অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় পাঠক চুল হলো আল্লাহতালার দেওয়া একটি বড় নেয়ামত, কালো ও ঘন চুল মানুষের সৌন্দর্য কে অনেক বৃদ্ধি করে দেয় আর অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে সুন্দর্য অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায় এবং মানুষের কাছে হাসির পাত্র হতে হয় । অল্প বয়সে চুল পাকলে মানুষ বড় দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করে । একটা সময় ছিল যখন ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে গিয়ে মানুষের চুল পাকা শুরু হতো। তবে বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সেই এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকেই।

বিভিন্ন বয়সের মানুষের মাঝে এটি একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অল্প বয়সে চুল পাকার কারণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে ।  যদি অল্প বয়সে চুল ও দাড়ি পাকার হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে এই ভিডিওটি আপনার জন্য ।
যে সমস্ত কারণে অল্প বয়সে চুল পেকে যায় তা হল ।

(১) দুষিত আবহাওয়া: 
পরিবেশে মিশে থাকা দুষিত উপাদান শরীরের তৈরি করে ‘ফ্রি র‌্যাডিকাল’ বা মুক্ত মৌল। এই মুক্ত মৌল ‘মেলানিন’ নষ্ট করে, ফলে চুলের বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া দ্রুত হয়ে যায় এবং অকালে চুল ধুসর হয়।

(২)মানসিক চাপ:
মানসিক চাপ আমাদের অনেক ধরনের ক্ষতির পেছনে দায়ী, যার মধ্যে অকালে চুল পেকে যাওয়াও রয়েছে। ‘ক্রোমেজোম’য়ে জিনের ঘনত্ব বেড়ে যায় অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে, ফলে চুলে রং পরিবর্তন হয়। তাই চুলের রং ধরে রাখতে চাইলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার উত্তম পদ্ধতি হলো পাঁচ ওয়াক্ত নিয়মিত নামাজ আদায় করা ।

(৩) ধূমপান:
অতিরিক্ত ধূমপানের কারণেও চুল ধুসর বর্ণ ধারণ করতে পারে। যারা ধূমপান করেন তাদের অকালে চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা অধূমপায়ীদের তুলনায় আড়াই গুন বেশি। তাই ধূমপান বর্জন করতে হবে ।

(৪) হরমোনজনীত পরিবর্তন:
অকালে চুল পাকার একটি অন্যতম কারণ শরীরে হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন। পাশাপাশি এই কারণে চুলের ঘনত্ব, রং এবং বাইরের আস্তরেও পরিবর্তন আসতে পারে। এই প্রক্রিয়া সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পর শুরু হয়।

(৫) পুষ্টিহীনতা: খাদ্যাভ্যাসে যদি সকল প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকে তবে অকালেই চুল পাকা শুরু হতে পারে। বিশেষত ভিটামিন বি টুয়েলভ’য়ের অভাবে চুল রুক্ষ, পাতলা এবং ধুসর বর্ণ ধারণ করে।

(৬)রোগ: 
বিভিন্ন রোগের কারণেও চুল পাকা শুরু হতে পারে অল্প বয়সেই।

(৭)জিনগত/পারিবারিক কারণ: 
অকালে চুল পাকার আরেকটি বড় কারণ হল বংশগত কারণ । বাবা-মায়ের অকালে চুল পেকেছে এর প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে থাকে। জিনগত কারণে চুল পাকলে এর চিকিৎসা সম্ভব নয় ।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment