নিউজ ১ :
সত্যতা যাচাইয়ে একটু সময় নিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো
ছাত্রী সংস্থা নিয়ে সাবেক নেত্রী আয়েশা আক্তারের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি
কে কি ভাববে, আমার সম্পর্কে কি ভাববে, এসব চিন্তা করে চুপ ছিলাম। কিন্তু ভেবে দেখলাম আমার মত ভূক্তভোগীদের নীরবতার কারণেই ছাত্রী সংস্থা ও জামাত শিবিরের মত ইসলাম বিরোধী সংগঠনগুলো মুসলমানদের ইমান ও নারীদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাই মা-বোনদের ইজ্জত ও আব্রু রক্ষায় ছাত্রী সংস্থার গোঁমড় ফাঁস করে দেয়ার সংকল্প করলাম।
ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোক এটা মুসলমানদের একান্ত চাওয়া। এই চাওয়া থেকেই মানারাত ইউনিভার্সিটির ইশরাত জাহান মৌসুমীর মাধ্যমে রওশন আরা স্বপ্না নামে এক নেত্রীর সঙ্গে পরিচিত হলাম। স্বপ্না আপা আপন বোনের মত কাছে টেনে নিলেন। আমার হল অর্থাৎ সুফিয়া কামাল হলের নাজিয়া, জুলেখা ও নাহিদা আক্তার রুবির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন তিনি। প্রথমে ব্লাড ব্যাংক ও গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে আমার সাংগঠনিক কাজ শুরু হয়। আমার সঙ্গে যুক্ত হয় আইন বিভাগের ফারজানা রহমান, জুওলজির তানজিনা আক্তার ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অ্যানতিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আফসানা আক্তার আঁখি।
পরবর্তিতে এয়ানত নামে টাকা সংগ্রহের দায়িত্ব দেন স্বপ্না আপা। সংগৃহীত টাকার ২০% কমিশন দেয়া হয়। তিনি জানালেন, টাকার প্রয়োজন হলে যেন জানাই। এছাড়া ফেসবুকে পেইজ ও আইডির মাধ্যমে জামাত শিবিরের প্রচারণা ও সরকার বিরোধী অপপ্রচার চালালে প্রতিটি পেইজ বা আইডির জন্য মাসে আট হাজার টাকা দেয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস পারভীন আক্তার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জারিন তাসনিম ও আরবি বিভাগের মরিয়ম জামিয়া তামান্না মাসের সেরা প্রচারকারী হিসেবে ৭০ হাজার টাকা পায়। কিন্তু এ টাকা আনতে হয় জামাত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদের বাসা থেকে। যেদিন টাকা টাকা আনতে গেল সেদিন রাতে তারা আর হলে ফেরেনি।
আমার সন্দেহ দেখে ইতিহাস বিভাগের চাঁদনী মুচকি হেসে ট্রেনিং ম্যাটেরিয়ালের শিট দিলো যেখানে আবু আলা মওদুদীর উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা রয়েছে যে, মুতআ বিবাহ হালাল, সুন্নিরা হারাম বলে তা সঠিক নয়। আরও লেখা রয়েছে, দাসী ভোগ করা হালাল। আইন বিভাগের নাজমা খাতুন বললেন, ছাত্রী সংস্থা ও জামাতের সকল সদস্য আল্লাহর বান্দা বা বান্দি হলেও জান্নাত লাভের জন্য ইমাম তথা নেতার গোলামি করতে হয়। সেই লেকচার শিট পড়ে বোঝা গেল, জামাত শিবির চাইলেই কাউকে ভোগ করতে পারে, তবে কারও দ্বিধা থাকলে কলেমা পড়ে রাতে মুতআ বিবাহ করা হয় এবং সকালে তালাক দেয়া হয়। বলা হয় এতে কোনো গুনাহ হয় না।
ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম জামাত শিবিরের নেতাদের মনোরঞ্জন করা ও অপপ্রচার চালানোই ছাত্রী সংস্থার মূল কাজ। প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ত্যায়েবা তানজিম ও ফলিত পদার্থ বিভাগের ফাইজুন্নেসা আঁখির সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যক্রমে গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন স্কুলে গার্ডিয়ান সেজে অন্যান্য অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করতে হয়। আলাপে স্বামীকে সরকার বরখাস্ত করেছে, সরকারের পতন হচ্ছে, মুসলমানদের হত্যা করা হবে, আত্মীয়কে গুম করেছে, চাচাতো বোনকে ছাত্রলীগ ধর্ষণ করেছে ইত্যাদি বলতে হয়।
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট খালেদা পারভীন ও ফিন্যান্স বিভাগের ফারিয়া লিজার দায়িত্ব ছিল মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাশার ও শেখ জামাল সহ জামায়াত সমর্থক ওয়াজকারীদের কাছে প্রতি সপ্তাহে ছাত্রী সংস্থার সদস্য পাঠানো। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মুনিরা খাতুন ও ম্যানেজমেন্ট মাসুমার কাজ ছিল শিবিরের কাছে নারী সরবরাহ করা। দৈনিক কার্যক্রম সূচিতে কার কবে মাসিক হয় সেটিরও উল্লেখ থাকে। সেই অনুসারে সদস্যদের পাঠানো হয়। অর্থাৎ পুরোদমে পতিতাবৃত্তি কেন্দ্রিক সংগঠন বললেও ভুল হবে না।
প্রতি মাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্বপ্না আপা বিভিন্ন মহিলা সাহাবীদের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে বলেন, জান্নাত লাভের জন্য ইসলামী হুকুমত কায়েমে কাজ করতে হবে। মূলত এ লেকচার শুনেই সন্দেহ জাগে আমার। কারণ সহি হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, নারীদের জান্নাতে যাওয়া সবচেয়ে সহজ। শুধু নামাজ, রোজা, হজ্ব জাকাত ও স্বামী/পিতা মাতার আদেশ পালন করলেই জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন রাসুল (সা:) এবং কোনো সংগঠন বা সংগ্রাম করার কোনো প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ ছাত্রী সংস্থার মাধ্যমে গুমরাহ করে বরং জাহান্নামি বানানো হচ্ছে।
পরবর্তিতে বুঝতে পারলাম জামায়াতে ইসলামী কোনো ইসলামী মতবাদ নয়, ১৪শ বছর পরে ক্ষমতা দখলের জন্য নতুন মতবাদ উত্থাপন করেছে মওদুদী। আরও বুঝতে পারলাম পৃথিবীর সকল দলই জামাতে ইসলামীকে কাফের ঘোষণা করেছে।
আল্লাহ মুসলিম ভাতৃত্বের কথা বললেও জামাত শিবির জামাতি ভাতৃত্বে বিশ্বাস করে তাই তাদের কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানে জামাত শিবির বা ছাত্রী সংস্থা ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেয়া হয় না, যা কোনোভাবেই ইসলামী নিয়ম নয়। সবচেয়ে অবাক বিষয় হচ্ছে জামাত শিবিরের কোনো নেতা ছাত্রী সংস্থার কাউকে বিয়ে করে না।
ছাত্রী সংস্থায় মগজ ধোলাই করে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও আত্মঘাতী বাহিনী তৈরির কাজও করে। পাশাপাশি জেএমবির নারী সদস্যদের তহবিল গঠনের জন্যও সাহায্য করে থাকে ছাত্রী সংস্থা। এমনকি যাকাত, ফিতরা, দান-খয়রাত ও গরিবদের সাহায্য করার কথা বলে এই ইয়ানত সংগ্রহের দেখভালও করে তারা।
সবকিছু অবলোকন করছিলাম, একদিন মোল্লা নাজিম নামে একজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমাকে বলা হয়। আমি বুঝতে পারলাম আমার ইজ্জত নষ্ট হওয়ার সময় এসেছে। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত যে, ঢাকার কদমতলীতে যে বাসায় আমাকে যেতে বলা হয়, সে বাসায় ১৮ অক্টোবর, ২০১৭ বুধবারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পতিতাবৃত্তি, মাদক ব্যবসা ও জঙ্গাবাদের অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেফতার করে।
আমি সকল বোনদের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা ছাত্রী সংস্থা নামের কুফুরি সংগঠন থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। মাওলানা সামসুল হক ফরিদপুরি যথার্থই বলেছেন, কোনো সতী নারীর সন্তান কখনো জামায়াতে ইসলামী করতে পারে না। হুসেইন আহমেদ মাদানি যথার্থই বলেছেন, মওদুদী হালাল সন্তান নয়। শুনেছি মওদুদী দাজ্জাল অস্বীকার করেছে। প্রকৃতপক্ষে মওদুদী-সাইদি প্রমুখ দাজ্জালদের প্রতিরূপ এবং জামায়াতে ইসলামী দাজ্জালি ফেতনা।
(#সংগৃহীত)
নিউজ ২ :
আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রী সংস্থা ও ছাত্রশিবির নেতা আটক -BDNEWS24
Web results
ইসলামী ছাত্রী সংস্থা নিষিদ্ধের পথে | Jugantor
নিউজ ৪ :
সমকামি বিবাহ: ছাত্রী সংস্থা নেত্রীর চাঞ্চল্যকর তথ্য
মালাবদল করে দুই তরুণী, সানজিদা আর পুজা, ঘরও বেঁধেছেন গোপনে। পিরোজপুরের ছাত্রীসংস্থার যুগ্ম আহবায়ক মোছাম্মৎ সানজিদা (২১) ও শিলার (১৬) দুই বছরের সে প্রেম পরিণয়ে গড়িয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মাঝে জানা গেল সানজিদার চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ইতিমধ্যে পিরোজপুর থেকে পালিয়ে আসা এই দুই সমকামী তরুনীকে মঙ্গলবার ঢাকার মোহম্মদপুরের একটি বাসা থেকে পিরোজপুর পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করে পিরোজপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে র্যাব-২। এর নেপথ্যে প্রতরনার কৌশল রয়েছে কিনা পিরোজপুরে সাংবাদিক ও পুলিশ অনুসন্ধান করছে।
জানা যায় ইসলামী ছাত্রী সংস্থার পিরোজপুর জেলার সাবেক সভানেত্রী ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া আক্তার কয়েক বছর আগে সানজিদা খাতুনকে ছাত্রী সংস্থার সদস্য বানিয়ে তার সাথে সমকামী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা নিজেরা বিবাহ করার পর সানজিদা খাতুন তার নাম রাখে সানজিদা আক্তার। পারিবারিক চাপে তানিয়ার বিয়ে হয়ে গেলে সানজিদা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং ছাত্রী সংস্থার নেতাকর্মীদের মাঝে প্রকৃত প্রেমের সন্ধান করতে থাকে।
তানিয়ার পর সানজিদার সাথে পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান ১ম বর্ষের ছাত্রী সৈয়দা ফৌজিয়া আক্তারের সমকামী প্রেমের সম্পর্ক হয়। সানজিদা একই কলেজের বাংলার ছাত্রী। ছাত্রী সংস্থার এই দুই নেত্রীর সমকামী প্রেম নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছিল। ধারণা করা হয় ফৌজিয়ার সাথেও তার বিয়ে হয় এবং এ কারণে ফৌজিয়া তার নামের শেষে সুলতানার স্থলে আক্তার নাম ব্যবহার করা শুরু করে।
এদিকে অভিযুক্ত সানজিদা আক্তারের নামে ২০ জুলাই শনিবার নারী পাচার ও অপহরণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন অপহৃত শিলার বাবা। গত বছর রমজানে একই অভিযোগে থানা এবং কোর্টে মামলা করেন চাঁদনী নামের এক মেধাবী ছাত্রীর ভাই রেজাউল করিম মাসুদ।
জানা যায় তানিয়া ও ফৌজিয়ার সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার পর সানজিদা চাঁদনী নামের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সংসার করার উদ্দেশ্যে তারা ঘর থেকে পালিয়ে গেলে দেড় লাখ টাকায় সমঝোতার নামে গ্রেপ্তারের ফাঁদ পাতে পুলিশ।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় সানজিদার বাড়ি মঠবাড়িয়া হলেও গত সাত আট বছর যাবত পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকে। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের উচ্চ পদস্থ নেতাদের সাথে তার দহরম মহরম সম্পর্ক। জামাত নেতাদের মনোরঞ্জনের জন্য নারী সরবরাহ করে অর্থ উপার্জন করে।
ছাত্রী সংস্থার মাধ্যমে নারী সংগ্রহ করে পাচার করে কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।
এদিকে গ্রেফতারের পর তারা পুলিশকে জানায়, শুধুমাত্র বন্ধুত্বের কারনেই আমরা ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সানজিদা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সমকামীতার আড়ালে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের বিষয় জড়িত।
তবে তারা উভয়েই দৃঢ় কন্ঠে বলে, প্রেম করা পাপ নয়। একটি ছেলে যদি মেয়েকে ভালবাসতে পারে তাহলে একটি মেয়েও ছেলেকে ভালবাসতে পারে এবং বিয়ে করতে পারে।