কিতাবের নাম: জুমালুন নূর ফি নাহয়িন নিসা আন যিয়ারাতিল কুবুর
বাংলারূপ: মহিলাদের মাজার জিয়ারতের বিধান।
অনুবাদ: ডক্টর এ. এস. এম. ইউসুফ জিলানী
প্রকাশক: রেযা একাডেমি বাংলাদেশ
**
নারীদের কবর বা মাজার যিয়ারতের অনুমতি ইসলামের প্রাথমিক যুগে ফিতনা মুক্ত পরিবেশের কারণে ছিল। বর্তমানে নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার কারণে ফিতনা সৃষ্টির আশঙ্কায় এবং মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে যুগ কাল প্রেক্ষাপট বিবেচনায় হানাফী মাজাহাবসহ অন্যান্য মাযহাবের অনেক ইমাম মুজতহিদ ও ওলামায়ে কেরাম মাজারে মহিলাদের গমন নিষেধ বলে রায় দিয়েছেন। ইমামগণ যে আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন তা বর্তমানে লাগামহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই ও অপহরণের মতো অপরাধগুলো এখন ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কাও রয়েছে। তাছাড়া আবাধ মেলামেশার সুযোগে পারস্পরিক সম্মতিতে যুবক যুবতী ও তরুণ তরুণীরা যা করে তা কারো অজানা নয়।
এমন চারিত্রিক ও নৈতিক অধঃপতনের যুগে নারীদেরকে মাজারে যাওয়ার অনুমতি কিভাবে দেয়া যেতে পারে?
শরীয়তের মূলনীতি হলো, ফিতনা ফ্যাসাদ পরিহার করা ওয়াজিব আর সর্বসম্মত রায় হচ্ছে যা হারাম কাজের কারণ হয় তাও হারাম।
ইমাম আহমদ রেজা খান বেরলবি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) জুমালার নূর ফি নাহয়িন নিসা আন যিয়ারাতিল কুবুর নামক একটি কিতাব লিখে বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন এবং সব দিক বিবেচনা করে বর্তমান যুগে মহিলাদের মাজার জিয়ারতে গমন করা নিষেধ বলে ইমামগনের রায় উল্লেখ করেছেন।
মহিলাদের মাজার যিয়ারতের বিধান নামে আমি কিতাবটির শিরোনাম করেছি এবং ইমাম আহমদ রেজার 105 তম ওফাতবার্ষিকী কিতাবটি পাঠক সমীপে হাজির করেছি।