২০) বুদ্ধিমান লােক নিজে নত হয়ে বড় হয়, আর নির্বোধ নিজেকে বড় বলে অপদস্থ হয়।
– হযরত আলী (রাঃ)
২১) এমন প্রসাদ তৈরি করো না, যা তুমি বাসযােগ্য করতে পারবে না।
– আল ফারাবী (রহঃ)
২২) বহুদর্শিতার মতাে উপদেশ আর নেই, যে ব্যক্তি স্বয়ং ঠেকে শিখেছে তার কাছে শিক্ষা করো।
– হযরত আলী (রাঃ)
২৩) অলসতার প্রতি আত্মসম্পন করার অর্থ নিজের অধিকার হতে স্বেচ্ছায় বঞ্চিত হওয়া ।
-হযরত আলী (রাঃ)
২৪) বিপদ যত বড়ই হােক, তাকে চিরস্থায়ী মনে কর না এবং মৃত্যুকে কোন সময় ভুলে যেয়াে না ।
-হযরত আলী (রাঃ)
২৫) আজকের অত্যন্ত মধুর অনেক কিছুই পরবর্তী জীবনের জন্য বড় কষ্টদায়ক ব্যাপারে পতিত হবে।
– হযরত আলী (রাঃ)
২৬) তােমরা যখন বিপদে পড়িবে, সন্ত্রস্ত হইওনা কোন দুশমন কিংবা বন্ধু কাহারাে নিকট প্রকাশ করিও না। আল্লাহপাকের উপর কোন রকম অভিযোগ করিও না, আল্লাহ বান্দাদের পরীক্ষা করেন। তবে যদি তােমাদের লাভের সম্ভাবনা থাকে তাহা হইলে প্রকাশ কর এবং শোকর কর।
– বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ)
২৭) অন্যের নিকট হাত পাতার ফলে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ বিনষ্ট ও হয়ে যায়। সে সম্পদ হচেছ আত্মমর্যাদাবোধ।
– হযরত আলী (রাঃ)
২৮) যার লক্ষ্য চিরন্তন জীবন, প্রবৃত্তির লালসা তার ত্যাগ করা উচিত। প্রবৃত্তিকে পরাভূত করে যে কাজ করা হয়, সেই সর্বোত্তম।
– হযরত আলী (রাঃ)
২৯) জীবন দর্শনের নিগুঢ় অর্থ আত্মপ্রতিষ্ঠা ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ, ব্যক্তিত্বের অভাবই মৃত্যু।
– আল্লামা ইকবাল (রহঃ)
৩০) ক্ষমতা প্রাপ্ত রাজপুরুষের অত্যাচার ও বিচারাসনে বসিয়া বিচারকদের অবিচারের মত মন্দ কাজ আর নাই।
– হযরত আলী (রাঃ)
৩১) অপ্রয়ােজনীয় দুরাশার পিছনে ঘুরে জীবনপাত কারী ব্যক্তিই সর্বাপেক্ষা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত।
– হযরত আলী (রাঃ)
৩২) হে আল্লাহ! তুমি আমাকে খুব বেশি অর্থ দান করাে না। কেননা, তাতে আমি দাম্ভিক হয়ে যেতে পারি ; আর একেবারে অল্পও দিওনা। “কেননা, তাতে তােমাকে ভুলে যেতে পারি। যে “প্রাচুর্য” পথভ্রষ্ট করে তা অপেক্ষা অল্প অনেক ভাল।
– হযরত ওমর (রাঃ)
৩৩) যে তােমাকে ধনী বানায় না, সে তােমার চেয়ে বেশি জানে।
– শেখ সাদী (রাঃ)
৩৪) অন্যের মধ্যে যা খারাপ বলে মনে কর, নিজের মধ্যেও তা খারাপ মনে করতে শেখ।
– হযরত আলী (রাঃ)
৩৫) আজকের কাজ কালকের জন্য কখনো অবহেলা করে রেখে দিও না।
– হযরত ওমর (রাঃ)
৩৬) অবিচার এবং কুশাসনের মধ্যে শাসকগণের পক্ষাবলম্বন করা সর্বপেক্ষা বড় প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
– হযরত আলী (রাঃ)
৩৭) যে তােমার উপদেশ শুনিতে চায় তাকে ছাড়া অন্য কাউকে উপদেশ দিও না।
– হযরত আলী (রাঃ)
৩৮) আত্মীয় ত্যাগী ধনী অপেক্ষা আত্মীয় বৎসল গরীব ভাল ।
– হযরত আলী (রাঃ)
৩৯) খােদার নিকট আমি আদব আর শক্তি কামনা করছি। কেননা, বে-আদব আল্লাহ তা’য়ালার মেহেরবাণী থেকে বঞ্চিত থাকে ।
– মাওলানা রুমী (রহঃ)
৪০) ধন দানে যে ব্যক্তি যত বেশি কৃপণ, মান-সম্মান দানে সে তত বেশি অকৃপণ।
-হযরত আলী (রাঃ)
৪১) কৃতজ্ঞ কুকুর অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়েও শ্রেয়।
– শেখ সাদী (রহঃ)
৪২) মূর্খের সঙ্গে বন্ধুত্ব করাে না, সে তােমার উপকারের চেয়ে তােমার ক্ষতিই বেশি করবে ।
– হযরত আলী (রাঃ)
৪৩) মূর্খতা এমন এক পাপ, সারা জীবনে যার প্রায়শ্চিত্ত হয় না।
– আল ফখরী (রহঃ)
৪৪) অজ্ঞ ব্যক্তিরাই বলে পরিবেশের সঙ্গে মিলেমিশে চল, পরিবেশ যদি তােমার নির্দেশে না চলে তবে তার সাথে যুদ্ধ ঘােষণা কর ।
– আল্লামা ইকবাল (রাঃ)
৪৫) যে ব্যক্তি পাপ লুকিয়ে রাখে তার মুক্তি নেই কিন্তু যে পাপ স্বীকার করে এবং উহা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তার প্রতি দয়া প্রদর্শন করেন।
– হ্যরত সােলাঈমান (আঃ)
৪৬) অল্প কথা বলা জ্ঞানীর লক্ষণ, অল্প আহার স্বাস্থের সহায়ক, অল্প ঘুম উপসনা স্বরূপ এবং লােকের সঙ্গে অল্প মেলামেশা নিরাপদ রাখে।
– হযরত ওমর (রাঃ)
৪৭) ব্যক্তি বিশেষের একটি আচরণ দেখেই তার প্রতি আকৃষ্ট হইও না, তার অন্যান্য আচরণ সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিও।।
– হযরত আলী (রাঃ)
৪৮) যে ব্যক্তি গরীব দুঃখীর আর্তনাদ শুনে কান বন্ধ করে রাখে, সেও একদিন আর্তনাদ করবে কিন্তু কেউ শুনবে না ।
– হযরত সােলায়মান (আঃ)
৪৯) আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, বিপদের সময় দু’হাত তুলে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া এবং বিপদে ধৈর্য ধারণ করা মানুষের জন্য কল্যাণ ডেকে আনে।
– ইমাম গাজ্জালী (রাঃ)
৫০) যে প্রাচুর্য কুপথে টানে দারিদ্র তদপেক্ষা অনেক শ্রেয়।
– হযরত আলী (রাঃ)
৫১) যদি কারাে প্রতি তুমি অনুগ্রহ কর, তবে তা গোপন রাখবে। আর অন্যে যদি তােমার প্রতি অনুগ্রহ করে তবে তা সাধ্যমত প্রচার করবে ।
– হযরত আলী (রাঃ)
৫২) নীচ লােকের প্রধান হতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য।
– হযরত আলী (রাঃ)