পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।
গায়েবানা জানাযা“ হুযুর পাক(ছ. ও সা. বেশুমার) একবার মাত্র করেছিলেন। এ কর্ম (আ’মল) মহান আল্লাহ্ পাক হুযুর পাক (ছ. ও সা. বেশুমার)’কে প্রদত্ত ইখতিয়ারের অনন্য বৈশিষ্ঠের নিদর্শণ।
- অমুসলিম দেশে জানাযা ছাড়াই দাফন হওয়ার কারণে হুযুর পাক (ছ. ও সা. বেশুমার), বাদশাহ নাজাশী (তাঁর প্রতি সালাম)’র অনূপস্থিত (গায়েবানা) জানাযা পড়েছিলেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৫২) (আল-জাওহারুন নাক্বী শরহ সুনানুল বায়হাক্বী ৪/৫১)।
- বাদশাহ্ নাজাশী (তাঁর প্রতি সালাম)’র দূরবর্তী স্থানে থাকা অবস্থায় পৃথিবীর তৎকালীন মানুষ জানতে না পারলেও তাঁর মুছলিম হওয়ার জ্ঞান এবং মরে যাওয়ার পর জানাযা ছাড়া কবরস্থ হওয়ার জ্ঞান, মহান আল্লাহ্ পাক প্রদত্ত তাঁর (ছ. ও সা. বেশুমার) মুজিযা বা অদৃশ্য (গয়িব) জ্ঞান (ইলম)। সুতরাং, জানাযা হয়েছে এরূপ ব্যক্তির গায়েবানা জানাযা পড়া জায়েয নয় (বিস্তারিত দ্র. ছালাতুর রাসূল, পৃঃ ১৫১-১৫২)।
- ইবনু ওমর (তাঁর প্রতি সালাম) তাঁর ভাই আছেম(তাঁর প্রতি সালাম) এর জানাযা তিনদিন পরে কবরকে সামনে রেখে পড়েছেন (বায়হাক্বী ৪/৪৯ পৃঃ)
- ছাহাবি হাযরাত ইমরান বিন হুছাইন (সকলের প্রতি ছালাম) বলেন, “[বাদশাহ্ নাজাশী(তাঁর প্রতি ছালাম)’র যানাজা কালে এটাই অনূধাবন করছিলাম যে, তাঁর মুবারাক দেহ আমাদের সামনে মওজুদ (রাখা) রয়েছে।“ মাছনাদে আহমাদ:২০০০৫।
- ছাহাবি হাযরাত ইমরান বিন হুছাইন (সকলের প্রতি ছালাম) বলেন, “সম্মানিত ছাহাবি (সকলের প্রতি ছালাম)’গণের বিশ্বাস এটাই ছিল যে, বাদশাহ্ নাজাশী(তাঁর প্রতি ছালাম)’র মুবারাক দেহ হুযুর পাক (ছ. ও ছালাম বেশুমার)’র সামনে মওজুদ (রাখা) রয়েছে।“ ছহীহ ইবনে হিব্বান:৩১০২।
- হাযরাত আবান (তাঁর প্রতি ছালাম)’র সূত্রে ছাহাবি হাযরাত ইমরান বিন হুছাইন (সকলের প্রতি ছালাম) থেকে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বর্ণিত হয়েছে, “যখন হুযুর পাক (ছ. ও ছালাম বেশুমার)’র পেছনে যানাজা পড়ছিলাম তখন বাদশাহ্ নাজাশী(তাঁর প্রতি ছালাম)’র মুবারাক দেহ আমাদের সামনে হাযির (উপস্থিত) দেখতে পাচ্ছিলাম“।
★ উমদাতুল ক্বরি শারহুল বুখারি: ৭/৩৩; মাকতাবাতুল তাওফিকিয়া, মিশর;
★ আল ফাতহুল বারি: ৩/২৪; দারুল ক্বুতুবুল ইলমিয়্যাহ্।
এরুপ অনূধাবন হুযুর পাক (ছ. ও ছালাম বেশুমার)’কে আল্লাহ্ পাক প্রদত্ত তাঁর (ছ. ও ছালাম বেশুমার) সম্মানিত ছাহাবি (সকলের প্রতি ছালাম)’গণের প্রতি মুযিজা (আল্লাহ্ পাক পদত্ত গয়িবি ক্ষমতা)।
হুযুর পাক (ছ. ও ছালাম বেশুমার), চার খলিফা (সকলের প্রতি ছালাম) সহ সকল সম্মানীত ছাহাবি (সকলের প্রতি ছালাম), তাবিয়িন (সকলের প্রতি ছালাম) কোন দিন কারো অনূপস্থিত (গয়িব) যানাজা করেন নিঃ
- আল্লামা ইবনুল কায়্যিম বলেন, “মুছলমানদের এমন অনেক ব্যাক্তি মৃত্যুর স্বাদ নিয়েছেন যাঁরা হুযুর পাক (ছ. ও ছা. বেশুমার) থেকে দূরে (জাহিরিতে গয়িব) ছিলেন; কিন্তু তিনি কারো অনূপস্থিত (গয়িবানা) যানাজা করেন নি।“ যাদুল মা’আদ:১/৫১৯।