সাহাবীদের যুগে কি জন্মদিন পালন করা হতো ?
আসুন ইমাম বুখারী (রহ.) কর্তৃক সংকলিত হাদিস থেকে দেখি সাহাবীদের যুগে কি জন্মদিন পালন করা হতো কিনা? কিংবা জন্মদিন উপলক্ষে কোন খাবার-দাবার বা ভোজের আয়োজন করা হতো কিনা? মূলত শরীয়তের বৈধ পন্থায় জন্মদিন পালন জায়েজ কিন্তু তা ইহূদী-নাসারাদের (মত) সাদৃশ্য হলে নাজায়েজ।
—————-
- আল-হাদিসঃ
হযরত বিলাল ইবনে কা’ব মাক্কী (রা.) বর্ণনা করেন,
আমরা ইয়াহইয়া ইবনে হাসানের সাথে তাঁর গ্ৰামে গিয়ে সাক্ষাৎ করি। এই দলে আমি ছিলাম আর ছিলেন ইব্রাহিম ইবনে আদহাম (রা.), আব্দুল আজিজ ইবনে কুদায়েদ ও মূসা ইবনে ইয়াসার।
তিনি আমাদের জন্য খাবার নিয়ে আসলেন। কিন্তু মূসা হাত গুটিয়ে রাখলেন। তিনি রোজা রেখেছিলেন।
ইয়াহইয়া (রা.) বললেন,
এই মসজিদে বনী কিনানা বংশীয় এক ব্যক্তি যিনি রাসূল ﷺ’র সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত আমাদের ইমামতি করেছেন। তাঁকে আবু কুরসাফা নামে অভিহিত করা হতো। তিনি পালাক্রমে একদিন রোজা রাখতেন (নফল) এবং একদিন রাখতেন না।
একদিন আমার পিতার একটি শিশু সন্তানের জন্ম হলো। তিনি তাঁকে (ঐ সাহাবীকে) এমন একদিনে দাওয়াত করলেন যেদিন তিনি রোজা রেখেছিলেন। তিনি (এই দাওয়াত উপলক্ষে) রোজা ভঙ্গ করেছিলেন।
অতঃপর ইব্রাহিম (রা.) দাঁড়ালেন এবং আপন পরিধেয় কাপড় দ্বারা তাঁর স্থানটি পরিষ্কার করেছিলেন। আর মূসা (রা.) রোজা ভঙ্গ করলেন।
[রেফারেন্স: ইমাম বুখারী: আল-আদাবুল মুফরাদ, ৫৫২ পৃ:, অনুচ্ছেদ নং ৬০৩, হা নং ১২৭০, ইফা:]
আল-আদাবুল মুফরাদ হযরত ইমাম বুখারী (রা.)’র রচিত বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ। সেখানে “শিশু সন্তানের জন্ম উপলক্ষে দাওয়াত” এই শিরোনামে একটি অনুচ্ছেদ আছে। যেখানে উক্ত হাদিস শরীফ উল্লেখ আছে। সাহাবী জন্মদিনের দাওয়াত উপলক্ষে আয়োজিত খাবার গ্ৰহণ করতে নফল রোজা ভঙ্গ করলেন। আর বদ নসিব, পথভ্রষ্টরা বলে, ইসলামে জন্মদিন বলতে কিছু নেই! জন্মদিন পালন করলে শির্ক হবে! যেহেতু এটা ইমাম বুখারী (রা.)’র কিতাবে বর্ণিত হাদিস, সেহেতু সনদ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।