একজন আলিমকে সম্মান করার কারণ হলো- তিনি নবী (ﷺ)’র উত্তরাধিকারী। আর প্রকৃত উত্তরাধিকারী তিনিই, যিনি হক্বের উপর অটল থাকেন। কিন্তু যখন কেউ গোমরাহ (পথভ্রষ্ট) হয়ে যায়, তখন কি সে আর নবীর উত্তরাধিকারী থাকে? নাকি সে শয়তানের উত্তরাধিকারী হয়ে পড়ে? পূর্বে তাকে সম্মান করার মানে ছিলো নবীকে সম্মান করা আর এখন তাকে সম্মান করার অর্থ শয়তানকে সম্মান করা। এ বিধান হলো বিদআতী আলিমদের জন্য, যারা এখনো কুফরের সীমায় পৌঁছায় নি। তাহলে যারা প্রকাশ্যে কুফরী করে তাদের জন্য কী বিধান হবে? তাদেরকে আলিম’এ দ্বীন মনে করাও কুফর আর সম্মান করার তো প্রশ্নই আসে না। ইল্ম্ তখনই ফলদায়ক হয়, যখন ঈমান ও তাক্বওয়া এর সাথে থাকে। তা যদি না হয়, তবে হিন্দু পন্ডিত, খ্রীষ্টান পাদ্রিরাও কি বিদ্বান নয়? ইবলিসও অনেক বড় বিদ্বান ছিলো; তাই বলে কি মুসলমানেরা তাকে সম্মান করবে? সে মুআল্লিমুল মালাকুত অর্থাৎ ফিরিশতাদের প্রশিক্ষক ছিল। কিন্তু যখন থেকে সে রাসুলুল্লাহ্ ’র প্রতি সম্মান প্রদর্শন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো, হযরত সায়্যিদুনা আদম عليه السلام এর
মুবারক ললাটে রক্ষিত রাসুল (ﷺ)’র নূরকে সিজদাহ করলো না, তখন থেকে সে তার গলায় চিরস্থায়ী লা’নাতের শেকল পরে নিলো। তখন থেকে সঠিক পথপ্রাপ্তগণ, যারা তার শিষ্যরা ছিল, তাকে লানত দিয়ে যাচ্ছে। প্রতি রমযানে পুরো মাসের জন্য তাকে আগুনের শেকল পরানো হয় এবং কিয়ামত দিবসে ফিরিশতারা তাকে টেনে হিচড়ে দোযখে নিক্ষেপ করবে। প্রমাণিত হলো যে, রাসুল (ﷺ)’র শানে অবমাননা করলে আলিম এবং উস্তাদের সম্মানও রহিত হবে।
ভাইয়েরা আমার! তাদের জন্য আফসোস, যারা আল্লাহ্ ও রাসুল (ﷺ)’র চাইতে নিজের উস্তাদকে বেশি গুরুত্ব দেয় এবং আল্লাহ্ ও রাসুল এর চাইতে ভাই, বন্ধু অথবা দুনিয়ার কাউকে বেশি ভালোবাসে! হে আল্লাহ্! আমাদেরকে আপনার হাবীব (ﷺ)’র ওয়াসিলায় সঠিক ঈমান দান করুন। আমীন ।