“কি জালা বকর শুনি”
[লেখক :: আরিফ ওয়াকিজ]
২২ শে জামাদিস সানী ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ)’র পবিত্র ওফাত দিবস।
দাড়ালো মুনিব উচু পর্বতে
কহিলেন খোদার এলান,
লা’শরীক যিনি নেই সমতুল
তিনি আল্লাহ্ মহান।
জাহেল লাহাব দুষ্ট জাতি
ইনকার করিলো সবে,
বাপ দাদার মহা ধর্ম কর্ম
ভুলিয়া যাবো কি তবে?
যে রূপের ভিক্ষা চন্দ্র সূর্য
তারকা সবে পায়!
সেই নুরি দোহা মলিন হয়ে
আধার ছেয়ে যায়।
সামনে আসিয়া চরন ধরিয়া
লুটায়ে পরিয়া কহেন,
কুহাফার বেটা আছে সাথে
কালেমা পড়ায়ে দেন।
আজি হতে মোর সকল কিছু
চরনে দিলাম মুনিব,
কিছু নাহি চায় সদা রাখিবেন
আপনার চরনের ক’রিব।
দুষ্ট জাতিরা মিলিয়া সবাই
কুমন্ত্রণার বীজ বুনে,
রবের এলান চলে যান হাবীব
ঐ'”দুর মদীনার পানে।
বকর প্রস্তুত থাকিও তবে
হিজরতের সঙ্গী তুমি,
সময় হলে ডাকিয়া তোমায়
লইয়া যাইবো আমি।
বহুদিন বাদে আসিলো তবে
হিজরতের মহা ক্ষন,
দুওয়ারে দাড়াতেই হাজির গোলাম
মহা সুখে বকরের মন।
মুনিব কহেন কি হে বকর
নিদ্রা নাহি কি তবে?
আপনার সঙ্গী হবার সুখে
অনিদ্রায় রাত্রি পার সবে!
চলিতে ক্লান্ত বাদশাহে কুল
আরামে যাবেন সাওর,
একটু দাড়ান নিরাপদ করি
গুহাচরে কহেন বকর।
বহু গর্তে ভরিয়া আছে
সাওরের ভিতর জগৎ,
চাদর ছিড়িয়া পূর্ন করিলো
একটি তবুও বলবৎ।
মুনিব আসিয়া বকরের কোলে
রহমত হেলিয়া শুয়ে যায়,
গর্ত হতে বৃষধর সর্প আসি
দংশন করিলো পায়।
বিষের জালায় নীলবর্ণ দেহ্
তবুও শিতল রহে,
ভিতর জলিয়া প্রেম সমুদ্রের
অস্রুর ধারা বহে।
রহমতে আলম জাগিয়া কহে
কি জালা বকর শুনি!
বৃষরাশি ছড়ালো গোটা দেহে
কেনো মোরে ডাকনি?
পিতা মাতা সবি কোরবান করি
আপনার নুরি চরণে,
ছোবল মারিলো বৃষধর সর্প
মোর পায়ের এক কোণে।
ইবনে হাবীবের কি জবান
শানে সিদ্দিক কহে!
যাহার জিকির করিতে সদা
হুর মালায়েক রহে।