জন্মঃ- ৬০৪ হিজরি ৬ই রবিউল আউয়াল খোরাসানের (বর্তমানে আফগানিস্থান ) বলখ রাজ্যে
• পর্দা গ্রহনঃ- ৬৭২ হিজরি সনের জুমাদাল ওখরা মাসের ৫ তারিখ রবিবার দিন।
• পিতাঃ- মাওলানা বাহাউদ্দিন (র)।
• সমাধিঃ- তুরুস্কের কনিয়া প্রদেশে ।
• পদবীঃ- বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মাওলানা, মারিফতের জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
আল্লামা জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী (রঃ) আল্লামা জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ বলখি নামেও প্ররিচিত কিন্তু বিশ্ব তাকে সংক্ষেপে রূমী নামে জানে। তিনি ত্রয়োদশ শতকের একজন ফারসি কবি, ধর্মতাত্ত্বিক এবং সুফি দর্শনের শিক্ষক ছিলেন।
মাওলানা রুমি পিতা মাওলানা বাহাউদ্দিন ছিলেন তৎকালীন সময়ের সুলতানুল ওলামা (আলেম সমাজের রাজা), রাস্তার সামান্য ফকির থেকে শুরু করে রাজ্যের বড় প্রতাপশালী রাজা, মহারাজারা রুমির পিতাকে খুব সম্মান করতেন। শুধু রাজা বাদশাহরা নয় বড় বড় কুতুব, গাউস, আউলিয়ারা মাওলানা রুমির পিতার পায়ের মোজা খুলার জন্য সদা ব্যাকুল থাকতেন। সেই মহান আলেম হযরত মাওলানা বাহাউদ্দিন (র) এর ঘরেই জন্ম নেন ইতিহাসের বিশ্ব বিখ্যাত আলেম হযরত মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি (র)।
রুমী খোরাসানের (বর্তমান আফগানিস্তান ) বলখ শহরে জন্মগ্রহন করেন । তাঁদের পরিবার ছিল বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও ধর্মতত্তবিদ পরিবার। তার পিতা বাহাউদ্দিন ওয়ালাদকে সমসাময়িক “পন্ডিতদের সুলতান” বলে আখ্যায়িত করেছিল। রুমীর পিতা ছিলেন একজন বিখ্যাত ধর্মতত্ত্ববিদ।
জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),যে যুগে জন্মগ্রহন করেন তখন ভয়াবহ এক আলোড়ন চলছিল । অটোম্যান সাম্রাজ্য ভিতরে এবং বাইরে থেকে আক্রান্ত ছিল ; ভিতরে ছিল খ্রিষ্টান আক্রমনকারিরা এবং অপর দিক থেকে চেঙ্গিস খানের মোঙ্গল বাহিনী । এই সামাজিক-রাজনৈতিক আলোড়ন রুমিকে তরুনকাল থেকে আতংক ও বিশৃংখলা দারা দহন করেছিল। ধর্মীয় বিরুদ্ধবাদীদের বিড়োধিতা এবং সম্ভাব্য মোঙ্গল আক্রমণের আশংকায় মাত্র বার বছর বয়সে জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),তাঁর পিতাসহ বলখ ত্যাগ করেন।
তাঁরা দশ বছর ধরে এশিয়া মাইনর ও আরবে পরিভ্রমন করেন। মক্কার পথে রুমী এবং তার পরিবার নিশাপুরে অবস্থান করেন , সেখানে তাঁদের সাথে বিখ্যাত সুফি কবি আত্তারের সাক্ষাত হয় । আত্তার জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ” এই বালকটি ভালবাসার অন্তরে একটি দ্বার উদ্ঘাটন করবে ।” জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),ও কখনও আত্তারকে ভুলতে পারেনি , জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),আত্তার সম্পরকে বলেছেন ” আত্তার ভালবাসার সাতটি নগরই ভ্রমন করেছেন আর আমি এখনও একটি গলির প্রান্তে অবস্তান করছি। ”
তাঁর পিতার সঙ্গে ভ্রমনের আরেক পর্যায়ে জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),দামাস্কাস যান । সেখানে সে যুগের শ্রেস্ট দার্শনিক ইবনুল আরাবীর সাথে দেখা হয় । শোনা যায় ইবনুল আরাবী যখন জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমীকে(র),তাঁর পিতার পিছনে হাঁটতে দেখেন তখন বলেছিলেন ” আল্লাহর কি মহিমা , একটি হ্রদের পিছনে একসমুদ্র যাচ্ছে।
আঠারো বছর বয়সে জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),সমরখন্দের এক অমাত্যের কন্যা গওহর খাতুনকে বিবাহ করেন এবং কিছুদিনের মধ্যে দুই পুত্র সুলতান ওয়ালদ ও আলাউদ্দিন তিলবির পিতা হন ।
লারান্দা এবং আর্মেনিয়ার আরজানজানে কিছুদিন অবস্থান করার পর রুমীর পিতা কোনিয়ার সুলতান আলাউদ্দিন কায়কবাদ দ্বারা আমন্ত্রিত হন। কোনিয়ায় বাহাউদ্দিন ওয়ালাদ্দের জন্য বিশেষভাবে এক বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পরে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সেখানে শিক্ষাদান করেন। পরবর্তীকালে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে রুমী সেই বিদ্যাপীঠে তার পিতার উত্তরসূরী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র),জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই কোনিয়াতেই ছিলেন৷
জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ রূমী(র), তাঁর পিতা ছাড়াও সেযুগের অনেক বিখ্যাত শিক্ষকের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন৷ পিতার মৃত্যুর পর মাওলানা রূমী (রঃ) তাঁর পিতার স্থলাভিষিক্ত হন৷ অসাধারন জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং আকর্ষণীয় গল্প ও কাব্যরসে সমৃদ্ধ তাঁর ভাষণ বা ক্লাসগুলো বিপুল সংখ্যক তত্ত্ব-পিপাসু ও জ্ঞানপিপাসুকে আকৃষ্ট করেছিল৷ সাত বৈঠক বা মাজালেসে সাবআ এবং ফি মা ফি শীর্ষক গ্রন্থ মাওলানা রূমি (রঃ)’র ভাষণ ও ক্লাসের ফসল৷ মসনভী ও দিওয়ানে শামস তাঁর দুটি অমর কীর্তি৷ তিনি আজো বেঁচে আছেন এবং বেঁচে থাকবেন তাঁর অমর কাব্য ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা বা আদর্শের অক্ষয় কীর্তির মধ্যে।
মাওলানা রুমি প্রাথমিক জীবনে সারা দিন হাদিস, তফসির ইত্যাদি ধর্ম গ্রন্থের কিতাব পাঠে সময় ব্যায় করতেন। মাওলানা রুমির আশে পাশে লক্ষ লক্ষ মুরিদান, আলেম, মুহাদ্দিস বসে থাকতেন শুধু তার মুখের একটু বানী শোনার জন্য,
কিন্তু যখন তার বয়স ৪০ তখন কোথা কার এক পাগল শামস তাব্রিজ নামের এক মস্ত বড় আউলিয়া তার দিনের খাওয়া ও রাতের ঘুম হারাম করে ফেলন। রুমি তখন সকল কিছু ফেলে খালি শামস তাব্রিজের পিছনে পিছনে ঘুরতে থাকেন এবং শামস তাব্রিজ এর কাছে নিজকে মুরিদ করার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন।পরবর্তীতে শামস তাব্রিজ তাকে মুরিদ করে ৪০ দিনের এক ছিল্লায় নির্জনে তাকে মারিফতের জ্ঞান তার সিনায় ঢেলে দেন । এরপর মওলানা রুমি নীরব ও নিশ-চুপ হয়ে যান, খাওয়া দাওয়া ঘুম সব কিছু ভুলে গিয়ে শুধু শামস তাব্রিজের কথাই স্মরণ করতে থাকেন।
মাওলানার পোশাক ছেড়ে দিয়ে সাধারন ফকিরের পোশাক পরিধান করেন। শামস তাব্রিজের মত পাগলের ভেতর আল্লাহর নুরী জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডার দেখে মাওলানা রুমি বলে উঠলেন-
“ওরে খোঁদার ভাব মিলে নাই মাওলানায়,
কি দেখিয়া এত ফালফালায় শরীয়তের হুজুর ব্যাটায়”।
শামস তাব্রিজের এস্কের টানে মাওলানা রুমির এমন বেহাল দশা হয়ে যাওয়ায় তার ভক্ত মুরিদান এবং মাওলানা রুমির আপন পুত্র আলাওউদ্দিন শামস তাব্রিজকে এই দুনিয়া থেকে চিরদিনের জন্য সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু করল। এভাবে অনেক দিন গত হওয়ার পর শামস তাব্রিজ ও মাওলানা রুমি একদিন জ্ঞানের আলোচনা করতে বসলে শামস তাব্রিজ হঠাৎ করে বলে উঠলে……….
এখন আমাকে চির বিদায় দাও “হে রুমি, মৃত্যুর দূত আমাকে নিয়ে যাবার জন্য ইশারা দিয়ে ডাকছেন”।
এই কথা বলতে বলতে তিনি একটু সামনে এগোলেই মাওলান রুমির আপন ছেলে আলাওউদ্দিন ও তার সঙ্গীরা এক বড় খঞ্জর দিয়ে শামস তাব্রিজকে পিছন থেকে আঘাত করলে শামস তাব্রিজ এত জোরে চীৎকার দেন যে চীৎকার শুনে হত্যা কারিরা সঙ্গে সঙ্গে বেহুশ হয়ে মারা যান। কিছু পর দেখা গেল সেই জায়গায় শামস তাব্রিজের মৃত দেহ আর নাই শুধু পরে আছে ছোপ ছোপ লাল রক্ত, সেদিন মাওলানা রুমি নিজের ছেলের এই দুষ্কৃতি দেখে এতই মর্মাহত হন যে তিনি তার ছেলের জানাজাও পড়েন নি।
পরবর্তীতে শামস তাব্রিজের বিরহ বিচ্ছেদ ও এশকে মাতোয়ারা হয়ে রচনা করেন দেওয়ানে শামস তাব্রিজ ও মসনবি শরিফ নামক বিশ্ব নন্দিত জ্ঞানের কিতাব যা বিশ্বের দরবারে আজও সু পরিচিত হয়ে আছে।মাওলনা রুমি (র) এর পর শামস তাব্রিজের প্রেমে নিজকে সমর্পণ করে অবশেষে তুরস্কেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।পৃথিবী থেকে চলে যাবার আগে তিনি তার মৃত্যু সম্পর্কে কিছু উক্তি করে গেছেন তা হল ——-
যেদিন আমি মরে যাব, আমার কফিন এগিয়ে যাবে
সেদিন ভেবো না, আমার অন্তর এই ধরাধামে রয়ে গেছে!
তোমরা অযথা অশ্রু বিসর্জন দিও না, হা-হুতাশ করো না
‘হায়রে লোকটা চলে গেল’ এই বলে বিলাপ করো না।
আমার সমাধিকে অশ্রুজলে কর্দমাক্ত করে দিও না।
আমিতো মহামিলনের মহাযাত্রার অভিযাত্রী।
আমায় কবরে শোয়ালে ‘বিদায়’ জানাবে না,
কবরতো ইহকাল-পরকালের মাঝে একটা পর্দা মাত্র
অনন্ত আশীর্বাদের ফোয়ারা। তোমরা অবতরণ দেখেছ এবার চেয়ে দেখ আমার আরোহণ। চন্দ্র-সূর্যের অস্তাগমন কি বিপজ্জনক? তোমাদের কাছে যেটা অস্তাগমন, আসলে সেটাই উদয়ন। মাওলানা রুমির গুণাবলীঃ-
১। বিশ্ব বিখ্যাত মসনবি শরিফ রচনাঃ- মাওলানা রুমি শামস তাব্রিজের দেওয়া তার সিনায় মারিফতের ফায়েজ কে চির-স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২২ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে রচনা করেন মসনবি শরিফ।যা সুবিশাল ৪০ হাজার লাইনের একটা মহাজ্ঞানের সমাহার।এই কিতাবকে বিশ্বের সকল সুফি,দরবেশরা “মানুষের রচিত ২য় কুরআন বলে আখ্যায়িত করেছেন”।
২।বিশ্ব বিখ্যাত মাওলানা রুমিঃ- মাওলানা রুমি তার মুর্শিদ শামস তাব্রিজের সাথে সাক্ষাত করার পূর্বে ছিলেন একজন ধর্মভীরু পীর সাহেব।তিনি সারাদিন এতই কিতাব পড়াশুনা করতেন যে সে যেখানেই যেতেন সেখানেই ৭ উঠ ভর্তি হাদিস,তাফসির,ফেকা ইত্যাদি ধর্মীয় কিতাব সাথে নিয়ে যেতেন।যাতে তার অধ্যাপনায় কোন প্রকার বিঘ্ন না ঘটে ।উক্ত কথা থেকে বুঝা যায় তিনি কত উঁচু পর্যায়ের আলেম ছিলেন।আর আজকের কাঠ মোল্লারা কিছু হাদিসের কিতাব পড়ে এমন ভাব দেখান যে তার চেয়ে বড় আলেম বুঝি এই দুনিয়ায় আর কেউ নেই।
৩। মাওলানা রুমির স্তরঃ- মাওলানা রুমি তার বিশ্ব বিখ্যাত কিতাব মসনবির প্রশংসায় বলেছেন যে ” কুরআনের সমস্ত মগজ আমি রুমি চেটে খেয়ে ফেলেছি,শুধু তার হাড় গুলি রেখে দিয়েছি শরিয়তের অল্প বুদ্ধির আলেম রূপী কুকুরদের জন্য”তাহার এই উক্তিতে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে তিনি কোন পর্যায়ের আলেম।
৪। বিভিন্ন মনীষীদের ভূয়সী প্রশংসাঃ- রুমির সাহিত্যকর্ম অধ্যয়নের পর এতকাল দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ইংরেজ সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মকে রীতিমতো পানসে বলে মনে হচ্ছে। তারা এখন রীতিমতো নিক্তি দিয়ে ওজন করছেন কার সাহিত্যকর্মের গভীরতা কতটা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রিসার্স স্কলার এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত সামির আসাফ The Poet of the Poets- শীর্ষক এক নিবন্ধে লিখেছেন, গভীরতার মানদণ্ডে রুমির তুলনায় শেক্সপিয়রের মান হচ্ছে মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ। পশ্চিমা সাহিত্যিকদের মান প্রসেঙ্গ তিনি আরো লিখেছেন, ‘পাশ্চাত্যের গ্যাটে, চসার ও ইমারসন পর্যন্ত রুমির প্রভাব প্রতিপত্তি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই, রুমির সমকক্ষ যেমন গাজ্জালি, গালিব, জামি, সাদি, জিবরান, এমনকি কাজমি, দেহলভি বা জাউকের (Zauk) সাহিত্যকর্মের তুলনায় পশ্চিমা সাহিত্য বলতে গেলে হাস্যকর পর্যায়ের অগভীর।
৫। রুমি সম্পর্কে বিশিষ্ট অলিদের আউলিদের মন্তব্যঃ- ছোট রুমি যখন বাবা বাহাউদ্দিনের সাথে দামেস্কে ভ্রমনে যাচ্ছিলেন,তখন বিখ্যাত আউলিয়া ইবনুল আরাবি (র) বাবার পিছনে ছোট রুমিকে হাঁটতে দেখে তার ভিতরে অপার জ্ঞানের সমুদ্র অনুমান করে বলেছিলেন “আল্লাহর কি অপার মহিমা দেখো !!!জ্ঞানের সমুদ্র , জ্ঞানের নদীর পিছে পিছে হাঁটছে”,শুধু তাই নয় বিশ্ব বরেণ্য আউলিয়া ফরিদউদ্দিন আত্তাব মাওলানা রুমিকে দেখে বলেছিল”এই ছেলে বড় হয়ে আল্লাহ্র এস্কের সাগরের এমন সব রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হবে যে সারা দুনিয়া তা দেখে হতবাক হয়ে যাবে”।
৬।রুমির মৃত্যুতে সকল ধর্মের মানুষের জানাজায় অংশ গ্রহনঃ- মাওলানা রুমি যেদিন দুনিয়া ছেড়ে চলে যান,সেদিন তুরস্কের ইহুদি, নাসারা,খিরিস্তান সহ সকল ধর্মের মানুষ রুমির মৃত দেহের সামনে তাদের নিজ নিজ ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করা শুরু করে,শুধু তাই নয় একসাথে কাতার বন্ধী হয়ে নামাজের জানাজা আদায় করেন। কত বড় মাপের মানুষ হলে অন্য ধর্মের মানুষও তাকে শ্রদ্ধা জানায়,এটা রীতিমত ভাবনার বিষয় !!!!
৭। সকল ধর্মের মানুষের মসনবি কিতাব পাঠঃ- হিন্দু(বৈষ্ণব মতালম্মবি),মুসলিম,ইহুদি,নাসারা,খিরিস্তান সকল ধর্মের মানুষ মাওলানা রুমির কিতাব নিজস্ব আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য পাঠ করে থাকেন। বিশ্বের সকল ভাষায় আজ মসনবি অনূদিত হয়েছে। এ যেন মাওলানা রুমির জন্য সারা বিশ্ব জয়ের এক বিজয় কাহিনী ।
এক কথায় বলতে গেলে রুমির তুলনা রুমি নিজেই,তার তুলনা আর কোন মাওলানার সাথে দিলে সম্পূর্ণ রূপে ভুল হবে।রুমি সেই নক্ষত্র যা আকাশে দিনের বেলাও স্তিমিত হয় না…… সালাম ইয়া মাওলানা রুমি সালাম সালাম হাজার সালাম ।