তোমরা ১৮ বছরের নিচে বিবাহকে খারাপ ভাবে দেখো! আমরাও ১৮ বছরের নিচে প্রেম করাকে খারাপ ভাবে দেখি। তোমরা ১৮ বছরের নিচে প্রেমকে অনুমতি দাও! আমরাও ১৮ বছরের নিচে বিবাহকে অনুমতি দেই। পশ্চিমা সাংস্কৃতি ও কথিত নারীবাদীরা শুধুমাত্র অশ্লীলতাকে সমর্থন করে। ইসলাম থেকে সৌন্দর্যে ভরপুর জীবন ব্যবস্থা ছাড়া আমি অন্য কোথাও দেখি না।
ইসলামে বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন এবং এটি শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক পরিপক্কতার ভিত্তিতে হয়। ইসলামে বয়সের চেয়ে পরিপক্কতা এবং দায়িত্ববোধকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। নবী করিম হজরত মুহাম্মদ ﷺ’র সময়ে বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট ছিল না, বরং ব্যক্তির পরিপক্কতা এবং সামর্থ্য বিবেচনা করা হতো। আধুনিক সমাজে ১৮ বছরকে একটি মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়। তবে দিন যত আগাচ্ছে ছেলে মেয়ে তত তারাতাড়ি পরিপক্ক হচ্ছে যদিও আর্থিক ভাবে না। এটা সমাজ ব্যবস্থার ভুল ও বিভিন্ন কর্মকে ছোট করার কারনেই হয়েছে। মানুষ ভাবে শুধু অফিসে বসে কম্পিউটার চাপলেই ছেলে সাবলম্বি। মেয়ের বাবাদের উচিত এসব চিন্তা মাথা থেকে দুর করা।
ইসলামে প্রেম এবং বিবাহের মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। প্রেম বা ভালোবাসা যদি বিবাহের দিকে পরিচালিত হয় এবং তা শরীয়াহর সীমার মধ্যে থাকে, তবে তা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু ইসলামে অবৈধ সম্পর্ক (যেমন ব্যভিচার) কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই ১৮ বছরের নিচে প্রেম করা যদি শরীয়াহর সীমা লঙ্ঘন না করে এবং বিবাহের দিকে পরিচালিত হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে। কিন্তু যদি তা নৈতিকতা এবং শরীয়াহর সীমা লঙ্ঘন করে, তবে তা অবশ্যই নিন্দনীয়।
★পশ্চিমা সংস্কৃতি এবং ইসলামিক জীবনব্যবস্থা
পশ্চিমা সংস্কৃতিতে কথিত ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত পছন্দকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, যা নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক। ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত পছন্দ এগুলা মুলত অশ্লিলতা ও বেহায়াপনাকে গ্রাহ্য করা হয় বেশি। পশ্চিমা সমাজে প্রেম এবং যৌনতা সম্পর্কে যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যা মানুষের মূল্যবোধের সাথে মেলে না। প্রাচীন যুগের মত নগ্নতাকে তারা গ্রহণ করেছে। প্রাচীন সভ্যতা গুলায় পরিবার বলতে কিছু ছিল না। যে যার সাথে অনৈতিকতার গ্রহণ করত। আলহামদুলিল্লাহ ইসলাম ধর্মে শালীনতা, নৈতিকতা এবং পারিবারিক মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা অন্য ধর্মে নেই।
ইসলামিক জীবনব্যবস্থা একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং সুন্দর জীবনযাপনের পথ প্রদর্শন করে। এটি শুধু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক জীবনের সকল দিককে অন্তর্ভুক্ত করে। ইসলামে নারীর মর্যাদা এবং অধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা পশ্চিমা নারীবাদের চেয়ে বেশি ভারসাম্যপূর্ণ এবং ন্যায়সংগত।




Users Today : 361
Users Yesterday : 759
This Month : 5395
This Year : 177266
Total Users : 293129
Views Today : 6472
Total views : 3461583