কারবালা সম্পর্কে সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়াজ মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) এর মূল্যবান বাণী

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

বোকারা বুঝতে পারেনি ”  ইমাম হোসাইন (রাঃ) পানির পিপাসায় অসহায়ের মত শাহাদাত হননি 

বরং তিনি আসল ও নকল ভাগটি

পরিস্কার করে দেখিয়ে গেছেন।

ইমাম হোসাইন (রাঃ)  এর জুলজেনা’র (ঘোড়ার নাম) পদধূলা বলতেও নিজেকে লজ্বাবোধ করি।

অথচ আমি মঈনুদ্দীন যদি সেদিন কারবালার মাঠে একটি আঙ্গুল দিয়েও খোঁচা দিতাম তাহলে আল্লাহর কসম” সঙ্গে সঙ্গে পানির নহর বয়ে যেত।

পৃথ্বীরাজ যখন খাজা বাবার পানি বন্ধ করে দিল” তখন গাউছে পাক খাজা বাবা হুঙ্কার ছেড়ে বলেছিলেন:- ওহে ইয়াজিদের বাচ্চা” তুই কি এটা কারবালা পেয়েছিস?হোসাইনের গোলামের পানি বন্ধ করার সাহস কার? তুই কি আমার পানি বন্ধ করবি? তোর সমগ্র রাজস্থানের পানি আমি আমার এ বাটির মধ্যে তুলে নিলাম।। কথিত আছে” এর ফলে সমগ্র রাজস্থানের পানি শুকিয়ে গেছিল।

এমন কি মায়ের স্তনের দুধও। সত্যিইতো যার হাতে হাউজে কাওসারের কর্তৃত্ব” যিনি সমগ্র জান্নাতীদের জামে ওয়াহাদাত পান করাবেন” যিনি বেহেশ্তের সর্দার”

সেই প্রিয় নবীজীর নয়ণের মণি” খাতুনে জান্নাতের কলিজার টুকরা” ইমাম হোসাইন (রাঃ) কিভাবে পিপাসিত থাকতে পারেন??

এখানে খাজা বাবা ইমাম হোসাইন (আ:) এর গোলামের গোলাম হয়ে” আল্লাহর কসম করে যে কাজটি করতে পারতেন বলেছেন” ইমাম হোসাইন (রাঃ)  আকা হয়ে সে কেরামতটি দেখালেন না কেন??

কারন ইমামে আলী মোকাম ধৈর্য ও ছবরের অগ্নি পরীক্ষায় আল্লাহর রেজাবন্দীর উপর ইমাম ছিলেন সন্তষ্ট।।

আল্লাহওয়ালাদের ধৈর্য্যের চরম পরীক্ষায় তিনি জয়ী হয়েছিলেন। নিজের জীবন দিয়ে মোহাম্মদী ইসলাম ও সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।

পরিশেষে একটি সূফী কবির কবিতা

দিয়ে শেষ করলাম!!!!

কাটায়া ছেরকো সিজদেমে এহি উম্মতোকি

খাতির হোসাইন আগার সওকছে ছের না

কাটা তে” তো হাম আজ শানছে ছের

নেহি উঠা ছেকতে।

অর্থাৎ- ইমাম হোসাইন (আ:) যদি আল্লাহর রাহে

নিবেদিত হয়ে সেদিন ছের (মাথা)

না কাটাতেন” তাহলে উম্মতে

মুহাম্মদী মর্যাদা সাথে কোন

দিনও মাথা তুলতে পারতেন না।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment