বসরায় বসবাসরত এক ব্যক্তি। যে কি-না শায়খ জুনাইদ বাগদাদী রাহিমাহুল্লাহ’র মুরিদ ছিল। একদিন তার অন্তরে গুণাহের খেয়াল আসল।
সাথে সাথে তার চেহারার রং কালো হয়ে গেল। সে ঘাবড়ে গেল খুব। তিনদিন পর আবার তার চেহারার কালোত্ব দূর হয়ে আগের অবস্থায় ফিরে এলো। এবং সেদিনই তার আপন মুর্শিদ শায়খ জুনাইদ বাগদাদী রাহিমাহুল্লাহর প্রেরিত চিরকুট তার হস্তগত হলো।
লিখা ছিলো– ‘বৎস! নিজের চাহিদার ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে শিখো। তোমার চেহারার কালো আভা দূর করতে, আমাকে তিন দিন ধোপার কাজ করতে হয়েছে।’ সুবহানাল্লাহ
চেহারার সৌন্দর্য বর্ধনে আমরা খোঁজে ফিরি কত ধরণের প্রসাধনী সামগ্রি। কিন্তু সেটার কাজ স্রেফ ত্বকের ওপরেই বিদ্যমান। মূলত, আমাদের করা নেক কাজগুলো আমাদের অন্তরকে আলোকিত করে। পাশাপাশি চেহারাতেও সেই সৌন্দর্য, সে নূর ফোঁটে ওঠে। আর এটা দীর্ঘস্থায়ী। স্বয়ং রবের পক্ষ থেকে নিয়ামত। পক্ষান্তরে, আমাদের গুণাহগুলো আমাদের হৃদয়কে কলুষিত করে। আর চেহারাতেও এর প্রভাব দেখা যায়। চেহারা বে-নূর হয়ে যায়, হয়ে যায় অনেকটাই বিকৃত। তাই আমাদের প্রসাধনী হওয়া উচিত ওজু, হওয়া উচিত নেক কাজ। যা আমাদেরকে প্রকৃতপক্ষে আলোকিত করবে। জাহেরী এবং বাতেনীভাবে।
হাদীসে পাকে এসেছে, রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন— ‘মুমিনের অন্তর্দৃষ্টিকে ভয় করো। কেননা সে আল্লাহর নূর দ্বারা দেখে।’
অর্থাৎ এটাও ওলীদের প্রতি আল্লাহর দান করা এক বিশেষ ক্ষমতা। তাঁরা অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন। তারা তাদের মুরিদদের অন্তরের অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত। এবং তারা চাইলে আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে, মুরিদের আধ্যাত্মিক সংশোধনও করে দিতে পারেন। এই ফিতনার সময় নিজ ঈমান ও আমলের হিফাজতের জন্য আমাদেরও উচিত কোনো শায়েখে কামেল এর দামানের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাওয়া। তাদের আনুগত্যের দ্বারা নিজের দুনিয়া ও আখিরাতকে সৌন্দর্যমন্ডিত করা।
ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুবি সাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিক।