٰبَآئِهِمْ وَاَ زْوَا جِهِمْ وَذُرِّيّٰتِهِمْ ۗ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ 
রাব্বানা-ওয়া আদখিলহুম জান্না-তি ‘আদনি নিল্লাতী ওয়া ‘আত্তাহুম ওয়া মান সালাহা মিন আবাইহিম ওয়া আঝওয়া-জিহিম ওয়া যুররিইয়া-তিহিম ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল হাকীম।
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে আর তাদের পিতৃপুরুষ, স্বামী-স্ত্রী  ও সন্তানাদির মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে তাদেরকেও চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান যার ওয়া‘দা তুমি তাদেরকে দিয়েছ; তুমি মহা পরাক্রমশালী, মহা বিজ্ঞ।
(সূরা গাফির আয়াত ৮)

وَقِهِمُ السَّيِّاٰتِ ۗ وَمَنْ تَقِ السَّيِّاٰتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهٗ ۗ وَذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ
ওয়া কিহিমুছ ছাইয়িআ-তি ওয়া মান তাকিছ ছাইয়িআ-তি ইয়াওমায়িযিন ফাকাদ রাহিমতাহূ ওয়া যা-লিকা হুওয়াল ফাওঝুল ‘আজীম।
সমস্ত খারাবী থেকে তাদেরকে রক্ষা কর। সেদিন তুমি যাকে সমস্ত খারাবী থেকে রক্ষা করলে, তার উপর তো দয়াই করলে। ওটাই হল বিরাট সাফল্য।
(সূরা গাফির:৯)

رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَاِ لَيْكَ اَنَـبْنَا وَاِ لَيْكَ الْمَصِيْرُ
রাব্বানা-‘আলাইকা তাওয়াক্কালনাওয়া ইলাইকা আনাবনা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমারই উপর নির্ভর করছি, তোমারই অভিমুখী হচ্ছি, আর (সব কিছুর) প্রত্যাবর্তন তো তোমারই পানে।
(সূরা মুমতাহানা:৪)

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَا غْفِرْ لَـنَا رَبَّنَا ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
রাব্বানা-লা-তাজ‘আলনা-ফিতনাতালিলল্লাযীনা কাফারূওয়াগফিরলানা-রাব্বানা- ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল হাকীম।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে কাফিরদের উৎপীড়নের পাত্র করো না, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, তুমি মহা পরাক্রান্ত, মহা বিজ্ঞানী।
(সূরা মুমতাহানা:৫)

رَبَّنَاۤ اَ تْمِمْ لَـنَا نُوْرَنَا وَا غْفِرْ لَـنَا ۚ اِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
রাব্বানা আতমিম লানা-নূরানা-ওয়াগফিরলানা- ইন্নাকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের নূরকে আমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দাও আর আমাদেরকে ক্ষমা কর; তুমি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।’
(সূরা তাহরিম:৮)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment