সায়্যিদী আলা হযরত আলাইহির রাহমা ছোটবেলা থেকেই খুব তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন ছিলেন। তাছাড়াও তাঁর মধ্যে আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ কিছুও লক্ষ্য করেছেন তাঁর অভিভাবকগণ।
এক জনৈক মাওলানা সাহেব আলা হযরত আলাইহির রাহমাকে ছোটবেলায় কোরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য আসতেন। কোনো একদিন মাওলানা সাহেব কুরআনুল কারীমের কোনো এক আয়াতের কোনো একটি শব্দ বারবার বলার পরও তাঁর মুখ থেকে বের করতে পারলেন না। বরং তার বিপরীতই উচ্চারণ করলেন আলা হযরত।
মাওলানা সাহেব শব্দটিতে ‘যবর’ উচ্চারণ করলেন কিন্তু আলা হযরত উচ্চারণ করলেন ‘যের’। এ অবস্থা দেখে তাঁর পিতামহ মাওলানা রযা আলী খান রাহিমাহুল্লাহ তাকে কুরআন শরীফ নিয়ে আসার জন্য বললেন। তিনি তখন কুরআন খুলে দেখলেন কোনো এক লিখক এই শব্দে ভুলে যেরের স্থানে যবর লিখে দিয়েছে। মূলত আলা হযরত এর উচ্চারণ সঠিক ছিল।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কেন তোমার ওস্তাদ এর মতো উচ্চারণ করলে না? আলা হযরত আলাইহির রাহমা বললেন, ‘আমি বলার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছিলাম না।’
আল্লাহু আকবার। এর মানে তাঁর ওপর অন্য কারো নিয়ন্ত্রণ ছিল। এটাও আলা হযরত এর একটি কারামত ছিল নিঃসন্দেহে। আল্লাহ যুগে যুগে তাঁর কিছু প্রিয় বান্দাদের মাধ্যমে দ্বীনের আলো কে পুনরায় প্রজ্জ্বলিত করেন। হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ’কে পুনরুজ্জীবিত করেন। নিঃসন্দেহে আমাদের ইমাম আলা হযরতও তাদের মধ্যেই একজন ছিলেন।
‘একজন ইমামের গল্প- ০২’