আরিফ আজাদ সাহেবের ভ্রান্ত দালিলিক পোস্টের যথার্থতা নিরূপনঃ______________________________
আরিফ আজাদ সাহেব— ‘নবীজীবনের গল্প’ বইয়ে হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্রলিখন সম্বলিত একটি মনগড়া ভুল লাইনের ডিফেন্স করতে গিয়ে এমন একটি পোস্ট করেন যেখানে তিনি আরো ভুল তথ্য দিয়ে নিজের কথাকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন।আমি আমার স্বল্পজ্ঞান দ্বারা উনার এ ধরণের লেখনীর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আরিফ আজাদের লেখাগুলো হুবহু « » এর ভেতর দিয়ে সত্যতা উদঘাটনের জন্য চেষ্টিত হলাম।
১.
তিনি দলিল দেন এভাবে—
«বিখ্যাত তাফসিরকারক ইমাম ইবন কাসীর তার বিখ্যাত তাফসিরগ্রন্থ ‘তাফসির ইবন কাসীর’- এ এই আয়াতের অর্থ করেছেন এভাবে, ‘সেসমস্ত লোক, যারা অনুসরণ করে এমন এক নবির যিনি পড়তে আর লিখতে জানেন না, যারা তার সম্পর্কে তাওরাত ও ইঞ্জিলে আভাস পায়…’ [১]
[১]. ইবনে কাসীর, সুরা আল আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াত দ্রষ্টব্য»
➤এখন আমি তুলে ধরছি সত্য কি!
ইমাম ইবনে কাসীর এ আয়াতের ব্যাখ্যাতেই বলেন,
وهـذه صفة محمد ﷺ في كتب الأنبياء بشروا أممهم ببعثه وأمروهم بمتابعته، ولم تزل صفاته موجودة في كتبهم يعرفها علماؤهم وأحبارهم
— অর্থাৎ মুহাম্মদ (ﷺ)-এর এটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য যে, অন্যান্য নবীদের গ্রন্থেও তাঁর পরিচয় ও গুণাবলী বিদ্যমান রয়েছে যেন উনারা উনাদের উম্মতের লোকজনকে তাঁর ﷺ সুসংবাদ প্রদান করে এবং তাঁর আগমনের পর তাঁকে অনুসরণ করে। যেহেতু তাদের আসমানী কিতাবসমূহে সর্বদা বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান ছিল তাই তাদের উলামা ও মাশায়েখরা তাঁর(ﷺ) সম্যক পরিচয় সম্পর্কে সুপরিজ্ঞাত ছিলেন
এরপর উনি পর্যায়ক্রমে
➤মুসনাদু আহমদের ২৩৪৯১নং জাইয়্যেদ সনদের হাদীস
➤বায়হাক্বীর দালায়েলুন নবুয়তের ১/৩৮৫-৩৯০ বিশাল এক হাদীস
➤জারির ত্বাবারীর একটি হাদীস
➤বুখারীর ২১২৫নং হাদীস
➤মু’জামুল কাবীরের ১৫৩৭ নং হাদীস
➤আবু দাউদের ৪৬৫৬নং হাদীস
➤মুসনাদু আহমদের ১৬০৫৭ ও ৯৭৫ নং হাদীস
— সহ আরো কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেন যা ”উম্মী” শব্দের ব্যাখ্যার আশেপাশেও যায়না বরং নবীজীর সিফাত বুঝায়।
আর উনি ১৫৭ন্তে শেষ করলেও, আমরা একটু অগ্রসর হয়ে ১৫৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় শেষের দিকে গিয়ে ”উম্মী” সম্পর্কে পেলাম একটি লাইন,যা কেবল বলা হচ্ছে এভাবে
«النّبي الأمي» أي: الذي وعدتم به وبشرتم به في الكتب المتقدمة فإنه منعوت بذلك في كتبهم، ولهذا قال «النّبي الأمي» .
— {উম্মী নবী} (দ্বারা বুঝানো হয়েছে,হে আহলে কিতাব) যেই উম্মী নবীর প্রতিশ্রুতি ও সুসংবাদ তোমাদেরকে পূর্ববর্তী আসমানী গ্রন্থসমূহের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছিল ইনিই সেই নবী। উক্ত গ্রন্থসমূহে তাঁর এই পরিচয়ই প্রদান(মানে নবীয়্যে উম্মি) করা হয়েছে ৷
[সূত্রঃ তফসিরে ইবনে কাসীর,দারু ইবনে জওযী।]
অতএব প্রমাণিত হলো,আরিফ আজাদের বলা —
«ইমাম ইবনে কাসীর, যিনি সারা দুনিয়ায় কুরআনের তাফসীরের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন, তিনি সুরা আল-আরাফের ওই ‘উম্মী’ শব্দের অর্থ করেছেন ‘যিনি পড়তে আর লিখতে জানেন না’।»
— একটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।
এরপর উনি বলেন,
২.
«ইমাম বাগাউয়ী তার বিখ্যাত তাফসির ‘তাফসির আল-বাগাউয়ী’-তে সুরা আল-আরাফের এই আয়াতের অর্থ করতে গিয়ে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটা হাদিস বর্ণনা করেছেন যেখানে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু স্পষ্ট করেছেন এই বলে যে,
‘তোমাদের নবি ছিলেন উম্মী— তিনি পড়তে, লিখতে আর গুনতে জানতেন না’। [২]
[২]. তাফসির আল-বাগাউয়ী, সুরা আল আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতের তাফসির দ্রষ্টব্য»
➤সত্যিকারে উল্লেখ আছে—
قال ابن عباس رضي الله عنهما هو نبيكم كان أمياً لا يكتب ولا يقرأ ولا يحسب.
— (এর অর্থ হবে) ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,তিনি হলেন উম্মী নবী।যিনি
{তিনি (لا)/না, (يكتب)লিখেন}=লিখেন না
{তিনি (ولا)/না,(يقرأ)পড়েন}=পড়েন না
{তিনি (لا)/না, (يحسب)পাঠ করেন}=হিসাব/গনণা করেন না
— এই হলো বাস্তব অর্থ।
তিনি লিখতে জানতেন না এর আরবী তো ভাই,
[لا يستطيع الكتابة]
বা,তিনি পড়তে জানতেন না এর আরবী
[لا يستطيع القراءة]
আমি জানিনা,আজাদ সাহেব মাঝে ‘ইয়াস্তাত্বিউ’ বা Ability to do something কোত্থেকে নিয়ে আসলেন।
আফসোস কিতাবের ইবারত কারচুপীকারকদের জন্য।কেননা পরের লাইন তুললেই সব পরিষ্কার হয়ে যেতো।ইমাম মুহিউসুন্নাহ বাগাবী বলেন—
وهو منسوب إلى الأم، أي هو على ما ولدته أمه . وقيل هو منسوب إلى أمته، أصله أمتي فسقطت التاء في النسبة كما سقطت في المكي والمدني وقيل : هو منسوب إلى أم القرى وهي مكة.
— (উম্মী এর অর্থ) মাতৃসম্পর্কের দিকেও হতে পারে,যেমন কেউ জম্ম গ্রহণ করার পর যে অবস্থায় থাকে (একেবারে মাসুম)।বলা যায়,এটা উম্মতের দিক থেকেও (‘উম্মী’) নির্দেশ করে,যেরকম মক্কা-মদীনার সাথে সম্বন্ধ মাক্কী-মাদানী বুঝায়।আবার এটা দ্বারা উম্মুল ক্বোরা বা মক্কা শরীফও বুঝায়।
[তফসিরে মা’আলিমুত্তানযীল বা বাগাভী]
এরপর অনর্গলভাবে বললেন
৩.
«একই হাদিস টেনে আয়াতটার অর্থ করেছেন আরেক বিখ্যাত তাফসিরকারক ইমাম কুরতুবি তার বিখ্যাত তাফসিরগ্রন্থ ‘তাফসির আল-কুরতুবি’-তে»
➤আমরা এর জবাব দিয়েছি।কিন্তু অন্যত্র ইমাম ক্বুরতুবী কি বললেন সেটা লেখক আর উল্লেখ করলেন না।ইমাম বলেন,
فكان ذلك خارقاً للعادة كما أنه عليه الصلوة والسلام علم علم الأولين والآخرين من غير تعلم ولا إكتساب فكان ذلك أبلغ في معجزاته
— (বুখারী ২৮৯৯ নং হাদীসে নবীজি লিখলেন এই ব্যাপারে উনি বলেন) কেননা,যেভাবে তিনি (আল্লাহ ব্যতীত) কারো কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করেই আদি-অন্তের সমস্ত বিদ্যা লাভ করেছিলেন, তেমনিভাবে শিক্ষাগ্রহণ ছাড়াই লিখতেও সক্ষম ছিলেন।এটা উনার অন্যতম মোজেযা।
[তফসিরে ক্বুরতুবী,১৬/৩৭৪,মওসুসাতুর রিসালা]
৪.
«গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ তাফসিরকারক,….. ’। [৪]
[৪]. তাফসির আস-সাদী, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্টা ৩০৯»
ও সালাফি, তাই কোনো কারণ ছাড়া আমি ওর তাফসির নিবো না বা মানবো না!তাই খতিয়ে দেখার ও প্রয়োজন মনে করছিনা।
লেখক অগ্রসর হলেন—
৫.
«(আনকাবুত ৪৮) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবন কাসীর রাহিমাহুল্লাহ তার ‘তাফসির ইবন কাসীর’-এ বলেন—
‘আয়াতটার অর্থ হলো এই যে— এই কুরআন অবতীর্ণের আগে লম্বা সময় ধরে আপনি তাদের মাঝে বাস করছেন। এই সুদীর্ঘ সময়ে আপনি না কোনোদিন কোন বই পড়েছেন না কোনোদিন কোনোকিছু লিখেছেন। আপনার কওম ভালোমতোই জানে যে, আপনি একজন নিরক্ষর মানুষ যে পড়তে আর লিখতে জানে না। [৫]
[৫]. তাফসির ইবনে কাসীর, পঞ্চদশ খণ্ড, পৃষ্টা ৫৯৬»
➤আর ইমাম ইবনে কাসীর উল্লেখ করেন,
ثم قال تعالى: «وما كنت تتلوا من قبله، من كتب ولا تحظه بيمينك) أي: قد لبثت في قومك يا محمد من قبل أن تأتي بهذا القرآن عمراً لا تقرأ كتاباً ولا تحسن الكتابة بل كل أحد وغيرهم يعرف أنك رجل أمي لا تقرأ ولا تكتب، وهكذا صفته في الكتب المتقدمة،
—(৪৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যা হল) “অর্থাৎ হে মুহাম্মদ ﷺ ! আপনার কওম ভালোভাবেই জানে যে,এই কুরান নাযিল হবার পূর্বে আপনি কখনো
★কোনো কিতাব পড়তেন না= লা বা ‘না’ (لا)+তাক্বরাআল বা ‘পড়তেন’ (تقرأ)+কিতাবা(كتاباً)
★এবং ভালোভাবে/সর্বদাই লিখতেন না = লা+ তাহসানা(تحسن) বা,ভালোভাবে/সর্বদাই + লিখতেন/ কাতাবাহ।
বরঙ তারা প্রত্যেকে জানে যে,আপনি হলেন উম্মি (এই জায়গাটায় সে আবারো নিরক্ষর লিখেছে),
আপনি লিখেন না (ولا تكتب) এবং পড়েন না(لا تقرأ)
এবং এভাবেই আমি পূর্বের কিতাব সমূহে (আপনার কথা) আলোচনা করেছি।”
এবং,আল্লামা ইবনে কাসীর হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্র লেখার ব্যাপারে বলেন
أنه كتب ذلك على وجه المعجزة لا أنه كان يحسن الكتابة
—এটা ছিলো নবীপাকে মোজেযা,যা সর্বদা লিখতেন এমনটা প্রকাশ করেনা।
অর্থাৎ,ইবনে কাসীর র. নবীজী ‘লিখতেন’ কে মোজেযার অন্তর্গত করেছেন।
[তাফসিরে ইবনে কাছীর,৬/৬৮,দারু ইবনে জাওযী]
আর এ ব্যাপারে মন্তব্য করবো,এধরণের খেয়ানতিপূর্ণ অনুবাদ দ্বারা তরূণ সমাজকে বিভ্রান্ত করার কোনো মানে নেই।
৬.
বড়ো আশ্চর্য হয়েছিলাম এই রেফারেন্স ক্রস চেক করতে গিয়ে।লেখক বাংলা অনুবাদের উপরেই যে কেবল নির্ভরশীল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। উনি বলেন,
«সুরা ‘আল-আনকাবুত’-এর এই আয়াতের ব্যাখ্যায় উপমহাদেশের বিখ্যাত আলিম, শাইখ আল্লামা তাকী উসমানি হাফিজাহুল্লাহ তার বিখ্যাত তাফসিরগ্রন্থ ‘তাফসির তাওযীহুল কুরআন’-এ বলেন—
‘আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘উম্মী’ বানিয়েছেন।….. [৬]
[৬]. তাফসির তাওযীহুল কুরআন, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্টা ৬০২»
খেয়ানত দেখুন আরিফ আজাদের,যিনি সর্বস্ব চেষ্টা করেছেন নবীজী পড়ালেখা জানতেন না এটা প্রমাণ করতে। শায়খুল ইসলাম মুফতি ত্বকী উসমানি লিখেন (স্ক্রীনশটে আছে),
“হুযুর নবী কারীম ﷺ কো আল্লাহ নে উম্মী বানায়া, আঁপ লিখতে পাড়তে নেহি হ্যায়”। (সুবহানাল্লাহ)
—অর্থাৎ,আল্লাহ নবীজীকে উম্মী বানিয়েছেন। উনি লিখতেন পড়তেন না।
‘আঁপ লিখ নেহি সাক্তে(লিখতে জানেন না),পাড় নেহি সাক্তে(পড়তে জানেন না),হুজুর কো লিখনা নেহী আতা(লেখনী উনার হাত দিয়ে আসেনা” কথাগুলো একটাও উল্লেখ নেই।
৭.
আমি আজব হচ্ছিলাম, এরকম সিরিয়াল ফল্টের ভান্ডার দেখে।লেখক বলেন
«বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসায় বহুল পঠিত তাফসির হলো তাফসিরে জালালাইন। সেই বিখ্যাত তাফসিরের তাফসিরকারক সুরা আল-আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতের ‘উম্মী’ শব্দের ব্যাখ্যায় বলেন»
উনি এখানে যে ‘জালালাইন’ এর কথা বলেছেন তা হল ‘বাংলা জালালাইন’ এবং তার সংকলক মওলানা আহমদ মায়মূন,যিনি কওমী অঙ্গনের আলেম।তাই এই কিতাব কওমীদের।আলিয়া মাদ্রাসায় যেটা পড়ানো হয় তার কথায় কি আছে তা আমি লিখছি।
➤জালালাইনের লেখক মূল কিতাবে কেবল ”উম্মী” শব্দের পাশে এর অর্থ বা তাফসীরে ‘মুহাম্মাদ ﷺ’ ই লিখেছেন।আর এর হাশিয়া বা টীকা-টীপ্পনি তে দেখা যায়,
الأمي: نسبة إلى الأم كأنه باق على حالته التي ولد عليها، والمراد به الذي لا يقرأ الخط ولا يكتب، وهذا الوصف من خصوصياته ﷺ إذ كثير من الأنبياء كان يكتب ويقرأ. (تفسير الكرخي)
—তফসীরে কারখীর সূত্রে উল্লেখ আছে,’উম্মী’ শব্দটি নিসবত ‘উম্ম’ বা ‘মা’ বা মূলের দিকে। অর্থাৎ,একটি নবজাতক শিশু যে অবস্থায় থাকে সর্বদা অই অবস্থায় থাকা(মাসুম থাকা)।যার মুরাদ বা অর্থ হলো যে কোনো কিছুই পড়েনা বা কোনো কিছুই লিখেনা।এবং এটা নবীজীর একটা বিশেষ সিফাত।অন্যদিকে অধিকাংশ নবীরাই লিখতেন এবং পড়তেন।
এতসব এক্সপোজের পর আর হাদীসের দিকে গেলাম না।কেননা,তিনি যেখানে ‘হাতে না লেখা প্রমাণ করতে চেয়েছেন’,তা ইমাম ক্বুরতুবী ইমাম ইবনে কাসীর দ্বারা মোযেজা বলে গণ্য হয়েছে।ইমাম বদরুদ্দীন আইনী ‘উমদাতুল কারী’তে,ইমাম আলূসী ‘রুহুল মাআনী’ তে স্পষ্ট বলেছেন নবীজি লিখার ক্ষমতা রাখতেন,কিন্ত সাধারণভাবে তারজন্য অনুমতিপ্রাপ্ত নন।
৮.
«আবার, ইমাম আয-যাহাবী তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সিয়ারু ‘আলামীন নুবালা’-তে বলেছেন,
‘যদি ওইদিন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতে নিজের নাম লিখেছেন ধরেও নিই, তাতেও প্রমাণ হয় না যে তিনি লিখতে আর পড়তে জানতেন। কারণ, পৃথিবীর বহু মানুষ এমন আছে যে যারা পড়তে আর লিখতে জানে না, কিন্তু নিজের নামটা কেবল লিখতে পারে’।»
এটা সিয়ারু আলামিন নুবালার বর্ণনা নয়। বরঙ এটা আবুল আলা মৌদুদী ধৃষ্টতার একটা স্বরূপ। এটা উল্লেখ আছে,তাফহিমুল কুরআন,৩য় খন্ড ৭১৩,৭১৪ পৃষ্ঠায়,এদারায়ে তরজুমানুল কুরআন,লাহোর হতে প্রকাশিত।
সর্বোপরি একজন দেশবরেণ্য লেখকের কাছ থেকে।এধরণের পোস্ট কাম্য নয়।ভুল কে শুধরাতে পারাটাও একটা বড় গুণ।আমার অনুরোধ থাকবে,সম্পূর্ণ না পড়ে,উপাত্ত বিশ্লেষণপূর্বক কোনো কটু মন্তব্য করবেন না।ওয়াসসালাম