মাঘের শীতে চাঁদের সাথে মোড়েতে গলিতে
বিগলিত জোছনায় কুয়াশায় খুঁজে যায়
আমার দু’চোখ, ঊষার আকাশ।
ঊষার আকাশ- ঝিলমিলে সূর্যের প্রত্যাশা
চামড়ার রোমেরোমে উষ্ণ স্বস্তির আঁকিবুঁকি
ফুটপাত শ্রেণির পরম বিলাশ।
এসবি দেখি, হোস্টেল জীবনে এসে।
পঁচিশ টাকার দু’বেলা তরকারিতে
গোস্তের টুকরো খুঁজি, আঙুল ঠেলেঠেলে।
ভাঙিভাঙি করা ভবনের ভেতর
কঁচকঁচ করা খাটের ওপর, স্বপ্ন দেখি,
একদিন শীতাতপ ঘরে, কারো বাহুডোরে
ঘুমাব পৈশাচিক শান্তিতে।
পিছে ঠেলে সভ্যতা,
রাস্ট্রযন্ত্রের বুর্জোয়া মন্ত্রে আবোধ্য ইবাদত।
এগোও! ছাপিয়ে যাও বাকিদের
পাবে সম্মান, পাবে দেহসুখের উপকরণ।
পরিবারের স্নেহসিক্ত চাবুক,
মায়ের মায়াবী মুখের পর্দায় দেখি,
প্রতিযোগিতাবাদের অবচৈতনিক সমর্থন।
আমাকে এগুতে বলে,
দে অলিম্পকের দৌড়!
আমি দৌড়াই, পরাজিত হই, বরংবারের মত।
এ পৃথিবী আমার, প্রকৃতি আমার,
এ আমার জন্মের অধিকার।
আর তাদের গড়ে তোলা সভ্যতা, পুঁজি, রাস্ট্র
আমাকে বঞ্চিত করে, সে অধিকার থেকে।
লাভাময় ভূ-গর্ভ থেকে মহাকাশের আলোকবর্ষেও
তাদের অবাধ বিস্তার,
আর আমি বাংলার চিপাগলির অন্ধকার
সাথে নিয়ে জোছনা দেখি
যেন এক অবাঞ্চিত অতিথি।
তারা সব নিয়েছে,
তবুও আমার রাজ্য আছে
আমি সেথায় নন্দিত নাগরিক।
মহাকালের এই সুবিশাল দেহে
গড়ে ওঠা একমাত্র অবিনশ্বর শহর
প্রেমিক হৃৎপিণ্ডের ইটে গাঁথা
শান্তির নকশীকাঁথা
আমার একমাত্র ঠিকানা… মদিনা!