ঐতিহাসিক ও বিশ্বপরিব্রাজক ইবনে বতুতা (জন্ম ৭০৩ হিজরী- ৭৭৯ হিজরী) তিনি স্বীয় চোখে পবিত্র মক্কা শরীফে মহাসমারোহে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হতে দেখেছেন। তিনি বর্ণনা করেন,
قاضى مكة العالم الصالح العابد نجم الدين محمد الامام العالم محيى الدين الطبرى رحمة الله عليه وهو فاضل كثير الصدقات والمواساة للمجاورين حسن الأخلاق كثير الطواف والمشاهدة للكعبة الشريفة يطعم الطعام الكثير فى المواسم المعظمة وخصوصاً فى مولد رسول الله صلى الله عليه وسلـم فانه يطعم فيه شرفاء مكة وكبراءها وفقراءها وخدام الحرم الشريف وجميع المجاورين وكان سلطان مصر الملك الناصر رحمة الله عليه يعظمه كثيراً وجميع صدقاته وصدقات امرائه تجرى على يديه
অর্থ: পবিত্র মক্কা শরীফ উনার সম্মানিত কাজী বা বিচারক নাজমুদ্দীন মুহম্মদ ইবনে ইমামুল আলম মুহিউদ্দীন আত্ব-ত্বিবরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হলেন একজন নেককার, ইবাদতগুজার আলিম। তিনি হলেন সম্মানিত, অধিক দানশীল, প্রতিবেশীদের জন্য সমব্যাথী বা সাহায্যকারী, উত্তম চরিত্রের অধিকারী, সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার অধিক তাওয়াফকারী ও পর্যবেক্ষণকারী। তিনি (উক্ত কাজী বা বিচারক) বিভিন্ন মওসুমে, বিশেষ করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ এর সময় তিনি (মানুষকে) প্রচুর পরিমাণে খাদ্য খাওয়াতেন। এ বরকতময় সময়ে তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, ফক্বীর-ফুক্বারা, সম্মানিত হেরেম শরীফের খাদিমবর্গ এবং পবিত্র মক্কা শরীফের অধিবাসী ও অসহায় ব্যক্তিদের প্রচুর পরিমাণে খাদ্য খাওয়াতেন।
আর মিশরের সুলতান মালিক নাছিরুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মক্কা শরীফের উক্ত সম্মানিত কাযীকে অধিক সম্মান করতেন এবং তিনি সমস্ত দান-সদক্বা ও অধীনস্থ আমীর-উমারাগণের সমস্ত দান-সদক্বা উনার হাতে অর্পণ করতেন। (রিহলাতু ইবনে বতুতা: ১৬৯ পৃষ্ঠা)
যারা আজ বলে থাকে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন নতুন আমল। তারা মক্কা শরীফে পালনের এ দলীলকে কি বলবে? ঐ সময়ে পবিত্র মক্কা শরীফের অধিবাসীদের বিদয়াতী বলবে?