ইস্তেগফার অর্থ হলো ‘ক্ষমা প্রার্থনা করা’। কোনো ভুল করে ফেললে তার জন্য আমরা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার নিকট ক্ষমা চেয়ে থাকি।
ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমরা সবাই বিশেষ করে أَسْتَغْفِرُالله ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ পড়ি। যা সবার নিকট সহজ ও সহজে উচ্চারিত।
আরবি: أَسْتَغْفِرُالله
উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লা-হ।
অর্থ: আমি আল্লাহ্’র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতে সালাম ফিরানোর পর রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এই দোয়া ৩বার পড়তেন। (মিশকাত- ৯৬১)
আরবি: – أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।
অর্থ: আমি আল্লাহ্’র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি।
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তওবা ও ইস্তেগফার করতেন। (সহীহ্ বুখারী- ৬৩০৭)
আরবি:
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ: আসতাগ্ ফিরুল্লাহাল্লাযী লা~ ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতুবূ ইলাইহি।
অর্থ: আমি আল্লাহ্’র কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মাবূদ নাই, তিনি চিরঞ্জিব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তওবা করি।
এই দোয়া পড়লে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দিবেন, যদিও সে যুদ্ধ ক্ষেত্র হতে পলায়নকারী হয়। (আবু দাউদ- ১৫১৭, তিরমিযী— ৩৫৭৭, )
আরবি:
رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ: রব্বিগফিরলী ওয়াতুব ‘আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহিম।
অর্থাৎ ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা গ্রহণ করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা গ্রহণকারী, অতি দয়ালু।’ (আবু দাউদ : ১৫১৬)
সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া
❝ সায়্যিদুল ইস্তিগফার ❞ এর ফযীলতঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❐ হযরত সায়্যিদুনা শাদ্দাদ বিন আউস رَضِىَ اللٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত; প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী, হুযুর পূরনূর ﷺ ইরশাদ করেছেনঃ ”
🌷”যে ব্যক্তি এটাকে ঈমান ও বিশ্বাস সহকারে দিনের বেলা পাঠ করলো, অতঃপর সেই দিনের সন্ধ্যার পূর্বে তার যদি ইন্তেকাল হয়ে যায়, তবে সে জান্নাতি। আর যে ব্যক্তি এটাকে রাতের বেলা ঈমান ও বিশ্বাস সহকারে পাঠ করলো, অতঃপর সকাল হওয়ার পূর্বে তার যদি ইন্তেকাল হয়ে যায়, তবে সে জান্নাতি।”🌷
📚 (তথ্যসূত্রঃ সহীহ বুখারী,চতুর্থ খন্ড,পৃষ্ঠা নং-১৯০,হাদিস নং-৬৩০৬)
এটি সায়্যিদুল ইস্তিগফারঃ
اَللٰهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لاَ اِلٰهَ اِلاَّ اَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَاَنَا عَبْدُكَ وَاَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ اَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَاَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ فَاِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلاَّ اَنْتَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।’
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যানুযায়ী তোমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছি তা পূরণ করার চেষ্টায় রত আছি, আমি আমার কর্মের অনিষ্ট থেকে পানাহ্ চাই, আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি তোমার প্রদত্ত নিয়ামতের কথা এবং আমি আরো স্বীকার করছি আমার পাপে আমি অপরাধী, অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নাই।