কবর যেয়ারতের বর্ণনা
✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) ➡ মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]
❏ মাসয়ালা: (২২৯)
➠তোহফায়ে বুর্রার মধ্যে রয়েছে যে, কোন কোন বর্ণনায় জুমার নামাজের পূর্বে কবর জেয়ারত করা নিষেধ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে, মূলত: ইহা একটি ভিত্তিহীন কথা যা হারামাইনের পরিপন্থী একটি কাজ। এ ধরনের বর্ণনা দ্বারা আহলে হারামাইনের বর্ণনাকে রহিত করার অন্তর্ভূক্ত। অর্থাৎ জুমার নামাজের পূর্বে কবর জেয়ারত হারামাইনদের কর্ম যা জায়েজ ও বৈধ।
➥ [ফতোয়ায়ে মাজ্মায়ুল বারকাত, তাফসীরে সূরায়ে আলাম নাশরাহ, কৃত-আল্লামা নক্বী আলী খান সাহেব পৃষ্ঠা-২১৪]
কবরের পাশে কোরআন শরীফ পাঠ করা মাকরুহ নয়।
❏ মাসয়ালা: (২৩০)
قال الصدر الشهيد رحمة الله عليه ومشائخنا اخذوا بقول محمد لاتكره –
➠ইমাম ছদরুশ শহীদ (رضي الله عنه) বলেন: আমাদের হানাফী ইমামগণের মতে কবরসমূহের পাশে পবিত্র কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা মাকরুহ নয়।
ইমাম আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহীম বলেন- কবরের পাশে সূরায়ে মুলূক শরীফ পাঠ করা, উচ্চ আওয়াজে হোক কিংবা চুপে চুপে হোক উভয় অবস্থায় জায়েজ।
❏ মাসয়ালা: (২৩১)
➠ইমাম আবু বকর ইবনে আবী সাঈদ (رحمة الله) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন কবর জিয়ারতের সময় সূরায়ে ইখলাস পাঠ করা মুস্তাহাব।
কবর জিয়ারতের পদ্ধতি দুটি:
(১) সূরায়ে বাকারার প্রারম্ভে الم …. مفلحون পর্যন্ত এবং সূরায়ে বাকারার শেষে آمن الرسول … كافرين পর্যন্ত পাঠ করা, তাছাড়া সূরায়ে তাকাসুর সূরায়ে কাফেরুন ও সূরায়ে ইখলাস প্রত্যেকটি সূরা তিন বার করে পাঠ করা।
(২) সূরায়ে ইখলাস ৭ বার পাঠ করা। যে ব্যক্তি ৭ বার সূরায়ে ইখলাস পাঠ করবে যদি সে কবরবাসী গুনাহগার হয় তাহলে তার গুনাহ আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিবেন। আর যদি কবরবাসী নেককার হয় তবে পাঠকারীর গুনাহ আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিব.
يستجب عند زيارة القبور قرأة سورة الاخلاص سبع مرات فانّه بلغنى انّه من قرأها سبع مرّات ان كان ذلك غير مغفورله يغفرله وان كان مغفورًا له غفر لهذا لقارى –