নামাযে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে রাখা বিদয়াত

নামাযে নব আবিষ্কৃত বিদয়াতের উৎপত্তির কারণ সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ড. বকর আবু যায়েদ লিখেছেন, “ নামাযের অধিকাংশ নব আবিষ্কৃত মাসআলার ক্ষেত্রে কিছু মানুষ যে ভ্রান্ত বুঝের স্বীকার হয়েছে এর মৌলিক কারণ হলো, হাদীসের বুঝ অর্জনে বাড়াবাড়ি, প্রসিদ্ধ ও প্রচলিত অর্থ, আরবী ভাষার গ্রহণযোগ্য ব্যবহার ও মূলনীতি, হাদীসের মূলনীতি ও ফিকহের মূলনীতির প্রতি দৃষ্টি না দেয়া। দলিল প্রদানে সুস্থ ধারার ব্যত্যয় এবং গ্রহণযোগ্য পদ্ধতির থেকে দূরে সরে যাওয়ার ভয়ংকর পরিণতি হলো এসব নতুন আবিষ্কৃত বিদয়াতসমূহ। সেই সাথে নামাযের ধীরস্থির ও ভারসাম্যপূর্ণ প্রচলিত সুন্নাহ থেকে বিমুখ থাকা, ফিকহের কিতাবসমূহ থেকে দূরে থাকা এবং ইমামগণের মতবিরোধ সম্পর্ক অনবহিত থাকার একটি মারাত্মক পরিণতি হলো নামাযের শরীয়তের বিধি-বিধানে এসব বিদয়াতের সৃষ্টি। অথচ ফিকহের কিতাব ও ইমামগণের মতবিরোধ সম্পর্কে অবগত হলে সে কুরআন ও হাদীস থেকে মাসআলা আহরণের উৎস, পদ্ধতি ও সুস্থ ধারা সম্পর্কে সচেতন থাকার কারণে এসব বিদয়াত থেকে দূরে থাকতো”** প্রথম বিদয়াত: নামাযে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে রাখানামাযে নতুন সৃষ্ট একটি বিদয়াত হলো পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাড়ানো। চৌদ্দ শ’ বছরের ইতিহাসে তথাকথিত আহলে হাদীসদের পূর্বে কেউ এই মাসআলার উপর আমল করেনি। চার মাজহাবের একটি মাজহাবেও এই মাসআলা গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে আহলে হাদীস ও তথাকথিত আলবানী পন্থী কিছু সালাফী এই বিদয়াত চালু করেছে। রাসূল স. এর সুন্নতের সাথে এর বিন্দুমাত্র কোন সম্পর্ক নেই। বর্তমানে আহলে হাদীসদের আমল থেকে দেখা যায়, তারা সম্পূর্ণ নামাযে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাড়ায় না, বরং পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির সাথে অপরের বৃদ্ধাঙ্গুল মিলিযে দাড়ায়। এভাবে বৃদ্ধাঙ্গুল মিলিয়ে দাড়াবার কথা ইসলাম শরীয়তের কোথাও নেই। এটি আহলে হাদীসদের মনগড়া একটি আবিষ্কার।আমরা প্রথমে এবিষয়ে সালাফী আলেমসহ বিখ্যাত আলেমদের ফতোয়া উল্লেখ করবো। এরপর হাদীস, খোলাফায়ে রাশেদীন ও সালাফে-সালেহীনের আমলের আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।পায়ের সাথে পা মিলিয়ে রাখা সম্পর্কে বিখ্যাত আলেমগণের বক্তব্য: ২. ইবনে উসাইমিনের বক্তব্য:================সালাফী শায়খ সালেহ আল-উসাইমিনকে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে রাখা সম্পর্কে প্রশ্ন হয—“ কাতার সোজা করার ক্ষেত্রে সঠিক কোনটি? পায়ের আঙ্গুলের অগ্রভাগের মাধ্যমে কাতার সোজা করতে হবে, না কি গোড়ালীর সাথে গোড়ালী মিলাতে হবে? পাশের মুসল্লীর পায়ের সাথে পা মিলানো কি সুন্নত?”শায়খ ইবনে উসাইমিন এর উত্তরে লিখেছেন,“الصحيح أنّ المعتمد في تسوية الصف ، محاذاة الكعبين بعضهما بعضا ، لا رؤوس الأصابع ، و ذلك … Read More

(আদম ও হাওয়ার গন্ধম খাওয়ার রহস্য প্রসঙ্গ)

আসসলামু আলাইকুমশরু করছি পরমকরুণাময় অসীম দয়ালুআল্লাহ সুবাহানু তাআলাও তার পেয়ারেহাবীব আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদপেশ করে এবংআমার দয়াল মোখলেছ সাইএর সরণে…(আদম ও হাওয়ারগন্ধম খাওয়ার রহস্যপ্রসঙ্গ)যিনি আমাদের আদিপিতা মাতা তাদেরনিয়ে একটি প্রচলিক ধারনাআছে..সেটি হলগন্ধম ফল খাওয়ারকারণে নাকি তারাদুজন বেহেশত থেকেবিতারিত হয়েছিলেন..এটারসঠিক প্রসঙ্গটি আপনাদের সামনেতুলে ধরার চেষ্ঠাকরব ভুল হলেমাফ করবেন..আরকেউ না বুঝেঅযতা বক বককরবেন না কারনএখানে অনেক রহস্যময় বিষয়আছে যা প্রকাশকরা সমীচীন নয়বলে পূর্বেকার অনেকেইতা প্রকাশ করেননি..যারা প্রকাশকরেছেন তাদের কিছুলেখা নিয়ে আমিএখানে লিখলাম…তবেআমি মনে করিআমার ক্ষুদ্র ধারণাথেকে এবং আমারমোর্শেদের এক ভক্তেরকাছে থেকে ব্যাপারটি নিশ্চিত হলামএবং এখানে লিখলামএবার মুল কথায়আসা যাক আসলেকি এটা ফলছিল নাকি অন্যকিছু…গন্ধম ফার্সি শব্দ। পবিত্র কুরআনও হাদীস শরীফেগন্ধম শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি। বরং পবিত্রকুরআনে ‘শাজারাত’ শব্দব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ বৃক্ষ। প্রচলিত ধারণামতে, আদমও হওয়া গন্ধমখাওয়ার অপরাধে বেহেশতহতে বিতাড়িত হয়েছিলেনপবিত্র কুরআনে এরশাদহয়েছে-অর্থ-“অতঃপর তাদেরলজ্জাস্থান, যা গোপনরাখা হয়েছিল, তাপ্রকাশ করার জন্য; শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিলএবং বলল- পাছেতোমরা উভয়ে ফেরেশতা হয়েযাও কিংবা তোমরাস্থায়ী (বাসিন্দা) হও, এ জন্যই তোমাদের প্রতিপালক এইবৃক্ষ সম্বন্ধে নিষেধকরেছেন” (সূরা- আরাফ, আয়াত- ২০) ।অন্যত্র আল্লাহ্ এরশাদকরেন-অর্থ-“এভাবে যেতাদেরকে প্রবঞ্চিত করল, তৎপর যখনতারা সে বৃক্ষফলের আস্বাদ গ্রহণকরল, তখন তাদেরলজ্জাস্থান তাদের নিকটপ্রকাশ হয়ে পড়লএবং তারা উদ্যানপত্র দ্বারানিজেদেরকে আবৃত করতেলাগল, তখন তাদেরপ্রতিপালক তাদের সম্বোধন করেবললেন, আমি কিতোমাদের এ বৃক্ষসম্বন্ধে সাবধান করিনিএবং শয়তান যেতোমাদের প্রকাশ্য শত্রুআমি কি তাতোমাদেরকে বলিনি?” (সূরা- আরাফ, আয়াত- ২২) ।অন্যত্র এরশাদ হয়েছে-অর্থ-“হে বনীআদম ! শয়তান যেনতোমাদেরকে কিছুতেই প্রলোভিত নাকরে, যেভাবে তোমাদের পিতা-মাতাকে জান্নাত হতেসে বহিষ্কৃত করেছিল, তাদেরকে তাদের লজ্জাস্থান দেখাবার জন্যবিবস্র করেছিল, সেনিজে এবং তারদল তোমাদেরকে এমনভাবে দেখেযে, তোমরা তাদেরকে দেখতেনা পাও, যারাবিশ্বাস করে না- আমি শয়তানকে তাদেরঅবিভাবক বানিয়ে দিয়েছি” (সূরা- আরাফ, আয়াত- ২৭) ।পুর্বেকার তাফসীরকারখগণ এইতাদের সম্মানার্থে এবংসাধারনরা যেন ভুলনা বুঝে সেজন্য এ ব্যাপারটি সরাসরাপ্রকাশষ করেন নিইঙ্গিতেন মাধ্যমে বুঝিয়েছন..কিন্তুকিছু নবীন তাফসীরকারকগণ নিষিদ্ধ গাছের’ফল’ অর্থ হযরতহাওয়া বিবির বিকাশোম্মুখ যৌবনচিহ্ন বলে প্রকাশকরেছেন । তাদেরমতে ‘ফল ভক্ষন’ বলতে উভয়ের দাম্পত্য সম্পর্কে এবং’বেহেশতি বসন খুলেগিয়ে লজ্জিত হওয়ার’ অর্থ-ঐ ফলভক্ষণের পরে উভয়েরমনের অনাবিল পবিত্রতা বিলুপ্ত হওয়াএবং তজ্জন্য লজ্জাঅনুভব করা ।ইতিপূর্বে মনের ঐঅনাবিল পবিত্র ভাবেরজন্যই তারা বস্রহীন নগ্নঅবস্থায়ও কোনরূপ লজ্জাবা সংকোচ অনুভবকরেনি । কিন্তুঐ ঘটনার পরেলজ্জা অনুভব হয়েছিলবলে তারা বৃক্ষপত্রে স্বস্ব লজ্জাস্থান আচ্ছাদন করেছিলেন ।শয়তানের প্ররোচনাকে এরাযৌবন-সুলভ কামপ্রবৃত্তির উত্তেজনা ওউন্মাদনা বলে ব্যাখ্যা করেছেন। উক্ত তাফসীরকারকদের এইচিন্তাধারা অত্যন্ত চমৎকার বটে, কিন্তু যদিও কোনকোন তাফসীরকারক এমত স্বীকার করেননা । (তাফসীরে কুরআনুল হাকীম)পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ আদমকেলক্ষ্য করে বলেছেন- ঐ গাছের নিকটবর্তী হইওনা তবে তোমরাঅত্যাচারীদের মধ্যে গণ্যহবে । অনেকতাফসীরকারক এটাকে ফলদারবৃক্ষ বলেছেন ।অলী-আল্লাহ্গণের মতেঐ ফলদার বৃক্ষইহলেন হযরত হাওয়া(আঃ) । কেননাতিনি ছিলেন নারী। আর নারীগণই ফলদারবৃক্ষের ন্যায় সন্তানপ্রসব করে থাকেন।আল্লাহ্ প্রাপ্ত সাধকঅলী-আল্লাহ্গণ আদমও হওয়ার গন্ধমখাওয়া সম্পর্কে পবিত্রকুরআন ও হাদীসের জাহেরীঅর্থের পাশাপাশি তাঁদেরসাধনালব্ধ জ্ঞান থেকেবাতেনী ব্যাখ্যা দিতেগিয়ে বলেন, ‘শাজারাতুন’ থেকেসেজরা অর্থাৎ বংশবৃদ্ধির ক্রমধারাকে বুঝানোহয়েছে । সাজারাতুন অর্থগন্ধম নয়, ফলদারবৃক্ষ, যার দ্বারাবিবি হওয়াকে বুঝায়। আদমকে বিবিহাওয়ার কাছে যেতেএ জন্য নিষেধকরা হয়েছিল যে, তারা উভয়ে একত্রিত হয়েদাম্পত্য মিলনে জড়িয়েপড়লে বংশ বিস্তার শুরুহবে, যা বেহেশতে সমীচীননয় ।পবিত্র কুরআনেআদম ও হাওয়াসম্পর্কিত যে কয়টিআয়াত নাজিল হয়েছেতাতে কোথাও শয়তানের প্ররোচনায় তাদেরলজ্জাস্থান প্রকাশ হওয়ারকথা, কোথাও তাদেরলজ্জাস্থান দেখাবার জন্যবিবস্র করা, আবারকোথাও বৃক্ষ ফলেরআস্বাদ গ্রহণ করায়তাদের লজ্জাস্থান তাদেরনিকট প্রকাশ হয়েপড়লো এবং তারাউদ্যানপত্র দ্বারা নিজেদেরকে আবৃতকরতে লাগলো বলাহয়েছে । আল্লাহ্র এবাণী থেকেই সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয়যে, গন্ধম বলতেকোন ফল নয়, উহা ছিল আদমও হাওয়ার দাম্পত্য মিলন। কারণ, ফলভক্ষণ করতে লজ্জাস্থানকে উন্মোচন করতেহয় না ।পবিত্র কুরআন ওহাদীস শরীফের উপরোক্ত আলোচনাথেকে পরিশেষে বলাযায় যে, গন্ধমকোন ফল নয়উহা আদম ওহওয়ার দাম্পত্য মিলন, যা বেহেশতে তাঁদেরজন্য নিষিদ্ধ ছিল। কারণ, বেহেশতে বংশবিস্তার সমীচিন নয়।এ কারণেই তাঁদেরকে দুনিয়াতে প্রেরণকরা হয়েছে, যাদুনিয়ার জন্য প্রযোজ্য ।পরিশেষে এটিকুই বলতেচাই যা জেনেচেন তানিজের কাছেই রাখবেনযার তার কাছেপ্রকাশ করা ঠিকহবেনা বলে আমিমনে করি এটাআপনাদের কাছে আমারঅনূরোধ–সবাইকে যেনআল্লাহ সিরাতাল মুস্তাকীমে চলারতৌফিক দান করেন-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সুন্নীখানকা শরীফ

কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ক্বালবী যিকিরের গুরুত্ব

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…  (প্রসঙ্গ কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ক্বালবী যিকিরের গুরুত্ব) আমরা সকলেই জানি সবাইআমরা মানুষ তারপরে ও কেন আমাদের কে মানুষ হতে বলা হয়েছে এর মানেকি তাহলে আমরাকি এখন ও মানুষ হতে পারিনি…কোরান হাদীস এবং ইজমাকিয়াসের আলোকে দেখাযায় আসলে আমরানামধারী মানুষ সত্যিকারে আমরা এখনো মানুষহতে পারিনি.তাই আল্লাহ সুবাহানু তাআলা আমাদেরকে সঠিক মানূষকরার জন্য যুগেযুগে নবী রাসূলথেকে শুরু করে বহু ওলী আওলিয়াদের পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহকে ডাকার জন্য সাথেসাথে অনেক নিয়মকানুন বা পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন যাতেকরে আমরা সদা সর্বদায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে স্মরন করতেপারি.তেমনি একটিকর্ম পদ্ধতি নিয়েআমি অধম আপনাদের সামনে কোরান হাদীসও ইজমা কিয়াসের আলোকে আলোচনা করব.আর সেই পদ্ধতিটির বা কর্মের নাম হলো যিকির…..মুলতঅন্তর পরিশুদ্ধ করা এবং হুজুরী ক্বালব জারী করার একমাত্র উপায় হচ্ছে আপন ক্বালবে সদা সর্বদা শ্বাস প্রস্বাসের সহিত যিকির যারি করা.আর সেই ক্বালবের স্থান হলো আপনারবাম স্তনের ২ আঙ্গুল নিচে.যদি ক্বালবে আল্লাহর যিকিরবা হুজারী ক্বালব অর্জন করা যায় তাহলেই কেবল নামামরোযা সহ সকল ইবাদত শুদ্ধ এখলাছের সহিত আদায় করা সম্ভব হবে আর এজন্যই সকলের ক্বালবে যিকির যারী করাকেফরজ বলেছেন.পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে এরশাদকরেন-(সাবধান আল্লাহপাক এর যিকির দ্বারাই ক্বালব বা অন্তরপরিশুদ্ধ হয়)উক্তআয়াত শরীফের ব্যখ্যায় হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে-(সরদারে আলম রাসূল (সা:)বলেনপ্রত্যেক জিনিস পরিস্কার করার যন্ত্র রয়েছেআর ক্বালব পরিস্কার করার যন্ত্র হলোআল্লাহ পাক এর যিকির যারী করা আপন ক্বালবের মধ্যে শ্বাস প্রশ্বাসের সহিত-সূত্র-বায়হাকী-মেশকাত-মেরকাত-লুময়াত-প্রমুখ গ্রন্থ).সেই পরিপ্রেক্ষীতে ইমাম-মুজতাহিদগণ ও ওলি আওলিয়াগণ কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ইজতিহাদ করে যিকির কে দু ভাগে ভাগ করেছেন (১)যাহেরী বা মৌখিক যিকির (২)বাতেনী বা ক্বালবী যিকির যা মুখেনা করে শুধুঅন্তরে বা ক্বালবের মাধ্যমে করতে হয়. যাহেরী বা মৌখিক যিকির-এই যিকির গুলোহচ্ছে কোরান তেলাওয়াত,দোয়া দুরুদ,ওয়াজনছীহত, ইত্যাদি.আল্লাহর যিকির এ জন্যইকরতে হয় যাতেকরে শয়তানের ওয়াসাওয়াসা থেকে নিজেকে যত দুরে রাখাযায় ততই ভাল.উক্ত যিকির গুলিযে কোন স্থানেই করা যায় যে কোন সময় তবে এই জাহেরী বা মৌখিক যিকির করে নিজের নফস কে শয়তানের ওয়াস ওয়াসাথেকে বেচে থাকাকস্মিন কালেও সম্ভবনা তাই অবশ্যই ক্বালবী যিকির করতেহবে তার কারণক্বালবী যিকির সার্বক্ষনিক করতে হয় কোনসময় নির্ধারণ নয়. এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বর্ণিত আছে-সকাল সন্ধা স্বীয়অন্তরে সবিনয়ে,সভয়ে,অনুচ্চ আওয়াজে তোমার রবের যিকির কর.আর এ ব্যপারে তুমি গাফেলদের অর্ন্তভুক্ত হয়োনা-সূরা আরাফ-২০৫ নং আয়াত.উক্ত আয়াতের মধ্যে২টি দিক বর্ননা করা আছে আমি শুধু মাত্র যিকিরের ব্যপারটি নিয়ে আলোচনা করলাম যেমন-উক্তআয়াতের যিকির দ্বারা ক্বালবী যিকির ও সার্বক্ষণিক পাছ আন ফাস বা শ্বাসপ্রশ্বাসের সহিত যিকিরকরাকে বুঝানো হয়েছেযেমন আপনি শ্বাসযখন নিবেন তখন বলবেন আল্লাহ এবং শ্বাস যখন ছাড়বেন তখন বলবেন হু (আল্লাহু.আর যিকিরসদা সর্বদায় দিনেরাতে হাটা চলা বসা অবস্থায় সব সময় করতে হয় আবার অনেকেই এই আয়াতে সকাল সন্ধাযিকির করার কথা উল্লেখ করেছেন কারণএর উদ্দেশ্য হলো দায়েমী বা সাধ্যঅনুযায়ী যিকিরে নিজেকে মশগুল রাখারনামই হলো ক্বালবী যিকির. অপর এক আয়াতে আছে-হে ঈমানদারগণ তোমরা অধিকমাত্রায় আল্লাহপাকের যিকির কর আর সকালসন্ধা তাসবীহ পাঠ কর-সূরা আহযাব-৪১-৪২ নং আয়াত.উক্ত আয়াতের তাফসীরে ইবনে আব্বাস (রা:)বলেছেন প্রত্যেক ইবাদতের কিছু সময় এবং সীমা নির্ধারিত করা আছে কিন্তু যিকিরের জন্য কোননির্ধারিত সময় বা সীমা নির্ধারন বা অপরাগতার কোন অজর ও গ্রহণযোগ্য নয়.এই আয়াতের তাফসীরে রুহুল বয়ানের বর্ণিত আছে-অধিক পরিমানে আল্লাহর যিকির কর এর দ্বারা দিবারাত্রি সর্ব সময় সর্ব রীতুতে পানিও স্থলে মাঠেপর্বতে স্বদেশে প্রবাসে সুস্থতায় অসুস্থতায় প্রকাশ্যে গোপনে দন্ডায়মান উপবেশনে শয়নেঅর্থাথ প্রতি অবস্থায় বা দায়েমীভাবে আল্লাহপাকের স্মরণে আপন ক্বালবে ক্বালবী যিকির যারী করতেহবে আর এটাইহলো কোরান  হাদীস এ ইজমাকিয়াসের সর্বশেষ রায় এখান থেকে গাফেলহলে জীবনকে বিফলের মালা নিয়ে মৃত্যুকে বরণ করে অপারেযেতে হবে. তাই আমি অধম সবাইকে বলছি আসূণআমরা সবাই তরকীতের কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকট বায়াত হয়ে আপন ক্বালবের মধ্যে ক্বালবী যিকির যারী-আল্লাহ হাফেজ-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকাশরীফ

সৃষ্টিতত্ত্ব : নবী করীম (সা) হচ্ছেন সৃষ্টিগত দিক থেকে প্রথম নবী আর প্রেরিত হয়েছেন সর্বশেষে :-

(১) ইমাম ইবনুল যাওজী (রহ) [ওফাত ৫৯৭ হি]কিতাব : জাদুল মাসীর ফী ইলমীত তাফসীরসুরা আহযাব : ৭ নং আয়াত :খন্ড … Read More

“আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বেরিয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল”- পর্যালোচনা :-

আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বেরিয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল”- পর্যালোচনা :- ↓এই … Read More

পিতা আব্দুল্লাহ (রা) এর কপালে নুরে মুহাম্মদী (সা) এর বর্ননা :-

১) পিতা আব্দুল্লাহর কপালে নুরে মোহাম্মাদী (সা) এর বর্ননা (এই পৃষ্ঠার নিচের দিক থেকে ঘটনাটি শুরু) ২) এখানে ২টা বর্ননা আছে : (i) পিতা খাজা আব্দুল্লাহ (রা) এর দু চোখের মাঝখানে কপালের মধ্যে নুরে মোহাম্মদী (সা) (ii) মাতা আমেনার স্বপ্ন দেখা সেই নুর যা গর্ভ থেকে বের হয়ে শ্যাম দেশের অট্টালিকা সমুহকে আলোকিত করেছে। … Read More

কুরবানী ও আকীকা সংক্রান্ত মাসআলা-মাসায়েল

কুরবানী ও আকীকা সংক্রান্ত মাসআলা-মাসায়েলমাওলানা আব্দুস জাহেরআজহারীজিলহাজ্জ আরবী মাসসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। জিলহাজ্জ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ কুরবানীর দিন। কুরবানী শব্দটি আরবীকুরবান শব্দ থেকেহউদ্ভুত। ফিকহী পরিভাষায় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভেরউদ্দেশ্যে নির্দিস্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির পক্ষে হালালনির্দিষ্ট পশু যবেহকরাকে উযহিয়্যা বা কুরবানী বলা হয়। (হিদায়া ৪র্থ খন্ড, শামী ৫ম খন্ড, পৃঃ ২১৯)কুরবানীর তাৎপর্য হল, ত্যাগ, তিতিক্ষা ও প্রিয়বস্তু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা। প্রচলিত কুরবানী মূলতঃ হযরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর অপূর্ব আত্ম-ত্যাগের ঘটনারই স্মৃতিচারণ। যেই আবেগ, অনুভূতি, প্রেম-ভালবাসা ও ঐকান্তিকতা নিয়ে কুরবানী করেছিলেন ইব্রাহীম (আঃ), সেই আবেগ, অনুভূতি ও ঐকান্তিকতার অবিস্মরণীয় ঘটনাকে জীবন্ত রাখার জন্যইমহান আল্লাহ উম্মাতে মুহাম্মদীর উপর কুরবানী ওয়াজিব করে দিয়েছেন। তাই কুরবানী কুরবানী কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। সূরামায়েদায় ২৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “ইন্নামা ইয়াতাকাব্বালুল্লাহু মিনাল মুত্তাকীন।” (অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকীদের কুরবানী কবুলকরেন)। আল্লাহ পাক আরো বলেন, “লাইয়্যানালাল্লাহা লুহুমুহা ওয়ালা দিমাউহা ওয়ালা কিয়্যানালুহুত্ তাকওয়া মিনকুম।” (আল্লাহর নিকট (কুরবানীর পশুর) গোশত, রক্তপেঁৗছায় না; বরং পেঁৗছায় তোমাদের তাকওয়া)। সূরা হাজ্জ, আয়াত নং-২২।কুরবানী মহান একটিইবাদাত। সেই ইবাদাতটি সহীহ তরিকাহ্ মোতাবেক করতে হলে যে সকল জরুরী বিষয়গুলো জানা অত্যাবশকীয়। আজকের লিখনীতে সেই সকল টিপসগুলোই রইলো সম্মানিত পাঠকপাঠিকাদের জন্য।কুরবানীর প্রকারভেদ ঃ কুরবানী দুই প্রকার।(এক) ওয়াজিব কুরবানী।(দুই) নফল কুরবানী।যার উপর কুরবানী ওয়াজিব ঃ১। জ্ঞান সম্পন্ন, প্রাপ্ত বয়স্ক, মুসাফির নয় এমন কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি ১০ই জিলহাজ্জ ফজর সময় (সুবহিসাদিক) হতে ১২ জিলহাজ্জ সূর্যঅস্ত যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত সময়েরমধ্যে নিবাস পরিমাণ সম্পদ বা অর্থের মালিক হন তবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। (শামী, ৯ম খন্ড, পৃঃ ৪৫৭)নিসাব হচ্ছে, যার নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য আসবাবপত্রে, কাপড়-স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা থাকবে অথবাসে পরিমাণ অর্থথাকবে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। ২। কুরবানী ওয়াজিব হওয়ারজন্য এক বছর নিসাব পরিমাণ সম্পদঅতিবাহিত হওয়া জরুরীনয়; বরং কুরবানীর দিনগুলোর (জিলহাজ্জ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের) মধ্যেনিসাব পরিমাণ অর্থবা সম্পদের মালিকহলেই কুরবানী ওয়াজিব হবে। (আলমগীরী, ৫ম খন্ড) ৩। কোন ব্যক্তি যদি সিাবের পরিমাণ স্মপদের মালিকহন তবে কেবলতার নিজের পক্ষহতে কুরবানী করা তার উপর ওয়াজিব। স্ত্রী বা সন্তানের পক্ষ থেকে কুরবানী করা তার উপর ওয়াজিব নয়। (হিদায়া, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৪৪৪) ৪। নিসাবপরিমাণ মালিকের উপর শুধু একটি কুরবানীই ওয়াজিব হবে, অবশ্যকেউ যদি একাধিক কুরবানী করে তা নফল হিসেবে সওয়াবের অধিকারী হবে। (ইমদাদুল ফতোয়া, ২য় খন্ড, পৃঃ ৯৬১) ৫। ঋণ গ্রস্থ ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশোধ করে দিলে নিসাবপরিমাণ অর্থের মালিকথাকেন তবেই তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। ৬। কুরবানী ওয়াজিব নয় এমন ধরনেরব্যক্তি কুরবানী করলেসওয়াব পাবে। তবে এরূপ গরীব ব্যক্তি কুরবানীর নিয়্যতে পশু ক্রয় করলে তার কোরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। এমন ব্যক্তির পশুটি যদি হারিয়ে যায় বা মারা যায়, তাকেআরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। ৭। যদি কুরবানীর জন্তু হারিয়ে যায়, তৎপরিবর্তে আরেকটি জন্তু খরিদকরা হয়। পরে প্রথম জন্তুটিও পাওয়া যায়। এখন ক্রেতা যদি সাহিবে নিসাবহয়ে থাকেন তার উপর একটি জন্তুকুরবানী করা ওয়াজিব। আর ক্রেতা যদি সাহিবে নিসাবের মালিকনা হন (গরীবহন), তবে তার উপর দুইটি জন্তুই কুরবানী করা ওয়াজিব। (হিয়াদা-৪র্থ খন্ড/কিফায়াতুল মুফতী, ৮ম খন্ড, পৃঃ ১৭৬)৮। কোন মহিলার মহরানার অর্থ বা টাকা পয়সা বা স্বর্ণালঙ্কার ইত্যাদি অথবামহিলা যদি সাহিবে নিসাবের মালিক হন তার উপরও কুরবানী ওয়াজিব হবে।৯। মৃত পিতা-মাতা, যে কোন মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে অথবা রাসূল(সঃ) এর পক্ষথেকে কুরবানী করা জায়িয। তবে নিজেরপক্ষ থেকে কুরবানীর পর তাদের পক্ষথেকে কুরবানী নফল হিসেবে করা যাবে।১০। যদি কোন ব্যক্তির একাধিক ছেলেথাকে এবং সকলেইএকান্নভূক্ত হয় তাহলেশুধু পিতার উপরইকুরবানী ওয়াজিব হবে। তবে যদি ছেলেদের কেউ পৃথকভাবে মালিক হয় তাহলে তার উপরও কুরবানী ওয়াজিব হবে। (রাদ্দুল মুহতার, ৫ম খন্ড)কুরবানীর পশুর হুকুম ঃ১। উট, মহিষ, গরু, দুম্বা, ভেড়াও ছাগল দ্বারা কুরবানী করতে হবে। এগুলো ছাড়া অন্যপশু দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। (হিদায়া, ৪র্থ খন্ড) ২। দুম্বা, ভেড়াও ছাগল কুরবানীর জন্য এক বছর বয়স হওয়া জরুরী। যদি ছয় মাসেরদুম্বা বা ভেড়াএরূপ মোটা-তাজাহয় যে, দেখতেএক বছরের মত মনে হয় তাহলেএর দ্বারা কুরবানী জায়েয হবে। ৩। গরু, মহিষ ও উট এ ক্ষেত্রে বয়স কম পক্ষেযথাক্রমে গরু ২ বছর, মহিষ ২ বছর এবং উট ৫ বছর বয়স হতে হবে। (হিদায়া, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৪৪৯) ৪। গরু, মহিষ ও উট এই তিন প্রকার পশুর একটিতে সাত ব্যক্তি পর্যন্ত অংশীদার হয়ে কুরবানী করতেপারবে। তবে শর্তহল, কারো অংশ যে এক সপ্তমাংশ থেকে কম না হয়। (ফতোয়া আলমগীরী, ৫ম খন্ড, পৃঃ ৩০৪) ৫। ছাগল, দুম্বা ও ভেড়াএকটি এক জনে কুরবানী করতে পারবে। একাধিক ব্যক্তি শরীকহয়ে এ সকল পশু কুরবানী করলেদুরস্ত হবে না। ৬। কয়েক ব্যক্তি কুরবানীর নিয়্যতে পশু খরিদ করে এবং তারপরে যদি অন্যলোক তাতে শরীকহতে চায় এমতাবস্থায় ক্রোতাগণ সর্বসম্মতভাবে সম্মতি দিলেতাতে সাত জন (সর্বোচ্চ) পর্যন্ত অংশ গ্রহণে কুরবানী করা জায়েয হবে। (আলমগীরী) ৭। কুরবানীর অংশীদার প্রত্যেকে যদি নাবালেগ হয় বা কোন অংশীদারের অংশ এক সপ্তমাংশ হতে কম হয় অথবা কোন অংশীদারের নিয়্যত সহীহ না থাকে বা কোন শরীক অমুসলিম হয় তবে কারো কুরবানীই জায়েয হবে না। (আলমগীরী, ৫ম খন্ড) ৮। গর্ভবতী পশু জেনে শুনে কুরবানী করা মাকরূহ। তবে পশুটি গর্ভবতী বলে জানা ছিল না এমন অবস্থায় যবেহকরার পর পেট থেকে জীবিত বাছুরবের হয় উক্তবাছুর যবেহ করে খাওয়া জায়েজ। যদি কুরবানীর পশুর পেট হতে মৃত বাচ্চা বের হয় তাহলেউক্ত বাচ্চাটির গোশ্ত হারাম হবে। (শামী, ৫ম খন্ড, পৃঃ ২২৭) ৯। যে পশুর চোখ, কান, লেজ, দাঁত, পা ও অন্যান্য অঙ্গ এক তৃতীয়াংশের বেশী ত্রুটি যুক্ত এ ধরনের পশু দ্বারা কুরবানী দুরস্ত নয়। (আলমগীরী, ৫ম খন্ড, পৃঃ ২৯৭)১০। কুরবানী আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম উপায়। তাই কুরবানী দাতার উচিত দোষমুক্ত, মোটাতাজা পশু কুরবানী করা। (কানযুল উম্মাল)কুরবানীর সঙ্গে আকীকাআদায় প্রসঙ্গে ঃ১। কুরবানী করা ওয়াজিব। আকীকা করা সুন্নাত। যে সকল পশু দ্বারা কুবানী করা জায়েয সে সকল পশু দ্বারা আকীকা করা ও জায়েয। আর যে সকল পশু দ্বারা আকীকা করা জায়েযনেই সে সকল পশু দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নেই। (রাদ্দুল মুহতার, ৫ম খন্ড)২। পুত্র সন্তানের জন্য দুইটি ছাগলআর কন্যা সন্তানের জন্য একটি ছাগলদ্বারা আকীকা করা মুস্তাহাব। ৩। উট, মহিষ ও গরুরমধ্যে একটিতে সাত জনের আকীকা করা যাবে। এ ধরনেরপশুর মধ্যে কুরবানীর সাথে আকীকা ও করা যায়। তবে শর্ত হল, কুরবানীর অংশ দেয়ার পর আকীকা দিতে হবে। একই গরুতে একজনকুরবানী ও আকীকাউভয়টিই দিতে পারবে। ধরুন, সাত অংশেরমধ্যে একজন দুই নামে কুরবানী, আরেকজন দুই নামে কুরবানী এবং অন্য একজনএকনামে কুরবানী ও দুই নামে আকীকাকরবে নিয়্যত করলো। তাহলে তা করা যাবে। তবে শর্তহল কারোর অংশ যেন এক -সপ্তমাংশের কম না হয়। (কিফায়াতুল মুফতী)৪। কুরবানীর গোশত বন্টনের মতো আকীকার গোশত বন্টিত হবে। কুরবানীর গোশতের মত আকীকার গোশত নিজেখাওয়া, পিতা-মাতাখাওযা ও আত্মীয় স্বজন এবং গরীব-মিসকিনকে দেওয়া জায়েয। (আজিজুল ফতয়া, ১ম খন্ড)৫। কেউ যদি মনে করে যে, তার বা তার পিতামাতার আকীকা ছোটকালে দেয়া হয়নি। তাহলেনিজের আকীকা ও পিতা-মাতা আকীকাও করতে পারবে। (ফতয়ায়ে রহমানিয়া, ৬ষ্ঠ খন্ড)৬। কুরবানী ওয়াজিব এমন স্বচ্ছল ব্যক্তি কুরবানীর জন্য কোন পশু খরিদ করারপর তাতে যদি এমনএকান ত্রুটি দেখাদেয় যার কারণেতা কুরবানী করা দুরস্ত হবে না। তবে তিনি তার পরিবর্তে অন্য একটিপশু খরিদ করে কুরবানী করবেন। অবশ্যযার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে যদি উপরোক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হয় সে ব্যক্তি ঐ পশুটিই কুরবানী করতে হবে। (ফতোয়াশামী, ২য় খন্ড, ২২৯ পৃঃ)কুরবানীর পশু যবেহকরার নিয়ম ঃ১) জিলহাজ্জ মাসের ১০ তারিখ সূর্যোদয়ের পর থেকে ১২ জিলহজ্জ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কুরবানী করার নির্দিষ্ট সময়। (আলমগীরী, ৫ম খন্ড, পৃঃ ২৯৬)২) নিজের পশু নিজেই কুরবানী করা সর্বোত্তম। নিজে যবেহকরতে অপারগ হলে অন্যের দ্বারা কুরবানী দুরস্ত আছে। (আলমগীরী, ৫ম খন্ড, পৃঃ ২৯৬)।৩) যবেহ করারসময় কুরবানী পশু কেবলামুখী করে শোয়াবে, যবেহকারী কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াবেন এবং যবেহকারীর বাম দিকে পশুরমাথা থাকবে। যবেহকরার সময় বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলতেহবে। ইচ্ছাকৃত ভাবে বিসমিল্লাহ না বললেউক্ত পশুর গোশতহালাল হবে না। তবে ভুলবশত বিসমিল্লাহ পরিত্যাগ করলে যবেহকৃত পশুর গোশত হালালহবে। (হিদায়া ৪র্থখন্ড, পৃঃ ৪৩৫)। ৪) কুরবানীর পশু যবেহ করারসময় আরবীতে নিয়্যত পাঠ করা এবং কুরবানী দাতাগণের নাম পাঠ করা জরুরীনয়, বরং মনে মনে নিয়্যত করবেযে, আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী করছি। (ফতোয়া শামী, ৫ম খন্ড পৃঃ ২৭২)। ৫) যবেহকরার সময় পশুরচারটি রগ কাটাজরুরী।র) কণ্ঠনালী রর) খাদ্য নালী ররর ও রা) দুই পাশের দুটি মোটারগ। ৬) যবেহকারীকে পারিশ্রমিক হিসেবে টাকা পয়সা বা অন্য কিছু দেয়াযাবে তবে যবেহকৃত পশুর মাথা, রান, চামড়া পারিশ্রমিক বা যবেহ’র বিনিময়ে দেয়া যাবে না। ৭) যবেহকৃত জন্তুকে অযথা কষ্ট দেয়ামাকরূহ। যবেহর পূর্বে ছুরি ভালভাবে ধার দিয়ে নিতে হবে। যবেহকারীর সাথে কেউ যদি ছুরি চালানোর কাজে সহযোগিতা করে থাকে, তবে তাকেও’বিসমিল্লাহী আল্লাহু আকবার’ বলতে হবে (শামী, ৯ম খন্ড, পৃঃ ৪৭৩)কুরবানীর গোশতের বিধানঃ১) কুরবানীর গোশত বন্টনের উত্তম (মুস্তাহাব) নিয়ম হল, তিন ভাগ করে একভাগনিজের পরিবারবর্গের জন্য, একভাগ আত্মীয় স্বজনআর একভাগ গরীবমিসকিনদের জন্য বন্টনকরা। (শামী, ১ম খন্ড পৃঃ ৪৭৩)। ২) কয়েকজন এক সাথে কুরবানী করলে অবশ্যই পাল্লা দিয়ে মেপে সমান/সঠিক ওজন করে ভাগ করতে হবে। তবে অংশীদারগণ যদি একান্নভুক্ত পরিবারের সদস্য হন, তাহলে বন্টনের প্রয়োজন নেই। (শামী, ২য় খন্ড, ২৩২ পৃঃ)। ৩) কুরবানী দাতা কুরবানীর গোশত বিক্রি করা মাকরূহ তাহরিমি। যদি কেউ তা করে থাকে তাহলে বিক্রিত মূল্য সদকা করা ওয়াজিব হবে। ৪) কুরবানীর গোশত পারিশ্রমিক বাবদ বিনিময় হিসেবে কাউকে দেওয়া জায়েবহবে না। ৫) কয়েক ব্যক্তি শরীকহয়ে কুরবানী করে তারা নিজেদের মধ্যেগোশত বন্টন করে নেওয়ার পরিবর্তে যদি রান্না করে বা সমস্ত গোশত গরীবদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়ার ঐকমত্যে সিদ্ধান্ত নেয় তা জায়েজহবে। কিন্তু শরীকদের কোন একজন এতে ভিন্নমত প্রকাশ করলেতা জায়েজ হবেনা। (মাসাইল ঈদায়ন, পৃঃ ১৮৩)কুরবানীর পশুর চামড়ার হুকুম ঃ১) কুরবানীর পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে নিজে ব্যবহার করতেপারবে।অথবা, চামড়া দান করে দিবে বা বিক্রি করে অর্থগরীব অভাবীদের দান করবে। (হিদায়া, ৪র্থখন্ড, পৃঃ ৪৩৪)২) লিল্লাহ বোর্ডিং, গরীব পরীক্ষার্থী, অভাবী, মিসকিন (যারা ফিতরাপাওয়ার উপযুক্ত) তাদেরকে কুরবানীর পশুর চামড়াঅথবা বিক্রিকৃত অর্থ দান করবে।৩) পশুর চামড়াবিক্রির সময় অবশ্যই যথাযথ মূল্যে বিক্রি করতে হবে। কারণএর অর্থ গরীবের হক।৪) কুরবানীর চামড়া বা মূল্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজবা কোন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকল্পে অথবা শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতাহিসেবে প্রদান করা জায়েয হবে না। (মাসাইল ইদাঈন, পৃঃ ১৯২)কুরবানীর কাযা ঃকোন ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব ছিল কিন্তু কুরবানীর দিন সমূহ (জিলহাজ্জ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ) শেষ হয়ে গেছে অথচ সে ব্যক্তি কুরবানী করে নাই। এমতাবস্থায় তাকে একটি বকরীবা এর মূল্যসাদকা দিতে হবে। (হিদায়া, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৪৩০)।তাকবীরে তাশরীক সম্পর্কে ঃআল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহাইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ’। ৯ই জিলহাজ্জ ফজর সালাত থেকে১৩ই জিলহাজ্ব আসর সালাত পর্যন্ত (২৩ ওয়াক্ত সালাত) প্রত্যেক ফরয সালাতের পর উপরোক্ত তাকবীরটি কমপক্ষে একবারপড়া ওয়াজিব। একাকীনামায বা জামাতে নামায যে কোন অবস্থায় তাকবীরে তাশরীকটি পড়তে হবে। মহানরাব্বুল আলামীন আমাদের কুরবানী কবুল করুন। আমাদেরকে তার প্রিয়বান্দাদের কাতারে শামিলকরুন। আমিন!

হে রাসুল (সা) আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না – হাদিসটির পর্যালোচনা :-

হাদিসের মান পর্যালোচনা : যে সকল মুহাদ্দিসগন এ হাদিস সহিহ বলেছেনঃ১) ইমাম হাকিম বলেছেন হাদিসটি সহীহ।আল মুস্তাদরাক-২/৬১৫২) ইমাম তকি উদ্দীন সুবকী বলেন, … Read More