Al-QURAN: আল-কোরআনের আলোকে হায়াতুন্নবী (সা):-
★ আল্লাহ বলেছেন, প্রত্যেক প্রানকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। সুরা আল-ইমরান ১৮৫
Note:- তাই রাসুল(সা) ও একবার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করেছেন।
আল্লাহর বানী অবশ্যই সত্যি।
وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّن قَبْلِكَ الْخُلْدَ أَفَإِن مِّتَّ فَهُمُ الْخَالِدُونَ
★ আপনার পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? [সুরা আম্বিয়া: ৩৪]
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ
★ প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [সুরা আম্বিয়া: ৩৫]
Note:- রাসুলুল্লাহ (সা) শরীয়ত আর আল-কুরআনের শ্বাশত হুকুম অনুসারে একবার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করে নিয়েছেন।
আল্লাহ চিরঞ্জিব তিনি ছাড়া কেউ চিরঞ্জিব না চিরঞ্জিব মানে হল যে অমর তার আগেও কখনো মৃত্যু হয়নি ভবিষ্যতেও কোন দিন হবে না তিনি অনাদি অনন্ত।
আল্লাহ সমস্ত শাহাদাতবরন কারী শহিদ দের জীবিত বলে ঘোষনা করেছেন আর তার হাবিবকে কি রওজা মোবারকে মৃত রাখবেন?( নাউযুবিল্লাহ)
Ayiah (1)– আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:-
وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ۚبَلْ أَحْيَاءٌ عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ
যারা আল্লাহ্ পাকের রাস্তায় মৃত্যুবরন করেছেন (শহীদ হয়েছেন) তাদের কে তুমি মৃত মনে করো
না, বরং তারা তাঁদের নিজেদের রব এর নিকট জীবিত ও (রবের পক্ষ থেকে) রিজিক প্রাপ্ত।”(সুরা আলইমরান ১৬৯)
Ayiah(2):–
وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ (سورة البقرة-154
“আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বল না। বরং তারা জীবিত। তবে তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না।”
(সূরা বাকারা-১৫৪)
Proof::-
2:154,3:169 আয়াত এর ব্যাখ্যা :
★ ‘আমি বলব, নবীদের হায়াতের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন নেই। কেননা নবীগণ শহীদগণ হতে শ্রেষ্ঠ। আর শহীদগণ তো তাদের রবের নিকট যিন্দা। সুতরাং নবীগণ তো প্রশ্নাতীতভাবেই যিন্দা থাকবেন।’ (উমদাতুল কারী-১১/৪০২)।
★ ‘শহীদগণ যেহেতু দলিলের ভিত্তিতে জীবিত প্রমাণিত, কোরআনে তার সুষ্পষ্ট বর্ণনা আছে, সুতরাং নবীগণ জীবিত থাকবেন। কারণ তারা শহীদগণ হতে উত্তম।’ (ফাতহুল বারী-৬/২৮৮)।
এটা ইমাম তিরমিযী(র) ও ইমাম বাইহাকী(র) সহীহ হাদিস দারা প্রমাণ করেছেন।
Reference :
(Nayl al-Awtar, Volume 003, Page No. 82)
(Fath al-Bari sarhe bukhari, Volume 006: Page No. 379)
★ ‘নিঃসন্দেহে নবী (সা.) ওফাতের পর কবরে জীবিত আছেন। অনুরূপভাবে অন্যান্য নবী-রাসূলগণও শহীদদের চেয়েও পূর্ণ হায়াতে জীবিত। যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর পবিত্র কিতাবে সংবাদ দিয়েছেন।’ (ওয়াফাউল ওয়াফা-২/৪০৫)।
() Proof ($):::–
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বলেন,
” অতঃপর যখন তারা (শহীদগন) খাবার ,পানীয় এবং বিশ্রামের স্বাদ অনুভব (ভোগ) করবে ,তারা জিজ্ঞেস করবে : কে আমাদের (সঙ্গী)ভাতৃগণদের আমাদের সম্বন্ধে বলবে যে আমরা জান্নাতে জিবীত আছি এবং আমাদেরকে রিজিক দেয়া হয় ।
Reference :
★ ABU DAWOOD (Book #14, Hadith #2514)
★ MISHKAT (HADITH 3853)
★ IBN KHATEER UNDER THE COMMENTARY OF SURAH IMRAN 3 VERSE 169)
আল্লাহ একবার বলেন –
“”” প্রত্যেক কেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে””
আরেক বার বলেন –
“”” শহীদগনকে মৃত বল না বরং তারা জীবিত “”
এই ২ ধরনের আয়াতের সমাধান কি?
Sollution :-
ওহাবীদের সকল মুর্খতার নিরসন:-
“””………..আবূ বকর (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখমণ্ডল উম্মুক্ত
করে তাঁর উপর ঝুকে পড়লেন এবং চুমু
খেলেন, তারপর কাঁদতে লাগলেন
এবং বললেন, ইয়া নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ! আমার
পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আল্লাহ
আপনার জন্য “””দুই মৃত্যু একত্রিত করবেন না।”””
“””তবে যে মৃত্যু আপনার জন্য নির্ধারিত
ছিল তা তো আপনি কবুল করেছেন। “””
……….. আবূ বকর (রাঃ) বললেন
আম্মা বা’দু, তোমাদের
মধ্যে “”””যারা মুহাম্মদ এর ইবাদত করতে,
(তারা জেনে রাখ) মুহাম্মদ সত্যই ইন্তিকাল করেছেন। “”””
আর “””যারা মহান আল্লাহর ইবাদত করতে,
(তারা জেনে রাখ) নিশ্চয়ই আল্লাহ চিরঞ্জিব, অমর। “””
SAHIH BUKHARI : জানাযা অধ্যায় : ১১৬৯
EXPLAIN of this Hadith :
এই হাদিসের ব্যাখ্যা দ্বারা উপরোক্ত সমস্ত আয়াতের ব্যাখ্যাও CLEAR হয়ে যাবে।
1) এখানে ২ মৃত্যু একত্রিত করবেন না মানে কি?
★ এর মানে হল দুনিয়া থেকে আড়াল হওয়ার জন্য ১ বারই তারা মৃত্যুর স্বাদ নেন। যেমন : নবী-রাসুলগন / শহীদগন / অলীগন। অত:পর তারা মুক্ত এবং আল্লাহর মহা পুরষ্কার জান্নাত প্রাপ্ত হন আর মৃত্যু ব্যতীত জান্নাতে যাওয়া যায় না।
★ আর পাপীষ্ট কাফিরদের জন্য ২ মৃত্যু : ১টা দুনিয়া থেকে মৃত্যু নিয়ে পরপারে। আরেকটা কবরের আজাবে প্রতিনিয়ত মৃত্যু হয় আবার জীবিত হয়, পুনরায় মৃত্যু হয় পুনরায় জীবিত হয় এইভাবেই চলতে থাকে তাদের আজাব। তাদেরকে আজাবের জন্যই জীবিত করা হয় আবার আজাবের জন্যই মৃত্যুদান করা হয়।
2) “”””যারা মুহাম্মদ এর ইবাদত করতে,
(তারা জেনে রাখ) মুহাম্মদ সত্যই ইন্তিকাল করেছেন। “””” এই কথার মানে কি?
★ ওহাবীরা তোমরা কি রাসুল (সা) এর ইবাদত কর?
**** যদি হ্যা হয় তবে তিনি তোমাদের কাছে মৃত
**** আর যদি আল্লাহর ইবাদত কর তবে রাসুল
মৃত নন (বরং এটা কুরআনেই রয়েছে শহীদগণ জীবিত, যেহেতু রাসুল (দুরুদ) ১বার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করে নিয়েছেন অত:পর ২:১৫৪ & ৩:১৬৯ আয়াত অনুযায়ী তিনি জীবিত। আবার ওনাকে চিরঞ্জিবও বলা যাবে না কারন যেহেতু একবার মৃত্যুর স্বাদ নিয়ে নিয়েছেন)
অতএব “”যারা মহান আল্লাহর ইবাদত করতে,
(তারা জেনে রাখ) নিশ্চয়ই আল্লাহ চিরঞ্জিব, অমর। “””
SAHIH BUKHARI : জানাযা অধ্যায় : ১১৬৯
“”””””
আর আল্লাহর দয়ায় তার সমস্ত প্রিয় নবীগন ও অলীগন তাদের ওফাতের পরও জীবিত আছেন তাদের অবস্থা ঘুমন্ত অবস্থার ন্যায়।
স্পষ্ট হাদিস :
() Hadith~$~::- সহিহ হাদিসে আছে :
عن أبي الدرداء قال قال رسول الله صلىالله عليه و سلم أكثروا الصلاة علي يوم الجمعة . فإنه مشهود تشهده الملائكة . وإن أحدا لن يصلي علي إلا عرضت علي صلاته حتى يفرغ منها ) قال قلت وبعد الموت ؟ قال ( وبعد الموت . إن الله حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء (سنن ابن ماجه، كتاب الجنائز، باب ذكر وفاته صلى الله عليهو سلم، رقم الحديث-1637
হযরত আবু দারদা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা জুমআর দিন বেশি বেশি করে দুরুদ পড়। নিশ্চয়ফেরেস্তারা এর উপর স্বাক্ষ্যি থাকে। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা রাঃ বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম – মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে,
রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و آله وسلم) বললেন,”হ্যা! আল্লাহ্ পাক নবীগণের শরীর মোবারাক কে ভক্ষণ করা জমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন তাই নবীগণ (কবরে) জীবিত থাকেন এবং নিয়মিতভাবে তারা রিজিকও পেয়ে থাকেন।”
সূএঃ
★ ইবনে মাজাহ্ঃ কিতাবুল জানাযা, খন্ড- ১/৫২৪পৃ, হাদিস: ১৬৩৬,
★ ইবনে মাজাহ্ঃ কিতাবুল জানাযা, খন্ড- ১/৫২৪পৃ, হাদিস: ১৬৩৭
★ ইবনে মাজাহ্ঃ ইকামাতুস সালাহ ওয়াস সুন্নাহ ফিহা : অধ্যায় ৭৯, ১/৩৪৫, হা- ১০৮৫
★ মুনজারীঃ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব, খন্ড- ২/২২৮পৃ, হাদিস: ২৫৮২;
★ ইবনে কাসীরঃ তাফসীরু কুরআনিল আযীম, খন্ড- ৩/৫১৫পৃ, খন্ড- ৪/৪৯৩পৃ;
★ মুনাবীঃ ফয়যুল কদীর, খন্ড- ২/৮২পৃ;
★ আযুলুনীঃ কাশফুল খিফা, খন্ড- ১/১৯০পৃ, হাদিস: ৫০১
★ সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯,
★ আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০,
★ সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫৭২,
★ মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫,
★ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৭৫৯
★ Abu Dawud, Sunan, b. of salat (prayer) 1:275 (#1047);
★ Nasa’i, Sunan, b. of jumu’ah (Friday prayer) 3:92;
★ Ahmad bin Hambal, Musnad (4:8);
★ Ibn Hibban, as-Sahih(3:191#910);
★ Ibn Khuzaymah, as-Sahih (3:118#1733);
★ Hakim, al-Mustadrak (1:278);
★ Tabarani, al-Mu’jam-ul-kabir (1:217#589);
★ Bayhaqi in as-Sunan-ul-kubra (3:249).
হাদিসটির মান ও সনদ পর্যালোচনা :
★ এ হাদিসকে ইমাম ইবনু মাজাহ্ সহীহ্ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।
★ ইমাম মুনযেরী বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু মাজাহ্ উত্তম-মজবুত সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।
★ ইমাম মুনাবী বর্ণনা করেন যে, ইমাম দমীরী বলেন, ইহার রাভীগণ (বর্ণনাকারীগণ) নির্ভরযোগ্য।
★ ইমাম আজলুনীও ইহাকে হাসান বলেছেন।
★ হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত,
রাহমাতুল্লীল আলামীন, শাফিউল মুযনেবীন, হুযূর পুরনূর (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর মোবারক ফরমানঃ
“আম্বিয়ায়ে কেরাম আলায়হিমুস সালাম নিজ নিজ কবরে জীবিত আছেন এবং ওনারা নামাযও পড়েন।”
[সূত্রঃ
★ আবু ইয়ালা(২১০-৩০৮ হি.): আল মুসনাদ, খন্ড ৬/১৪৭ পৃ, হাদিস: ৩৪২৫;
★ ইবনে আদী(২৭৭-৩৮৫হি.):আল কামেল, ২/৩২৭, হাদিস: ৪৬০;
★ Bayhaqi, Hayat ul-Anbiyah, Page No. 003
★ দায়লামী(৪৪৫-৫০৯হি.): মুসনাদুল ফিরদাউস, ১/১১৯, হাদিস: ৪০৩;
★ আস্কালানী(৭৭৩-৮৫২হি.): ফতহুল বারী, ৬/৪৮৭, এবং লিসানুল মিযান, ২/১৭৫, ২৪৬, হাদিস: ৭৮৭, ১০৩৪;
★ হায়ছামী(৭৩৫-৮০৭হি.): মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ৮/২১১;
★ সুয়ূতী(৮৪৯-৯১১): শরহু আলা সুনানিন নাসায়ী, ৪/১১০;
★ al-Suyuti, Anba’ al-Adhkiya’ (#5)
★ সহীহ কুনুযুস সুন্নাতির নববিয়্যাহ, হাদীসনং-২২
★ আযীমাবাদীঃ আওনুল মা’বুদ, ৬/১৯, (তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি ‘আল ইনতিবাহিল আযকিরা বি হায়াতি আম্বিয়া’ নামে পুস্তক রচনা করেছি।)
★ মানাভী(৯৫২-১০৩১হি.): ফয়যূল কাদীর শরহে জামেউস সগীর;
★ শাওকানী(জন্ম-১২৫৫হি.): নায়লুল আওতার, ৫/১৭৮;
★ যুরকানী(১০৫৫-১১২২হি.): শরহু আল মুয়াত্তায়ে লিল ইমামিল মালেক, ৪/৩৫৭]
★ Imam al-Haythami after this hadith said: Abu Ya’la
and Bazzar narrated it and all the narrators of Abu Ya’la
are “THIQA” [Majma az Zawaid Volume 8, Page No.
387, Hadith No. 13812]
★ Imam Haytami, Majma Az Zawaid , Book : Kitab Feehi
Zikar Al Ambiya (35) Chapter : Zikar Al Ambiya A.S
Volume : 8 Page : 276 Hadith number : 13812
★ Al-Albani, in Silsilat al-ahadith al-sahihah Volume 02,
Page No. 187, Hadith Number 621
হাদিস এর মান ও সনদ পর্যালোচনা :-
★ এ হাদিসকে :-
**** ইমাম আবু ইয়ালা,
**** ইবনে ‘আদী,
**** ইমাম বায়হাক্বী এবং
**** ইমাম দায়লমী নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণ থেকে বয়ান করেন।
★ ইবনে ‘আদী বলেন, এ হাদিসের সনদে কোন ক্রুটি নেই।
★ ইমাম হায়ছমীও বলেন, ইমাম আবু ইয়ালার বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
★ আল্লামা শওকানী বলেন, ইহাকে ইমাম বায়হাক্বী সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন এবং আম্বিয়ায়ে কেরাম আলায়হিমুস্ সালামের জীবনের উপর তিনি একটি জুয্ (সহীহ্ হাদীস সমূহের সংক্ষিপ্ত কিতাব) সংকলন করেছেন।
★ ইমাম যুরকানীও বলেন যে, ইমাম বায়হাক্বী আম্বিয়ায়ে কেরাম আলায়হিমুস্ সালামের জীবনের উপর একটি নিতান্ত সূক্ষ কিতাব সংকলন করেছেন। যার মধ্যে হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মারফু বর্ণনাসমূহ সহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।
★ ইমাম আসক্বালানী (৭৭৩-৮৫২হি.) স্বীয় গ্রন্থ ‘ফতহুল বারী’তে বয়ান করেছেন যেঃ
“ইমাম বায়হাক্বী (৩৮৩-৪৫৮হি.) আম্বিয়ায়ে কেরাম আলায়হিমুস্ সালাম তাঁদের কবরে জীবিত থাকার বিষয়ে (সহীহ্ হাদীস সম্বলিত) একটি সুন্দর কিতাব লিখেছেন, যার মধ্যে তিনি হযরত আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)’র এ হাদিসও উদ্ধৃত করেছেন।
সনদ :- **** এ হাদিস তিনি ইয়াহয়া ইবনে আবি কাছির এর নিয়মে বর্ণনা করেছেন, তিনি সহীহ্ হাদিস বর্ণনাকারীদের একজন।
**** তিনি মুস্তালিম ইবনে সাঈদ থেকে বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলও তাঁকে নির্ভরযোগ্য নির্ধারণ করেছেন।
★ ইমাম ইবনে হিব্বান এ হাদিসটি হাজ্জাজ আস্ওয়াদ থেকে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি আবু জিয়াদ আল বসরী’র পুত্র হন এবং তাকেও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল নির্ভরযোগ্য নির্ধারণ করেছেন।
★ ইমাম ইবনে মুঈনও হযরত ছাবেত থেকে এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
★ ইমাম আবু ইয়া’লাও নিজ মুসনদে এভাবে এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
★ ইমাম বাজ্জারও ইহা বর্ননা করেছেন।
★ ইমাম বায়হাক্বীও ইহাকে সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন।
[সূএঃ ফতহুল বারী ফী শরহে বুখারী; কৃত- ইমাম ইবনে হাজর আসক্বালানী (৭৭৩-৮৫২হি.), ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ. ৪৮৭, লাহোর, পাকিস্থান, দারু নশরিল কুতুবিল ইসলামিয়া, ১৪০১হি./১৯৮১খ্রি.]